নিজস্ব প্রতিনিধি :
অবশেষে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ২২ মে নোয়াখালী জেলার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট ও নির্বাচন কমিশনার মো. নাজিমুল হায়দার স্বাক্ষরিত একপত্রে এমন উদ্যোগের কথা জানা গেছে।
ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন নম্বর ২৬৮৪/২-১৭ এর আদেশের আলোকে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নতুন সদস্য অর্ন্তভুক্তিকরণসহ নির্বাচনী প্রক্রিয়া গ্রহণ করছেন। এ আলোকে নোয়াখালীর কর্মরত ৮৩ জন সাংবাদিককে যাচাই বাচাইক্রমে সদস্য পদে অর্র্ন্তভুক্তিকরণ ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করেন জেলা প্রশাসন। এ রিটের বাদী ছিলেন দৈনিক দিশারী’র সম্পাদক আকাশ মো. জসিম।
এদিকে সর্বশেষ জেলার অতিরিক্ত ম্যাজিষ্ট্রেট চিঠিতে বিগত সদস্য ও চূড়ান্ত ভোটার তালিকাকালে যে ১৮ জন আবেদনকারীর দরখাস্ত বাতিল হয়েছে তাদেরকেও নতুন তালিকায় চূড়ান্ত ভোটার হিসেবে তালিকাভুক্তির জন্যে সুযোগ দেয়া হয়েছে বলে জানান। আসছে ১৫ জুনের মধ্যে সেসব ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জেলা নির্বাচন কমিশনার বরাবরে দায়েরের জন্যে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য দৈনিক দিশারীর সম্পাদক, দৈনিক শেয়ার বিজ ও ডেইলী সানের নোয়াখালী প্রতিনিধি আকাশ মো. জসিম নোয়াখালী প্রেসক্লাবের নির্বাচনে, উন্নয়ন ও সাংবাদিকদের অধিকার সংরক্ষণে দীর্ঘদিন ধরে নিজের সংগ্রাম ও অবদান অব্যাহত রাখছেন। তিনি নোয়াখালী প্রেসক্লাবের আধুনিকায়ন ও সাংবাদিকদের পেশাগত জীবনের আর্থিক সঙ্গতির শ্রীবৃদ্ধির লক্ষ্যে পরিকল্পনা মাফিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়নের নিরিখে সাংগঠনিকভাবে নিজেকে এগিয়ে নিতে জেলার সর্বস্তরের সাংবাদিকদের সহযোগিতা, দোয়া ও ভালবাসা প্রত্যাশা করেন।
তিনি ১৯৯৫ সালে চট্রগ্রাম থেকে প্রকাশিত কবি আল মাহমুদ সম্পাদিত দৈনিক কর্ণফুলিতে হাজী মুহাম্মদ মহসিন কলেজের প্রতিনিধি পদে সাংবাদিকতা শুরু করেন। এরপর নোয়াখালীর স্থানীয় দৈনিক জাতীয় নিশানের নিজস্ব প্রতিনিধি ও পরে আজকের উপমার বার্তা সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
আকাশ মো. জসিম ২০০২ সালে নোয়াখালীর আঞ্চলিক দৈনিক দিশারীতে প্রথমে নির্বাহী সম্পাদক পরে সম্পাদক এবং বর্তমানে সম্পাদক ও প্রকাশক পদে দায়িত্ব পালন করছেন। ২০০৬ সালে জাতীয় দৈনিক ডেসটিনির বৃহত্তর নোয়াখালী প্রতিনিধি, ২০১০ সালে জাতীয় দৈনিক বাংলাদেশ সময়ের নোয়াখালী প্রতিনিধি পদে নিয়োগ লাভ করে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ওই দৈনিকে কাজ করেন।
আকাশ মো. জসিম পরিষ্কারভাবে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তিনি সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত হলে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের পুরোনো জীর্ণতা, শূণ্যতা বিচ্ছুরিত করে সদস্যদের জীবনমান উন্নয়নে ইতিহাসে নিজেকে সম্মানিত থাকার মতো কার্যক্রম গ্রহণ করবেন।
২০১৬-২০১৭ বর্ষের অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচন তফসিল চূড়ান্ত হওয়ার পরই নির্বাচনের একদিন আগে সে সময়ের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজি রফিক উল্যাহ পদত্যাগ করে জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বরাবরে নিজেকে সমর্পণ করেন। এরপর দীর্ঘদিন ধরে তিনি নির্বাচনী কার্যক্রমে পদক্ষেপ না নেয়ায় সে সময়ের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক আকাশ মো. জসিম মহামান্য হাইকোর্টে ২৬৮৪/২০১৭ নম্বর রিট পিটিশন দায়ের করেন।
পরবর্তীতে, আদালত নোয়াখালী জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে অতিব দ্রুততম সময়ে নোয়াখালী প্রেসক্লাবের নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপরই জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট তন্ময় দাস ২০১৯ সালে উদ্যোগ গ্রহণ করে নোয়াখালীতে কর্মরত বিভিন্ন গণমাধ্যমের মোট ৮৩ জন সাংবাদিককে সদস্য পদে অর্ন্তভুক্তি ক্রমে নির্বাচনের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেন।
পরবর্তীতে, জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট দেওয়ান মাহবুবুর রহমান আগের ১৮ জন আবেদনকারীকে সদস্য ও ভোটার করার লক্ষ্যে ২২ মে একটি প্রজ্ঞাপণ জারি করেন। এরপরই আবারো নোয়াখালী প্রেসক্লাবের নির্বাচনী হাওয়া বইতে শুরু করছে চারদিকে।