বিয়ের ৯মাস পর নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলােয় এক নববধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে চাটখিল থানা পুলিশ। নিহত সালমা আক্তার রক্সি (২০)। সে উপজেলার রামনারায়নপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের রামনারায়নপুর গ্রামের চইয়্যাল বাড়ির সৌদি প্রবাসী মানিকের স্ত্রী।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, একই দিন সকালের দিকে ওই গৃহবধূ তার স্বামীর বাড়িতে তার শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে দাবি করে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
নিহত সালমা আক্তার রক্সি রামনারায়নপুর ইউনিয়নের রামনারায়নপুর গ্রামের নাজির উল্যাহ কবিরাজ বাড়ির মো. সোলোমানের মেয়ে।
নিহতের মা মুন্নি অভিযোগ করে বলেন, ৯ মাস আগে একই গ্রামের বাড়ির পাশের চইয়্যাল বাড়ির রফিকের ছেলে সৌদি প্রবাসী মো. মানিকের কাছে তার মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের পর জানাজানি হয় মানিকের সাথে তার এক মামাতো বোনের প্রেম ছিল। এই নিয়ে ওই মামাতো বোনের পরিবার প্রায় আমার মেয়েকে হুমকি দিত। কিভাবে আমার মেয়ে তার স্বামীর ভাত খায় তারা তা দেখে নিবে। এই সব ঘটনা নিয়ে আমার মেয়ের সাথে তার স্বামীর পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এক দিন আগে তার রক্সির স্বামী প্রবাস থেকে তাকে হোয়াটস অ্যাপে বিশ্রি ভাষায় ভয়েস পাঠায়। পরে আমার মেয়ে এসব কথা আমাদেরকে শুনাতে মুঠোফোন নিয়ে বাবার বাড়িতে আসে। কিন্তু তার স্বামী ওই সব মেসেজ ডিলেট করে দেওয়ায় আর কাউকে সে ওই সব ভয়েস শুনাতে পারেনি। নানা কারণে বিয়ের পর থেকেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনের সাথে পারিবারিক দ্ব›দ্ব চলে আসছিল। আমার মেয়েকে শ্বশুর বাড়ির লোকজন কৌশল করে মেরে ফেলে ঝুলিয়ে রেখেছে।
চাটখিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু জাফর জানান, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রির্পোট পেলে জানা যাবে এটি আত্মহত্যা নাকি হত্যা।