শিরোনাম:
হাসপাতালের কর্মচারি মারা গেল ডাক্তারের গাফিলতিতে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল, লজ্জায় কিশোরীর আত্মহত্যা ৯ কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন জেলা আ.লীগের সভাপতিকে হারিয়ে সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন এমপি পুত্র সাবাব চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সূত্র খুঁজতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি, সময় লাগবে ২-৩ দিন, হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন, সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ ৪প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪ ভুল চিকিৎসায় মা’সহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ, হসপিটালে ভাংচুর চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোম্পানীগঞ্জে মনোনয়ন দাখিল করলো ১০ জন

মেঘনায় জলদস্যুদের গুলিতে আহত আরেক জেলের মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ১ অক্টোবর, ২০২৩
মেঘনায় জলদস্যুদের গুলিতে আহত আরেক জেলের মৃত্যু

নোয়াখালী প্রতিবেদক:

 

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার মেঘনা নদীতে মাছের খোপ দখলকে কেন্দ্র করে জলদস্যুদের গোলাগুলির ঘটনায় গুলিবিদ্ধ আরও এক জেলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গুলিবিদ্ধ তিন জেলের মৃত্যু হয়েছে।

 

নিহত মো. ইসমাইল হোসেন (৩০) সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের চর আলাউদ্দিন গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। নিহত অপর দুজন জেলে হলেন, সুবর্ণচরের পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নের পূর্ব চর মজিদ গ্রামের আবদুর রহমান (৩৩) এবং একই গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ওরফে রাজু (১৬)।

 

গতকাল শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, গত বুধবার বিকেলে মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে স›দ্বীপ চ্যানেলের কাছে ইলিশ মাছের খোপে মাছ ধরার সময় জেলেদের ওপর হামলার এ ঘটনা ঘটে।

 

নিহতের মামা রাজা মিয়া জানান, শনিবার চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরের পর দুপুরের দিকে ইসমাইলের শরীরে অস্ত্রোপচার করা হয়। অস্ত্রোপচারের পর তার শারীরিক অবস্থা ভালো ছিল। কিন্তু বিকেলের দিকে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে সে মারা যায়।

 

ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, সুবর্ণচর উপজেলার মাইন উদ্দিন মাঝি ও অলি মাঝি মেঘনা নদীর স্বর্ণদ্বীপের পশ্চিমে সন্দীপ অংশ থেকে দীর্ঘ দিন থেকে মাছ শিকার করে আসছে। কিছু দিন আগে থেকে মেঘনা নদীর মাছ শিকারের এই খেপ দখলের চেষ্টা চালায় জলদস্যু কেফায়েত বাহিনী। বুধবার সন্ধ্যার দিকে কেফায়েত বাহিনী ওই খেপ দখল করতে জেলেদের জাল কেটে দেয়। খবর পেয়ে দুটি মাছ ধরার ট্রলার নিয়ে সেখানে যায় ভুক্তভোগী জেলেরা। একপর্যায়ে জলদস্যু কেফায়েত বাহিনীর সদস্য আলতাফ, নুরউদ্দিন ও জুয়েল সন্দীপ কোস্টগার্ড স্টেশনের কন্টিনজেন্ট কমান্ডার মহিউদ্দিনের সহযোগিতায় জেলেদের দুটি মাছ ধরার ট্রলারে দুই দফায় হামলা চালিয়ে মাছ, জাল, ট্রলারসহ কোটি টাকার মালামাল ডাকাতি করে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে জলদস্যু বাহিনী গুলি ছুড়লে ৬ জেলে গুলিবিদ্ধসহ ১০ জন আহত হয়।

চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জেলে ইসমাইল হোসেন মৃত্যুর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। এ নিয়ে ৩ জেলে মারা গেছে। গোলাগুলি ও নিহতের ঘটনায় কোস্টগার্ড বাদী হয়ে স›দ্বীপ থানায় একটি মামলা করেছে। তবে মামলায় কাউকে আসামি করা হয়নি।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১