ডেস্ক রিপোর্ট::
মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি সংসদ সদস্য কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় আরও দুই জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে তারা পলাতক রয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন শহিদের কাছ থেকে প্রায় ২৮ কোটি টাকার (১০ লাখ কুয়েতি দিনার) চেক নিয়েছেন।
রোববার সূত্রের বরাত দিয়ে কুয়েতি সংবাদমাধ্যম আরব টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি এমপি কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের মামলার তদন্তের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে কুয়েতের সরকারি কৌঁসুলিরা। তার সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় আরও যে দুই জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে, তাদের মধ্যে একজন কুয়েতের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে কর্মীদের চাকরি দেওয়ার চুক্তি বাবদ শহিদের কাছ থেকে প্রায় ২৮ কোটি টাকার চেক নিয়েছিলেন।
সূত্রের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যমটি জানায়, ইতোমধ্যে শহিদের প্রতিষ্ঠান থেকে কাগজপত্র ও চুক্তিপত্র জব্দ করার নির্দেশ দিয়েছেন কুয়েতের সরকারি কৌঁসুলিরা। এই মামলায় বর্তমানে আসামিদের তালিকায় সাত জন রয়েছেন।
এর আগে, কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল ও তার প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করার জন্যে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে আবেদন করেছে সরকারি কৌঁসুলি পক্ষ। কাজী শহিদের কোম্পানিতে ৫ মিলিয়ন কুয়েতি দিনার (প্রায় ১৩৮ কোটি টাকা) আছে। এর মধ্যে ৩ মিলিয়ন দিনার কোম্পানির মূলধন।
উল্লেখ্য, কাজী শহিদ ইসলাম পাপুল লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য। মানব ও অর্থপাচারের অভিযোগে গত ৬ জুন রাতে কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) তাকে গ্রেপ্তার করে।