নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা ঘোষিত হওয়ার প্রায় বছর অতিক্রান্ত হওয়ার পথে। তারপরও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় আরইবি’র (পল্লী বিদ্যুৎ) ৪৪ হাজার গ্রাহকের দূর্ভোগের অন্তনেই। ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে আছে প্রায় ৩লাখ মানুষ।
জানা গেছে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের ৪৪হাজার গ্রাহক রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০১৯ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তারিখে এ উপজেলাকে শতভাগ বিদ্যুতায়িত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন। এ ঘোষণার পরও এখনও অনেকেই বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য আবেদন করেতে দেখা যায়। আবেদন করেও অনেকে মাসের পর মাস অপেক্ষা করেও সংযোগ পাচ্ছেন না।
সাম্প্রতিক সময়ে অর্থাৎ গত কয়েকদিনে এখানে ভয়াবহ লোডশেডিং এর কবলে রয়েছে মানুষ। অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে লোডশেডিং বেড়ে যাওয়ায় জনদূর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে। অঘোষিত লোডশেডিং দিনে রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা অবিরাম ভাবে চলছে। দিন-রাত-গভীর রাতে ঘন্টার পর ঘন্টা লোডশেডিং এর ফলে মানুষ বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক নর-নারী নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। একেত করোনা আতঙ্ক, এখন লোডশেডিং জনিত সীমাহীন গরমের কারণে ভাইরাস জ্বর, সর্দি-কাশি ও বৃদ্ধদের শ্বাস কষ্ট হওয়ায় জন্য সাধারণ আরও আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
স্থানীয় চিকিৎসরা বলছেন, অতিরিক্ত ভ্যাপসা গরম, আর ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ না থাকায় বিরুপ প্রাকৃতিক অবস্থায় শিশু ও বয়স্করা নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। নিয়মিত বিদ্যুৎ থাকলে যে স্বাভাবিক অবস্থা বিরাজ করে, বিদ্যুতের লোডশেডিং এর নামে অস্বাভাবিক লুকোচুরি খেলার কারনে ভারসাম্য থাকে না। মানুষ অসহনীয় গরমে হাঁপিয়ে যায়। ফলে যা হওয়ার তাই হয়।
পল্লী বিদ্যুতের কোম্পানীগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম এএইচএম আরিফুল ইসলাম জানান, পল্লী বিদ্যুতের ৪৪হাজার গ্রাহকের চাহিদা মেটানোর জন্য ১৭ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন। এর বিপরীতে আমরা ১২ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাচ্ছি। যে ৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কম পাওয়া যাচ্ছে সেটা পিকআওয়ার টাইমে (সন্ধ্যার পর) তার জন্য লোড শেয়ারিং করা হচ্ছে। দিনের বেলায় বিদ্যুৎ স্বাভাবিক ভাবে আছে।
তিনি আরও বলেন, চৌমুহনী গ্রীডে পাওয়ার ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যাওয়ায় গত কয়েকদিন বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘিœত হচ্ছে। পাওয়ার ট্রান্সফরমার মেরামত হতে আরও প্রায় ১মাস সময় লাগতে পারে। বর্তমান সমস্যা উত্তোরণের জন্য সাময়িক ভাবে ফেনীর ৩৩কেভি লাইন থেকে বিদ্যুৎ আনার লক্ষ্যে মেরামতের কাজ চলছে। আগামী ৫-৭দিনের মধ্যে কাজ শেষ হলে বর্তমানের সমস্যা আর থাকবে না বলে আশা করা যাচ্ছে।