নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আ’লীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরকে নতুন পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। নতুন পারিবারিক কবরে ছেলে দাফনের কথা বলে অঝোরে বিলাপ করে কাঁদছে মুজাক্কিরের বাবা।
রোববার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে তাকে ওই পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
নিহত মুজাক্কিরের বাবা মাষ্টার নোয়াব আলী (৭৫) এ তথ্য নিশ্চিত করেন। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার রাত ৮টায় বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।
তিনি আরো বলেন, আমার বয়স ৭৫ চলছে। মুজাক্কিরের মাও বয়োবৃদ্ধ। কিছু দিন আমাদের বয়সের কথা চিন্তা করে আমাদের জন্য একেবারে নতুন ভাবে একটি পারিবারিক কবরস্থান তৈরী করি।
কিন্তু আজ আমরা সবাই রয়ে গেলাম। পরিবারের সবার ছোট আমার মুজাক্কির সবার আগে ওই কবরস্থানে দাফন হয়ে যাচ্ছে। পারিবারিক কবরস্থানের প্রথম অতিথি সাংবাদিক মুজাক্কির আমাদের মাঝ থেকে আজ বিদায় নিয়ে নেবে।
এখন পারিবারিক ভাবে আমরা ওই কবরস্থানকে বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরের নামে নাম করণ করেছি।
উল্লেখ্য, নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশির হাট বাজারে কাদের মির্জা ও বাদল গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীনঅবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। নিহত বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৫), উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের নোয়াব আলী মাষ্টারের ছেলে এবং দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের নোয়াখালীর বিশেষ প্রতিনিধি ছিল।
এর আগে, শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট তরকারি বাজারের সামনে সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই কাদের মির্জা ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ওই সময় সাংবাদিক মুজাক্কির সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহের সময় গলায় গুলি বিদ্ধ হন। এ অবস্থায় প্রথমে তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিলে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। পরে শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে ভর্তি করা হয়। এক পর্যায়ে সংকটাপন্ন অবস্থায় আইসিইউতে তাঁর মৃত্যু হয়।