ছবি: সংগৃহীত
ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার লোকেশ রাহুল এবং আফগানিস্তানের লেগ স্পিনার রশিদ খান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হতে পারেন। সানরাইজার্স হায়দরাবাদ আর পাঞ্জাব কিংস ফ্র্যাঞ্চাইজির অভিযোগে এই দুজন এখন শাস্তির মুখে। পাঞ্জাব কিংস ও সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে গত মৌসুমে খেলেছেন লোকেশ রাহুল ও রশিদ খান। দুজনেই আগামী মৌসুমে পুরনো দলের সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেননি। আর্থিক কারণে সরে দাঁড়াচ্ছেন রশিদ।
আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী, এই দুই ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে তাদের চুক্তি এখনো শেষ হয়নি। তবে চুক্তি শেষ হওয়ার আগেই আগামী মৌসুমের জন্য লখনোউ ফ্র্যাঞ্চাইজির সাথে আলোচনা করেছেন এ দুই ক্রিকেটার। আর এ ব্যাপারে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের এ দুই ফ্র্যাঞ্চাইজি বিসিসিআইয়ের কাছে অভিযোগ করায়, এখন শাস্তির মুখে পড়তে পারেন এ দুই ক্রিকেটার। তাছাড়া বিসিসিআইয়ের কাছে লখনোউ ফ্র্যাঞ্চাইজির বিরুদ্ধেও অভিযোগ করেছে পাঞ্জাব কিংস ও সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। বিসিসিআই জানিয়েছে, তারা এখনও লিখিত কোনো অভিযোগ না পেলেও মৌখিক অভিযোগ সম্বন্ধে অবগত রয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর, ২০২২ আইপিএলের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি লক্ষ্মৌর হয়ে মৌসুম প্রতি ২০ কোটি ভারতীয় রূপিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন রাহুল। যেখানে পাঞ্জাব কিংসে মৌসুমপ্রতি ১১ কোটি রূপি পেতেন এই টপঅর্ডার ব্যাটার। অন্যদিকে লক্ষ্মৌর সঙ্গে চুক্তির গুঞ্জন উঠেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের রশিদেরও। এ কারণে বোর্ড অব কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) কাছে লক্ষ্মৌর বিরুদ্ধে খেলোয়াড় ‘ছিনতাইয়ের’ অভিযোগ তুলেছে হায়দরাবাদ ও পাঞ্জাব ফ্র্যাঞ্চাইজি। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে দল দুটিকে ঘটনার ব্যাপারে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছে বিসিসিআই।
ইনসাইড স্পোর্টসকে বিসিসিআইয়ের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যদি রশিদ-রাহুল দোষী সাব্যস্ত হন, তাহলে আইপিএলের এক মৌসুম নিষিদ্ধ হবেন দুজনই। কারণ নিলামের আগে দলবদলের ব্যাপারে কোনো নতুন দলের সঙ্গে যোগাযোগ করার নিয়ম নেই খেলোয়াড়দের। ২০১৭ সালে সানরাইজার্স হায়দরাবাদেই আইপিএলে অভিষেক ঘটে রশিদ খানের। তখন থেকেই লেগ স্পিন জাদুতে আইপিএলে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের ঘায়েল করে আসছেন। গত পাঁচ মৌসুমে ৭৬টি ম্যাচ খেলে ৯৩ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
আইপিএলে এমন ঘটনা এটিই প্রথম নয়। ২০১০ সালেও রাজস্থান রয়্যালসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার রবীন্দ্র জাদেজাকে প্রস্তাব দিয়েছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। তবে খেলোয়াড়দের চুক্তি করার সময়সীমা পার হয়ে যাওয়ার পরও নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে চুক্তি করতে পারেননি জাদেজা।ফলে রাজস্থানের সঙ্গেও চুক্তি হারাতে হয় তাঁকে। মাঝপথে অন্য ফ্র্যাঞ্চাইজির সঙ্গে দল অদল-বদল নিয়ে আলোচনা করায় এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা।