ঢাকা ০১:৫৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

ক্রেডিট কার্ড চার্জ আরোপে নতুন নির্দেশনা জারি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ৭২২৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ক্রেডিট কার্ড ইস্যুর পরে গ্রাহক তা সক্রিয় করার আগেই ব্যাংক কর্তৃক তার বিপরীতে বিভিন্ন ধরনের নন-ট্রানজেকশনাল ফি/চার্জ আরোপ করছে। তা অনাদায়ে গ্রাহককে বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা হচ্ছে। ফলে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন গ্রাহকরা। এ অবস্থায় ক্রেডিট কার্ডে চার্জ আরোপে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ড সক্রিয় করার আগে গ্রাহকের ওপর কোনোরূপ নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জ আরোপ করা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়;
গ্রাহকের ইচ্ছায় ক্রেডিট কার্ড চালুর পরে নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জ আরোপ করা যাবে। তবে সক্রিয় ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকের লেনদেন (কেনাকাটা, নগদ উত্তোলন বা অন্য কোনো ধরনের মার্চেন্ট ট্রানজেকশন) সংক্রান্ত কোনো দায় না থাকলে অপরিশোধিত বা বিলম্বে পরিশোধজনিত কারণে নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জের অতিরিক্ত কোনোরূপ জরিমানা আরোপ করা যাবে না।
নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জের ওপর কোনো অবস্থায় সুদ বা মুনাফা আরোপ করা যাবে না।
নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জ সংক্রান্ত অপরিশোধিত দায়ের জন্য গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না। তবে ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকের লেনদেন সংক্রান্ত দায় গ্রাহক কর্তৃক যথাসময়ে পরিশোধিত না হলে ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিং বিষয়ক নীতিমালা অনুসরণপূর্বক গ্রাহককে বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে।
ক্রেডিট কার্ডের বিল সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে আদায় হলে আরোপিত নন-ট্রানজেকশনাল ফি-চার্জ সমন্বয়ের পরে গ্রাহকের লেনদেন সংক্রান্ত দায় সমন্বয় করা যাবে।

এ নীতিমালা জারির পূর্বে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন সংক্রান্ত দায় না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র অপরিশোধিত নন-ট্রানজেকশনাল ফি/চার্জ এর কারণে বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে এরূপ গ্রাহকের শ্রেণিমান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং এর আগে বিদ্যমান অন্যান্য সব নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ক্রেডিট কার্ড চার্জ আরোপে নতুন নির্দেশনা জারি

আপডেট সময় : ১২:৩৫:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ক্রেডিট কার্ড ইস্যুর পরে গ্রাহক তা সক্রিয় করার আগেই ব্যাংক কর্তৃক তার বিপরীতে বিভিন্ন ধরনের নন-ট্রানজেকশনাল ফি/চার্জ আরোপ করছে। তা অনাদায়ে গ্রাহককে বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা হচ্ছে। ফলে জনসাধারণের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন গ্রাহকরা। এ অবস্থায় ক্রেডিট কার্ডে চার্জ আরোপে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নতুন নির্দেশনা জারি করেছে।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, ক্রেডিট কার্ড সক্রিয় করার আগে গ্রাহকের ওপর কোনোরূপ নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জ আরোপ করা যাবে না। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়;
গ্রাহকের ইচ্ছায় ক্রেডিট কার্ড চালুর পরে নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জ আরোপ করা যাবে। তবে সক্রিয় ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকের লেনদেন (কেনাকাটা, নগদ উত্তোলন বা অন্য কোনো ধরনের মার্চেন্ট ট্রানজেকশন) সংক্রান্ত কোনো দায় না থাকলে অপরিশোধিত বা বিলম্বে পরিশোধজনিত কারণে নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জের অতিরিক্ত কোনোরূপ জরিমানা আরোপ করা যাবে না।
নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জের ওপর কোনো অবস্থায় সুদ বা মুনাফা আরোপ করা যাবে না।
নন-ট্রানজেকশনাল ফি বা চার্জ সংক্রান্ত অপরিশোধিত দায়ের জন্য গ্রাহককে খেলাপি করা যাবে না। তবে ক্রেডিট কার্ডে গ্রাহকের লেনদেন সংক্রান্ত দায় গ্রাহক কর্তৃক যথাসময়ে পরিশোধিত না হলে ঋণ শ্রেণিকরণ ও প্রভিশনিং বিষয়ক নীতিমালা অনুসরণপূর্বক গ্রাহককে বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা যাবে।
ক্রেডিট কার্ডের বিল সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে আদায় হলে আরোপিত নন-ট্রানজেকশনাল ফি-চার্জ সমন্বয়ের পরে গ্রাহকের লেনদেন সংক্রান্ত দায় সমন্বয় করা যাবে।

এ নীতিমালা জারির পূর্বে ক্রেডিট কার্ডে লেনদেন সংক্রান্ত দায় না থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র অপরিশোধিত নন-ট্রানজেকশনাল ফি/চার্জ এর কারণে বিরূপমানে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে এরূপ গ্রাহকের শ্রেণিমান সংশোধনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং এর আগে বিদ্যমান অন্যান্য সব নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে। ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে এ নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।