ঢাকা ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

বাংলাদেশের তরুণদের করোনা ওয়েবসাইট

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৫০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মে ২০২০ ১২২৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের তরুণরা সারা দুনিয়াতে আছে। যেখানেই থাকুক, যেভাবেই থাকুক, মনের মধ্যে তাদের দেশটাই থাকে। এমনি কিছু তরুণ তাদের অবসর সময়টুকুতে স্বাস্থ্যবিভাগের দেওয়া তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে একটা ওয়েবসাইট বানিয়েছে। আজ আমার সাথে ২৫ মিনিট জুমে কথা বলতে গিয়ে আড়াই ঘন্টা কথা হলো।

তাদের কাছ থেকে নেয়া একটা ম্যাপ দেখে থমকে গেলাম। ঢাকা শহরে কোভিড আক্রান্তদের ম্যাপ। দারুসসালাম ও শাহআলীতে এখনো পর্যন্ত কেস নাই। কারন কি? কারণ লকডাউন।

আপনাদের মনে আছে আমি আমাদের এমপির কথা লিখেছিলাম? মাইক দিয়ে, ক্যামেরা দিয়ে , বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তিনি লকডাউন কার্যকর করেছিলেন এই এলাকায়। তার ফলাফল দেখেন।

যারা বলে লকডাউন আর সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক কোন কাজের না , তাদের জন্য ম্যাপটা দিলাম। দারুসসালাম ও শাহআলী থানা দেখেন। হাতে নাতে প্রমাণ। সারা দেশে এভাবে ৬০ দিন লকডাউন রেখে টেস্ট আর ট্রেস করলে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতো।

খিলক্ষেত, উত্তরখান ও দক্ষিনখানেও নাই। সেখানকার লোকজন বলতে পারবেন তারা কেমন লকডাউন মেনেছেন। আমি আমার এলাকার কারনটা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।

এখনো সময় আছে। ম্যাপিং করে, এলাকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে, অল্প আক্রান্ত এলাকাগুলোকে আগে ও পরে অন্য এলাকাগুলোকে রোগশূণ্য করা সম্ভব।

কেন উহানকে আগে রোগনিয়ন্ত্রণে আনতে হয়? কেন নিউইয়র্কে রোগ না কমলে আমেরিকা বিপদমুক্ত হবে না? কারণ হলো এই শহরগুলো এপিসেন্টার অব এপিডেমিক।

ঢাকা যেমন বাংলাদেশের এপিসেন্টার। ঢাকাকে সাঁড়াশী অভিযান চালিয়ে করোনামুক্ত না করলে , বাংলাদেশে এর প্রকোপ কমবে না। ঢাকাতে রোগ না কমলে সারা দেশে রোগ কমবে না। ছড়াতেই থাকবে।

ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও চট্টগ্রাম, বেশি মনোযোগ দরকার। বোঝে না। কেউ বোঝে না। ছোট ভাইদের ধন্যবাদ। তারা একটা দারুন সাইট করেছে। অনেক ডেটা ও গ্রাফ। আরো আসবে। তারা শুধু সরকারি ডেটা ব্যবহার করেছে।

https://sites.google.com/view/bdcovid19update/

লেখক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও চিকিৎসক

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

বাংলাদেশের তরুণদের করোনা ওয়েবসাইট

আপডেট সময় : ০৫:৫০:০৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৫ মে ২০২০

বাংলাদেশের তরুণরা সারা দুনিয়াতে আছে। যেখানেই থাকুক, যেভাবেই থাকুক, মনের মধ্যে তাদের দেশটাই থাকে। এমনি কিছু তরুণ তাদের অবসর সময়টুকুতে স্বাস্থ্যবিভাগের দেওয়া তথ্যগুলো বিশ্লেষণ করে একটা ওয়েবসাইট বানিয়েছে। আজ আমার সাথে ২৫ মিনিট জুমে কথা বলতে গিয়ে আড়াই ঘন্টা কথা হলো।

তাদের কাছ থেকে নেয়া একটা ম্যাপ দেখে থমকে গেলাম। ঢাকা শহরে কোভিড আক্রান্তদের ম্যাপ। দারুসসালাম ও শাহআলীতে এখনো পর্যন্ত কেস নাই। কারন কি? কারণ লকডাউন।

আপনাদের মনে আছে আমি আমাদের এমপির কথা লিখেছিলাম? মাইক দিয়ে, ক্যামেরা দিয়ে , বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে তিনি লকডাউন কার্যকর করেছিলেন এই এলাকায়। তার ফলাফল দেখেন।

যারা বলে লকডাউন আর সামাজিক দূরত্ব, মাস্ক কোন কাজের না , তাদের জন্য ম্যাপটা দিলাম। দারুসসালাম ও শাহআলী থানা দেখেন। হাতে নাতে প্রমাণ। সারা দেশে এভাবে ৬০ দিন লকডাউন রেখে টেস্ট আর ট্রেস করলে করোনাকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতো।

খিলক্ষেত, উত্তরখান ও দক্ষিনখানেও নাই। সেখানকার লোকজন বলতে পারবেন তারা কেমন লকডাউন মেনেছেন। আমি আমার এলাকার কারনটা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি।

এখনো সময় আছে। ম্যাপিং করে, এলাকা অনুযায়ী ব্যবস্থা নিয়ে, অল্প আক্রান্ত এলাকাগুলোকে আগে ও পরে অন্য এলাকাগুলোকে রোগশূণ্য করা সম্ভব।

কেন উহানকে আগে রোগনিয়ন্ত্রণে আনতে হয়? কেন নিউইয়র্কে রোগ না কমলে আমেরিকা বিপদমুক্ত হবে না? কারণ হলো এই শহরগুলো এপিসেন্টার অব এপিডেমিক।

ঢাকা যেমন বাংলাদেশের এপিসেন্টার। ঢাকাকে সাঁড়াশী অভিযান চালিয়ে করোনামুক্ত না করলে , বাংলাদেশে এর প্রকোপ কমবে না। ঢাকাতে রোগ না কমলে সারা দেশে রোগ কমবে না। ছড়াতেই থাকবে।

ঢাকা, নারায়নগঞ্জ ও চট্টগ্রাম, বেশি মনোযোগ দরকার। বোঝে না। কেউ বোঝে না। ছোট ভাইদের ধন্যবাদ। তারা একটা দারুন সাইট করেছে। অনেক ডেটা ও গ্রাফ। আরো আসবে। তারা শুধু সরকারি ডেটা ব্যবহার করেছে।

https://sites.google.com/view/bdcovid19update/

লেখক মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও চিকিৎসক