নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যাক্তিগত আক্রোশের শিকার হয়ে লক্ষ্মীপুরে ঐতিহ্যবাহী সাইফিয়া দরবার শরীফ ও তার আওতাধীন প্রতিষ্ঠান গুলো অন্ধকারে। এতিমখানার কোমলমতি এতিমা শিশুরা, আলিম মাদ্রাসার শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রীরা,দরবার শরীফে আগত ভক্তবৃন্দ, বসতবাড়ির নারী শিশু,পোল্ট্রি ফার্ম,ডেইরী ফার্ম, সবাই অন্ধকারে রয়েছেন। সাইফিয়া দরবার শরীফে আগত মুসল্লীগণ অন্ধাকারেই নামাজ আদায় করছেন।
১ লা নভেম্বর (মঙ্গলবার)দরবার শরীফের নির্দিষ্ট পার্কিং স্থানে মোটরসাইকেল না রেখে নিরাপত্তা কর্মীদের অনুরোধকে তুচ্ছ করে দরবার শরীফের ভিতরে মোটরসাইকেল নিয়ে ডুকে পড়ে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুতের মিটার রিডার ও এজিএম সদস্য এলমান শাহ।
এসময় নিরাপত্তা কর্মীদের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে তারা পুলিশকে খবর দেয়। সৃষ্ট ঘটনায় দরবার শরীফের আলিয়া মাদ্রাসায় উভয় পক্ষের সাথে বৈঠক করে পুলিশের এস আই মোবারক।
এতে নিরাপত্তা কর্মীরা দুঃখ প্রকাশ করেন এবং বিদ্যুৎকর্মীদের সাথে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে এ ধরনের ভুল বুঝাবুঝি হবেনা বলে অঙ্গীকার করেন।
তারপরও পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ব্যাক্তিগত ক্ষোভের বশবতী হয়ে দরবার শরীফ ও তৎ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বৈদ্যুতিক সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয় তারা। সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ফলে ব্যাহত হচ্ছে পড়াশুনা অন্ধকার ও গরমে শতশত এতিম শিশু, শিক্ষার্থীরাসহ বৃদ্ধ মুসল্লীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
দরবারে আগত মুসল্লীগণ জানান,লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুৎ এর কর্মচারীদের খামখেয়ালীপনার কারণে এতিম শিশুরা, মাদ্রাসায় ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষকবৃন্দ, মসজিদের মুসল্লীগণ, এমনকি ডেইরি ফার্মে থাকা পশুরাও কষ্ট পাচ্ছে, সাইফিয়া দরবার শরীফের বিদ্যুৎ এর লাইন বিচ্ছিন্ন করার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তারা।
সাইফিয়া দরবার শরীফের পীরজাদা শাহ আতায়ে রাব্বী সিদ্দিকী বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তা প্রহরীরা আছেন অচেনা কেউ এলে পরিচয় দিয়ে ডুকতে হয়, বিদ্যুৎ কর্মচারীরা সেটি না মেনে সন্ত্রাসী স্টাইলে হোন্ডা নিয়ে প্রবেশ করায় নিরাপত্তা প্রহরীগণ তাদের বাঁধা দেয় এতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের নিরাপত্তা প্রহরীদের গালমন্দ করলে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। বিদ্যুৎ সরকারি সেবা সেই সেবা দিয়ে বিদ্যুৎ কর্মকর্তা কর্মচারীরা বেতন পান ব্যাক্তিগত আক্রোশে জিএম বিদ্যুৎ বন্ধ করার অধিকার নেই। আমার কোন ব্যক্তি যদি অন্যায় করে থাকে সেটার জন্য আইন আছে, আমরা প্রতিষ্ঠান প্রধানরা আছি আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতাম কিন্তু জিএম সাহেব সেটি না করে সরকারি সেবা বন্ধ করে নিজের প্রভাব খাটাচ্ছেন এটি লজ্জা জনক।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর পল্লী বিদ্যুতের জি এম জাকির হোসেন বলেন, ঘটনা শুনে আমি মৌখিক ভাবে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে জানানোর পর ডিসি মহোদয়ের নির্দেশে দরবার শরীফের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে, ব্যাক্তিগত আক্রোশে সরকারি সেবা বন্ধ করা যায় কিনা প্রশ্ন করা হলে তিনি সংযোগ কেটে দেন।