ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালীতে স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার-৩

বেগমগঞ্জ প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৮:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫ ৪১ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ একটি স্বর্ণের বারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, গতকাল সোমবার চাঁদপুর ও চট্রগ্রামের খুলশী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়নের ভবানী জীবনপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সোহেল (৩৫) ও তার বোন নুর জাহান বেগম (৪০) এবং তার স্বামী মাইন উদ্দিন (৪৯)।

 

পুলিশ জানায়, সৌদি আরবে দীর্ঘদিন একসাথে থাকার সুবাধে বেগমগঞ্জের সোহেলের সাথে উজ্জ্বল চৌকিদার ও সুজন চৌকিদারের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে সোহেল ছুটিতে বাংলাদেশে আসার সময় উজ্জ্বল চৌকিদার ও সুজন চৌকিদার তাদের পরিবারের জন্য ২৩ লাখ টাকা মূল্যের ১১৬ গ্রাম ৬ পয়েন্ট ওজনের ২৪ ক্যারেটের ১টি স্বর্ণের বার, ১০১ গ্রাম ওজনের ২১ ক্যারেট স্বর্ণের তৈরী অলংকারসহ মোট ২১৭ গ্রাম ৬ পয়েন্ট স্বর্ণ সোহেলের কাছে দেয়। কথা ছিল সোহেল দেশে আসার সাথে সাথে স্বর্ণের বার ও স্বর্ণালংকার বন্ধু উজ্জ্বল ও সুজনের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিবে। পরবর্তীতে সোহেল ২৩ ডিসেম্বর সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেন। কিন্তু কথা অনুযায়ী স্বর্ণের বার ও স্বর্ণালংকার তার বন্ধুর পরিবারের কাছে পৌঁছে না দিয়ে নিজের ব্যবহৃত মোবাইল, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করে দেয়।

 

পুলিশ আরও জানায়, পরে উজ্জ্বল ও সুজনের পরিবারের লোকজন আসামির ঠিকানা সংগ্রহ করে বাড়িতে গিয়ে স্বর্ণ দাবি করলে আসামি ও তার পরিবার স্বর্ণের কথা অস্বীকার করে। উল্টো তাদেরকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি প্রদান করে। এরপর আসামি এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় উজ্জ্বলের মামা আবুল কালাম বাদী হয়ে গত ৫ জানুয়ারি বেগমগঞ্জ মডেল থানায় এজাহার দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় আসামির বোন ও বোনের স্বামীর হেফাজত থেকে ১১৬ গ্রাম ৬ পয়েন্ট ওজনের ২৪ ক্যারেট এর ১টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।

 

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

নোয়াখালীতে স্বর্ণের বারসহ গ্রেপ্তার-৩

আপডেট সময় : ০৮:০৮:৩৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ থানার পুলিশ একটি স্বর্ণের বারসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে আসামিদের নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। এর আগে, গতকাল সোমবার চাঁদপুর ও চট্রগ্রামের খুলশী থানা এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

 

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, বেগমগঞ্জের ছয়ানী ইউনিয়নের ভবানী জীবনপুর গ্রামের মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে সোহেল (৩৫) ও তার বোন নুর জাহান বেগম (৪০) এবং তার স্বামী মাইন উদ্দিন (৪৯)।

 

পুলিশ জানায়, সৌদি আরবে দীর্ঘদিন একসাথে থাকার সুবাধে বেগমগঞ্জের সোহেলের সাথে উজ্জ্বল চৌকিদার ও সুজন চৌকিদারের সাথে সু-সম্পর্ক গড়ে উঠে। একপর্যায়ে সোহেল ছুটিতে বাংলাদেশে আসার সময় উজ্জ্বল চৌকিদার ও সুজন চৌকিদার তাদের পরিবারের জন্য ২৩ লাখ টাকা মূল্যের ১১৬ গ্রাম ৬ পয়েন্ট ওজনের ২৪ ক্যারেটের ১টি স্বর্ণের বার, ১০১ গ্রাম ওজনের ২১ ক্যারেট স্বর্ণের তৈরী অলংকারসহ মোট ২১৭ গ্রাম ৬ পয়েন্ট স্বর্ণ সোহেলের কাছে দেয়। কথা ছিল সোহেল দেশে আসার সাথে সাথে স্বর্ণের বার ও স্বর্ণালংকার বন্ধু উজ্জ্বল ও সুজনের পরিবারের কাছে পৌঁছে দিবে। পরবর্তীতে সোহেল ২৩ ডিসেম্বর সৌদি আরব থেকে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেন। কিন্তু কথা অনুযায়ী স্বর্ণের বার ও স্বর্ণালংকার তার বন্ধুর পরিবারের কাছে পৌঁছে না দিয়ে নিজের ব্যবহৃত মোবাইল, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম বন্ধ করে দেয়।

 

পুলিশ আরও জানায়, পরে উজ্জ্বল ও সুজনের পরিবারের লোকজন আসামির ঠিকানা সংগ্রহ করে বাড়িতে গিয়ে স্বর্ণ দাবি করলে আসামি ও তার পরিবার স্বর্ণের কথা অস্বীকার করে। উল্টো তাদেরকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি প্রদান করে। এরপর আসামি এলাকা থেকে গা ঢাকা দেয়। এ ঘটনায় উজ্জ্বলের মামা আবুল কালাম বাদী হয়ে গত ৫ জানুয়ারি বেগমগঞ্জ মডেল থানায় এজাহার দায়ের করলে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এ সময় আসামির বোন ও বোনের স্বামীর হেফাজত থেকে ১১৬ গ্রাম ৬ পয়েন্ট ওজনের ২৪ ক্যারেট এর ১টি স্বর্ণের বার জব্দ করা হয়।

 

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিটন দেওয়ান বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।