ঢাকা ০৮:৩৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

থানায় আটকে নির্যাতন, সুধারাম থানার ওসিসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪ ২০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিসহ সাত পুলিশকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছে এক আইনজীবী।

 

মামলার অপর আসামিরা হলেন, সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান পাঠান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপু বড়ুয়া, মো. কামাল হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু তালেব, কনস্টেবল মো. রাসেল ও থানার মুন্সি রুবেল বড়ুয়া।

 

গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) জেলা ও দায়রা জজ ফজলে এলাহীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী মিনারুল ইসলাম মিনার (৩৫) বাদী হয়ে। আদালত আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ প্রদান করে।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাত বছর বয়সী এক শিশুকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মিনারুল ইসলাম মিনার আদালতে শিশুটির জামিন আবেদন ও মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। এ সময় শিশুকে আসামি করায় আদালত সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিকে সশরীরে হাজির করে তিরস্কার করেন। আদালতে শিশুর পক্ষে আইনজীবী মিনারুল ইসলাম মিনার মামলা পরিচালনা করায় ওসি তার ওপর প্রতিহিংসা লালন করেন এবং বিপদে ফেলে অপমানের চেষ্টা করেন।

 

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে করা এক মামলায় মিনারুল ইসলাম মিনারের মামা আবদুল করিম মুক্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিনার তার মামাকে দেখতে থানায় গেলে তাকে আটক করে শারীরিক নির্যাতন চালায় পুলিশ। তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে গেলে তাদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন পুলিশ সদস্যরা। ঘুষের টাকা দিতে না পারায় তাকে একটি মামলায় আসামি করে আদালতে চালান করা হয়। এ ছাড়া রিমান্ড আবেদন না করার শর্তে তাদের থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করেন এসআই কামাল হোসেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনির মুঠোফোন কল করা হলে ফোন রিসিভ করেন সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান পাঠান। তিনি বলেন, ওই আইনজীবী একটি মামলার আসামি এটা সত্য। তবে এ ছাড়া আইনজীবীর করা সকল অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

থানায় আটকে নির্যাতন, সুধারাম থানার ওসিসহ ৭ পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা

আপডেট সময় : ০১:১১:০৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ অগাস্ট ২০২৪

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিসহ সাত পুলিশকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেছে এক আইনজীবী।

 

মামলার অপর আসামিরা হলেন, সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান পাঠান, উপ-পরিদর্শক (এসআই) অপু বড়ুয়া, মো. কামাল হোসেন, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আবু তালেব, কনস্টেবল মো. রাসেল ও থানার মুন্সি রুবেল বড়ুয়া।

 

গতকাল বুধবার (১৪ আগস্ট) জেলা ও দায়রা জজ ফজলে এলাহীর আদালতে মামলাটি দায়ের করেন আইনজীবী মিনারুল ইসলাম মিনার (৩৫) বাদী হয়ে। আদালত আগামী ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ প্রদান করে।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি সাত বছর বয়সী এক শিশুকে আসামি করে সুধারাম মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়। মামলায় আসামিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে মিনারুল ইসলাম মিনার আদালতে শিশুটির জামিন আবেদন ও মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন। এ সময় শিশুকে আসামি করায় আদালত সুধারাম মডেল থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনিকে সশরীরে হাজির করে তিরস্কার করেন। আদালতে শিশুর পক্ষে আইনজীবী মিনারুল ইসলাম মিনার মামলা পরিচালনা করায় ওসি তার ওপর প্রতিহিংসা লালন করেন এবং বিপদে ফেলে অপমানের চেষ্টা করেন।

 

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে করা এক মামলায় মিনারুল ইসলাম মিনারের মামা আবদুল করিম মুক্তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মিনার তার মামাকে দেখতে থানায় গেলে তাকে আটক করে শারীরিক নির্যাতন চালায় পুলিশ। তার পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে গেলে তাদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন পুলিশ সদস্যরা। ঘুষের টাকা দিতে না পারায় তাকে একটি মামলায় আসামি করে আদালতে চালান করা হয়। এ ছাড়া রিমান্ড আবেদন না করার শর্তে তাদের থেকে ২০ হাজার টাকা আদায় করেন এসআই কামাল হোসেন।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনির মুঠোফোন কল করা হলে ফোন রিসিভ করেন সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মিজানুর রহমান পাঠান। তিনি বলেন, ওই আইনজীবী একটি মামলার আসামি এটা সত্য। তবে এ ছাড়া আইনজীবীর করা সকল অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যা দাবি করেন পুলিশের এই কর্মকর্তা।