ঢাকা ০৫:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

আট স্যুটকেস চিকিৎসা সামগ্রী বিমানবন্দরে আটকা ডা. ফেরদৌসের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুন ২০২০ ৩১৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক::

করোনা চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রে সুনাম অর্জনকারী ডা. ফেরদৌস বাংলাদেশে পৌঁছলেও তার আটটি স্যুটকেস বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে। সে স্যুটকেসগুলোতে করোনা প্রতিরোধে ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, পিপিইসহ চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে।

এসব তিনি এনেছিলেন করোনার সম্মুখযোদ্ধাদের দিতে। এসব পণ্য আমদানিতে সম্প্রতি এনবিআর সব ধরনের শুল্ককর মওকুফ দিয়েছে। কিন্তু ডা. ফেরদৌস অভিযোগ করেন, শুল্ককর দিতে হবে। না হয় ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব সামগ্রী কাউকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেকোন হাসপাতালে দিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তবে এনবিআরের একটি সূত্র বলছে, শুল্ককর নয় কিছু প্রক্রিয়া শেষে স্যুটকেসগুলো ছাড়া হবে। এ নিয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।

সোমবার (৮ জুন) নিজের ফেসবুক পেইজে (ডা. ফেরদৌস) লাইভে এসে তিনি এসব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমি ৮ টি স্যুটকেস নিয়ে এসেছিলাম। বেশকিছু মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই ইত্যাদি সামগ্রী ডাক্তার নার্সদের দেবো বলে। কিন্তু এয়ারপোর্টে আটকে দিলো। ট্যাক্স নাকি দিতে হবে। রেখেই দিলো। আনতে পারিনি। আপনাদের কেউ যদি থাকেন ছাড়াতে পারবেন। ছাড়িয়ে নিয়ে যান।’

তিনি বলেন, ‘ফ্রন্টলাইনের যে কাউকে দিতে পারেন। আমার কোনো দাবি, আমি এসেছি আপনাদের পাশে, আমি কাজটুকু করতে চাই। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ পারেন ছাড়িয়ে সেসব যে কোনো একটি হাসপাতালে দিয়ে দিতে পারেন। আমার কোনো দাবি নেই।’

অপরদিকে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি, মাস্ক, সুরক্ষা পোশাকসহ ১২ ধরনের পণ্য আমদানিতে সব ধরনের শুল্ককর অব্যাহতি দিয়ে ২২ মার্চ এনবিআর চেয়ারম্যান সই করা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এসব পণ্য আমদানিতে আমদানি শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট, আগাম ভ্যাট ও অগ্রিম কর দিতে হবে না। ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুবিধা নিতে পারবেন এসব পণ্য আমদানিকারকরা।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করতে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল প্রয়োজন হয়। এই আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল আমদানি করলে কোনো শুল্ক দিতে হবে না। কভিড–১৯–এ দুই ধরনের টেস্ট কিটস এবং ডায়াগনস্টিক টেস্ট যন্ত্রপাতিতেও কোনো শুল্ককর নেই। এ ছাড়া এই পণ্যের তালিকায় আছে তিন স্তরের সার্জিক্যাল মাস্ক, সুরক্ষা পোশাক, প্লাস্টিক ফেস শিল্ডস, সার্জিক্যাল পোশাক, বিশেষ ওভেন স্যুট, মেডিকেল প্রটেকটিভ গিয়ার, সুরক্ষা চশমা, ডিসইনফেকটেন্টস।

তবে প্রজ্ঞাপনে দুটি শর্ত দেয়া হয়। প্রথমত, কী পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হবে, তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমদানি করা পণ্যগুলো মানসম্মত কি না, তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নিশ্চিত হতে হবে এবং নিয়মিত তদারক করবে।

বাংলাদেশে ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে ঢাকার ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। রোববার (৭ জুন) বিকেলে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তিনি।

blob:https://web.facebook.com/b8b6e3f5-7ada-4dbf-a6e2-220716bb5f04

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

আট স্যুটকেস চিকিৎসা সামগ্রী বিমানবন্দরে আটকা ডা. ফেরদৌসের

আপডেট সময় : ০৮:৪৭:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ জুন ২০২০

ডেস্ক::

করোনা চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্রে সুনাম অর্জনকারী ডা. ফেরদৌস বাংলাদেশে পৌঁছলেও তার আটটি স্যুটকেস বিমানবন্দরে আটকে দেওয়া হয়েছে। সে স্যুটকেসগুলোতে করোনা প্রতিরোধে ব্যবহৃত মাস্ক, গ্লাভস, পিপিইসহ চিকিৎসা সামগ্রী রয়েছে।

এসব তিনি এনেছিলেন করোনার সম্মুখযোদ্ধাদের দিতে। এসব পণ্য আমদানিতে সম্প্রতি এনবিআর সব ধরনের শুল্ককর মওকুফ দিয়েছে। কিন্তু ডা. ফেরদৌস অভিযোগ করেন, শুল্ককর দিতে হবে। না হয় ছাড়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এসব সামগ্রী কাউকে ছাড়িয়ে নিয়ে যেকোন হাসপাতালে দিয়ে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন। তবে এনবিআরের একটি সূত্র বলছে, শুল্ককর নয় কিছু প্রক্রিয়া শেষে স্যুটকেসগুলো ছাড়া হবে। এ নিয়ে কেউ কথা বলতে রাজি হয়নি।

সোমবার (৮ জুন) নিজের ফেসবুক পেইজে (ডা. ফেরদৌস) লাইভে এসে তিনি এসব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘আমি ৮ টি স্যুটকেস নিয়ে এসেছিলাম। বেশকিছু মাস্ক, গ্লাভস, পিপিই ইত্যাদি সামগ্রী ডাক্তার নার্সদের দেবো বলে। কিন্তু এয়ারপোর্টে আটকে দিলো। ট্যাক্স নাকি দিতে হবে। রেখেই দিলো। আনতে পারিনি। আপনাদের কেউ যদি থাকেন ছাড়াতে পারবেন। ছাড়িয়ে নিয়ে যান।’

তিনি বলেন, ‘ফ্রন্টলাইনের যে কাউকে দিতে পারেন। আমার কোনো দাবি, আমি এসেছি আপনাদের পাশে, আমি কাজটুকু করতে চাই। আপনাদের মধ্যে যদি কেউ পারেন ছাড়িয়ে সেসব যে কোনো একটি হাসপাতালে দিয়ে দিতে পারেন। আমার কোনো দাবি নেই।’

অপরদিকে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি, মাস্ক, সুরক্ষা পোশাকসহ ১২ ধরনের পণ্য আমদানিতে সব ধরনের শুল্ককর অব্যাহতি দিয়ে ২২ মার্চ এনবিআর চেয়ারম্যান সই করা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এসব পণ্য আমদানিতে আমদানি শুল্ক, নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক, সম্পূরক শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট, আগাম ভ্যাট ও অগ্রিম কর দিতে হবে না। ৩০ জুন পর্যন্ত এই সুবিধা নিতে পারবেন এসব পণ্য আমদানিকারকরা।

হ্যান্ড স্যানিটাইজার তৈরি করতে আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল প্রয়োজন হয়। এই আইসোপ্রোপাইল অ্যালকোহল আমদানি করলে কোনো শুল্ক দিতে হবে না। কভিড–১৯–এ দুই ধরনের টেস্ট কিটস এবং ডায়াগনস্টিক টেস্ট যন্ত্রপাতিতেও কোনো শুল্ককর নেই। এ ছাড়া এই পণ্যের তালিকায় আছে তিন স্তরের সার্জিক্যাল মাস্ক, সুরক্ষা পোশাক, প্লাস্টিক ফেস শিল্ডস, সার্জিক্যাল পোশাক, বিশেষ ওভেন স্যুট, মেডিকেল প্রটেকটিভ গিয়ার, সুরক্ষা চশমা, ডিসইনফেকটেন্টস।

তবে প্রজ্ঞাপনে দুটি শর্ত দেয়া হয়। প্রথমত, কী পরিমাণ পণ্য আমদানি করা হবে, তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর কর্তৃক অনুমোদিত হতে হবে। দ্বিতীয়ত, আমদানি করা পণ্যগুলো মানসম্মত কি না, তা ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর নিশ্চিত হতে হবে এবং নিয়মিত তদারক করবে।

বাংলাদেশে ফেরার পর যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে ঢাকার ব্র্যাক ট্রেনিং সেন্টারে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। রোববার (৭ জুন) বিকেলে কাতার এয়ারওয়েজের একটি বিশেষ ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন তিনি।

blob:https://web.facebook.com/b8b6e3f5-7ada-4dbf-a6e2-220716bb5f04