ঢাকা ১১:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

সাংবাদিক নির্যাতন, কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানার বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত শুরু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০ ৭১৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক রিপোর্ট::

 

সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। আজ সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা অনু বিভাগে অনুসন্ধান ও শুনানি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন ও সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অধিকতর তদন্তে তিনি (সুলতানা পারভীন) দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই তাঁকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।’

গত ১৪ মার্চ কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধরে নিয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এক বছরের কারাদণ্ড দেন। আরিফের বাড়িতে আধবোতল মদ ও গাঁজা পাওয়ার অভিযোগ এনে তাঁর ওপর অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়। সাংবাদিক আরিফকে শাস্তি দেওয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশে স্বাক্ষরকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা ১৮ জুন বিভাগীয় মামলার জবাবে জানান, তিনি সাজার আদেশে (পরোয়ানায়) স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

গত ১৮ জুন নির্বাহী বিভাগীয় মামলায় অভিযোগের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা আরো জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনার কথা বলে তাঁকে স্বাক্ষর করতে চাপ দেন আরডিসি নাজিম উদ্দিন। দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা পর প্রসিকিউশন পক্ষকে ডিসি অফিসে ডেকে এনে নথিতে স্বাক্ষর করানো হয় বলে জানান রিন্টু বিকাশ চাকমা।

রিন্টু বিকাশ চাকমার দাবি, নাজিম উদ্দিন পেশকার সাইফুল ইসলামকে ডিসি অফিসে জব্দ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিলে, পরে আধা লিটার মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধারের বিষয়টি তিনি জেনেছেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব প্রতিবেদন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নজরে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরপরই মন্ত্রণালয় সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের উদ্যোগ নেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

সাংবাদিক নির্যাতন, কুড়িগ্রামের সাবেক ডিসি সুলতানার বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্ত শুরু

আপডেট সময় : ০৩:৪৫:৪১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ জুলাই ২০২০

ডেস্ক রিপোর্ট::

 

সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে কুড়িগ্রামের সাবেক জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলার কার্যক্রমও চলমান রয়েছে। আজ সোমবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীনকে আমরা তাৎক্ষণিকভাবে প্রত্যাহার করে নিয়েছি। তাঁর বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয়ের শৃঙ্খলা অনু বিভাগে অনুসন্ধান ও শুনানি কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’

প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের আলোকে সুলতানা পারভীন, আরডিসি নাজিম উদ্দিন ও সহকারী কমিশনার রিন্টু বিকাশ চাকমা ও এস এম রাহাতুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ মামলার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। অধিকতর তদন্তে তিনি (সুলতানা পারভীন) দোষী প্রমাণিত হলে অবশ্যই তাঁকে শাস্তি ভোগ করতে হবে।’

গত ১৪ মার্চ কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে সাংবাদিক আরিফুল ইসলামের বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ধরে নিয়ে জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত এক বছরের কারাদণ্ড দেন। আরিফের বাড়িতে আধবোতল মদ ও গাঁজা পাওয়ার অভিযোগ এনে তাঁর ওপর অমানসিক নির্যাতন চালানো হয়। সাংবাদিক আরিফকে শাস্তি দেওয়া ভ্রাম্যমাণ আদালতের আদেশে স্বাক্ষরকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা ১৮ জুন বিভাগীয় মামলার জবাবে জানান, তিনি সাজার আদেশে (পরোয়ানায়) স্বাক্ষর করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

গত ১৮ জুন নির্বাহী বিভাগীয় মামলায় অভিযোগের জবাবে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রিন্টু বিকাশ চাকমা আরো জানান, জেলা প্রশাসকের নির্দেশনার কথা বলে তাঁকে স্বাক্ষর করতে চাপ দেন আরডিসি নাজিম উদ্দিন। দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা পর প্রসিকিউশন পক্ষকে ডিসি অফিসে ডেকে এনে নথিতে স্বাক্ষর করানো হয় বলে জানান রিন্টু বিকাশ চাকমা।

রিন্টু বিকাশ চাকমার দাবি, নাজিম উদ্দিন পেশকার সাইফুল ইসলামকে ডিসি অফিসে জব্দ তালিকা তৈরির নির্দেশ দিলে, পরে আধা লিটার মদ ও দেড়শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধারের বিষয়টি তিনি জেনেছেন।

বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত এসব প্রতিবেদন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নজরে পড়েছে বলে জানিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। এরপরই মন্ত্রণালয় সুলতানা পারভীনের বিরুদ্ধে অধিকতর তদন্তের উদ্যোগ নেয়।