নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর সদর উপজেলার উত্তর সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ির মুন্সী জাহাঙ্গীর আলমের হাতে দিদারুল আলম নামের এক যুবক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে পুলিশ সুপার বরাবর অভিযোগ দাখিল করেছেন।
সোমবার দুপুরে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার কার্যালয়ে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন ওই যুবক। এরআগে দুপুর ১২টার দিকে সোনাপুর-মাইজদী সড়কের সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে তিনি পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। অভিযোগকারী ওই যুবক সদর উপজেলার চর শুল্লুকিয়া গ্রামের সুলতান আহম্মেদের ছেলে।
অভিযোগে যুবক দিদারুল আলম জানান, গত কয়েক দিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ্য থাকায় সোমবার সকালে করোনা পরিস্থিতিতে কোন ধরনের যানবাহন না পেয়ে সকল ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করে নিজ মোটরসাইকেল যোগে নোয়াখালী সদর হাসপাতালের উদ্দেশ্য বাড়ি থেকে বের হন। তিনি সোনাপুর পুলিশ ফাঁড়ির সামনে গেলে সিভিল পোশাকে তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করেন পুলিশ ফাঁড়ির মুন্সী জাহাঙ্গীর আলম। এসময় জাহাঙ্গীর আলম লকডাউনের মধ্যে বের হওয়ার কারণ জানতে চাইলে তিনি তার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা সর্ত্বেও তার শার্টের কলার ধরে কিল-ঘুষি মেরে চরম নির্যাতন শুরু করেন। এক পর্যায়ে তাকে টেনেহিছঁড়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভিতরে নিয়েও বেদম নির্যাতন করে। এতে ওই যুবক শারীরিকভাবে আহত হয়।
ঘটনার পর ওই যুবক পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়ে এ ঘটনার বিচার দাবি করেন। এদিকে লকডাউন নিশ্চিতে কোন কারণ না জিজ্ঞেস না করেই প্রকাশ্যে জনসাধরণকে এভাবে নির্যাতনের প্রতিবাদ জানান উপস্থিত জনসাধরণ।