রিজেন্টের নথিপত্রের জন্য দুদকের টিম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : সোমবার, ২০ জুলাই, ২০২০

ডেস্ক রিপোর্ট::

 

কভিড চিকিৎসায় প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত রিজেন্ট হাসপাতালের তথ্য ও নথিপত্রের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে গেছে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান টিম।

গতকাল বেলা ১টা ৫০ মিনিট থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টা দুদকের ওই দল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অবস্থান করে এবং অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সঙ্গে বৈঠক করে।

বৈঠক শেষে দুদকের দলনেতা ও সংস্থার উপপরিচালক আবু বকর সিদ্দিক সাংবাদিকদের বলেন, গত ১৫ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতাল-সংক্রান্ত বেশকিছু নথিপত্র স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে সশরীরে উপস্থিত হয়ে আমরা চেয়েছিলাম। রোববার তাদের তথ্য দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তারা সেটি দেননি। বলেছেন, সোমবার (২০ জুলাই) দুদক কার্যালয়ে তারা রেকর্ডপত্র পাঠিয়ে দেবেন।

রিজেন্টের বিষয়ে কোনো তথ্যে অসংগতি পেয়েছেন কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, সম্পূর্ণ রেকর্ডপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে কিছু অসংগতি আমরা পেয়েছি। যেমন করোনা টেস্টের জন্য কোনো টাকা নেওয়ার কথা না থাকলেও রিজেন্ট হাসপাতাল টাকা নিয়েছিল। আসলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রেকর্ডপত্র পাওয়ার পরই আমরা সবকিছু বলতে পারব।

এর আগে গতকাল বেলা ১টা ৫০ মিনিটে হঠাৎ করেই আবু বকর সিদ্দিকীর নেতৃত্বে দুদকের চার সদস্যের একটি দল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে আসে। ১টা ৫৫ মিনিটে তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদের কক্ষে প্রবেশ করেন। ঠিক দেড় ঘণ্টা পর বিকাল ৩টা ২৫ মিনিটে তারা কক্ষ থেকে বের হন। বৈঠক চলাকালে বাইরে থেকে কাউকে বাইরে বের হতে এবং ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি।

গত ১৩ জুলাই রিজেন্ট হাসপাতাল ও এর চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধান করার সিদ্ধান্ত নেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে এ অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে, যার জন্য তিন সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়। কমিশনের উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের অনুসন্ধান দলের অন্য সদস্যরা হলেন মো. নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।

গত ৬ জুলাই নানা অনিয়ম, প্রতারণা, সরকারের সঙ্গে চুক্তি ভঙ্গ ও করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট ও সার্টিফিকেট দেওয়া এবং রোগীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে রিজেন্ট গ্রুপের দুটি হাসপাতালে অভিযান চালান র‌্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানের নেতৃত্ব দেন র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সারোয়ার আলম। অভিযানে গিয়ে প্রতারণার সত্যতা মেলে, সেইসঙ্গে পাওয়া যায় গুরুত্বপূর্ণ সব তথ্য। পরদিন ৭ জুলাই রিজেন্ট গ্রুপের প্রধান কার্যালয় এবং রাজধানীর উত্তরা ও মিরপুরের দুটি হাসপাতাল সিলগালা করে দেওয়া হয়। হাসপাতালটি প্রতারণা করে ১০ হাজারেরও বেশি করোনা পরীক্ষার ভুয়া সার্টিফিকেট দিয়েছে। অভিযানের সময় রিজেন্ট হাসপাতালের পরিচালক ও ব্যবস্থাপকসহ আটজনকে আটক করেছে র‌্যাব।

এরপর এর চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গত ১৫ জুলাই ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীরে সীমান্ত এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০