লক্ষীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষীপুর সদর উপজেলার কুশাখালী ইউনিয়নের গোরারবাগে এক বৃদ্ধা নারীর স্বামীর পৈত্রিক সম্পত্তি জবর-দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে ভূক্তভোগী বিধবা নারী দেলোয়ারা বেগম (৬৫)। তিনি কুশাখালীর আলা বক্স পাটওয়ারী বাড়ির মৃত জালাল আহম্মদের স্ত্রী।
অভিযুক্তরা হলেন, পাশ্ববর্তী দিঘলী ইউনিয়নের পূর্ব দিঘলী গ্রামের ফখরুল ইসলাম রিয়াজ (৩৭), মোক্তার উদ্দিন মানিক (৬৫), মো. রাকিব হোসেন রাফি ও সেতারা বেগম। তারা ভূক্তভোগী বৃদ্ধার জমিতে থাকা পানির নলকূপ ও বেড়া ভাঙচুর করে এবং সেখানে থাকা বিভিন্ন প্রজাতির ৩০/৩৫ টি গাছপালা কেটে ফেলে।
স্থানীয় সূত্র ও অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দেলোয়ারা বেগমের স্বামীর পৈত্রিক সূত্রে মালিকানাধীন সম্পত্তি নিয়ে প্রতিবেশি মোক্তার উদ্দিন মানিকদের সাথে বিরোধ দেখা দেয়। এ নিয়ে বিভিন্ন সময়ে বৃদ্ধা দেলোয়ারা বেগম ও তার সন্তানদেরকে কে হুমকি-ধামকি দিয়ে আসছে অভিযুক্তরা। তারা জোরপূর্বক সম্পত্তি জবর-দখলের চেষ্টা চালায়।
গত ৫ আগষ্ট বিকেলে দেলোয়ারা তার জমিতে জনগনের সার্থে তার সম্পত্তিতে সরকারের দেওয়া গভীর নলকুপ বসাতে গেলে তাতে বাধা দেয় মোক্তার উদ্দিন ও তার ৪ সন্তাসসহ দলবল নিয়ে গভীর নলকুপ বসাতে বাধা প্রধান করেন। পরে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবশের দিন মোক্তারের সহযোগি ফকরু ইলাম, রিয়জ ও তার স্ত্রী মনালিচা ইয়াস মিন ও তার মা’ ছেতারা বেগমের সহযোগিতায় দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে বিভিন্ন প্রজাতির গাজপালা কেটে ফেলে তাতে বাধা প্রদান করলে দেলোয়ারা বেমগ ও তার ছোট মেয়ে সামছুন্নার ইয়াসমিনের ওপর হামলা করে। ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে থানা পুলিশ বিষয়টি মিমাংসার জন্য দুই পক্ষকে ডাকলে এতে অপরগতা প্রকাশ করে এবং ক্ষিপ্ত হয় বিবাদীরা।গত ১৫ আগষ্ট দুপুরে ওই সম্পত্তিতে দেলোয়ারা বেগম মাটি ভরাট করতে গেলে অভিযুক্তরা লাঠি-সোটা ও দা-চেনী নিয়ে হামলা করতে আসে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে হামলাকারীদের হাত থেকে তাদের রক্ষা করে। এ সময় তারা দেলোয়ারার জমিতে থাকা গভীর নলকূপ ও বাঁশের বেড়া ভাঙচুর করে। এ সময় জমিতে থাকা ৩০/৩৫ টি গাছ কেটে ফেলে তারা। এতে তাদের ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে জানান ভূক্তভোগী পরিবার।
ভূক্তভোগীদের অভিযোগ, মোক্তার উদ্দিন মানিক ও তার পরিবারের সদস্যরা পুরোপুরি সন্ত্রাসী কায়দায় তাদের জমিতে এসে হামলা ও ভাঙচুর করে। এ সময় তারা বিভিন্ন হুমকি দেয় বলে জানায় ভূক্তভোগীরা। এ ঘটনায় চন্দ্রগঞ্জ থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন বৃদ্ধা মনোয়ারা বেগম। এই বেপারে অভিযুক্ত ফকরুল ইসলাম জানানা এই সম্পত্তি আমাদের তারা জোর পুর্বক দখল করছে আমরা বাধা প্রদান করি। এই বেপারে আমি দুমাস আগে তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি।
এ ব্যাপারে চন্দ্রগঞ্জ থানার এস আই,ছাইফুল ইসলাম বলেন ,অভিযোগের ভিত্তিতে উভয় পক্ষকে থানায় বসিয়ে মিমাংসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে ।