লক্ষীপুর প্রতিনিধি:
দুই লাখ টাকা চাঁদা না দেওয়ায় হত্যার উদেশ্যে মাহমুদুল আলম সবুজ নামে এক যুবলীগ কর্মীর পায়ে গুলি করেন আনোয়ার হোসেন ওরপে ল্যাংড়া আনোয়ার। ওই ঘটনায় সবুজের বাবা বাদী হয়ে আনোয়ারসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যাচেষ্টা লক্ষীপুর মডেল থানায় মামলা করেন, যার নং জি আর ০৪/২০০০ইং। সে মামলায় এই আওয়ামী লীগ নেতার ১৭ বছর সাজা দেয় আদালত। কিন্তু স্থায়ী জামিন নিয়ে করে বেড়াচ্ছেন পূর্বের ন্যায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম। মারধর ও হত্যার হুমকি দিচ্ছেন বাদীসহ তাঁর পরিবারের সদস্যদের। অথচ পঙ্গুত্ব বরণ করে এখনো কষ্টে দিন কাটছে যুবলীগ নেতা সবুজের।
আনোয়ার হোসেন লক্ষীপুর সদর উপজেলার হাজীরপাড়া এলাকার মৃত. আব্দুল হাই’র ছেলে। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম।
মামলার বাদি ও সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা নুরুল আলম ভুঁইয়া বলেন, আনোয়ার আওয়ামী লীগের কর্মী দাবি করেন । তার রয়েছে এক সন্ত্রাসী বাহিনী। কয়েকবছর পূর্বে ২০০০ সালে আমার ছেলে সবুজের থেকে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে সে। দাবিকৃত টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করায় দলবল নিয়ে হত্যার উদেশ্যে বাম পায়ে গুলি করে আনোয়ার। পরে লোকজন এগিয়ে এলে সে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। ওই হত্যাচেষ্টা ঘটনায় আনোয়ারসহ ৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করি। পরবর্তীতে সে মামলায় আদালত আনোয়ারের ১৭ বছরের সাজা দেয়। বাকী আসামীদেরও বিভিন্ন মেয়াদে সাজার রায় দেয় আদালত। কিন্তু আনোয়ারকে একদিনও কারাবরণ করতে হয়নি। কারন পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। অথচ এ ঘটনায় তার ছেলে পঙ্গুত্ব বরণ করে কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। আবার আনোয়ার তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে বিভিন্নভাবে আমাদের পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিচ্ছে। সারাক্ষন ভয়ে দিন কাটছে তাদের।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি খলিলুর রহমানসহ অনেকে অভিযোগ করে বলেন, একসময় কয়েকটি চুরির ঘটনায় শাস্তি হয়েছিলো আনোয়ার হোসেন ওরফে ল্যাংড়া আনোয়ারের। তাছাড়া দলের নাম ভাঙিয়ে সে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রমও করছে। জোরপূর্বক আত্মসাত করছেন অসহায় ও দুঃস্থদের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল ও অর্থ। অথচ সে একজন সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী। কিন্তু প্রকাশ্যে এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আগের মতোই সন্ত্রাসী কার্যাক্রম পরিচালনা করছেন।
অভিযোগটি অস্বীকার করে আনোরয়ার বলেন, সবুজ আমাদের প্রতিবেশী। তাদের সঙ্গে আমাদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ দীর্ঘদিন থেকে চলে আসছে। পারিবারিক শত্রুতার জের ধরে আমাকে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হয়েছে। সে মামলায় ৬ মাস কারাবরণ করেছি। এখন স্থায়ী জামিন নিয়ে বাড়িতে আছি। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সম্ভাব্য সদস্য (মেম্বার) পদে আমি একজন প্রার্থী। যখনি এলাকার বিভিন্ন স্থানে বলে বেড়াচ্ছি, ঠিক তখনি আমার প্রতি পক্ষরা আমার নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে।