ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

ঠিকাদার অপহরন মামলায় ফেনীর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৪:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ ৪৫৫৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফেনী প্রতিনিধি :

ফেনী জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গ্রাম পুলিশের (চৌকিদার-দফাদার) পোষাক সরবরাহের দরপত্র জমা দিতে খলিলুর রহমান নামের এক ঠিকাদারকে অপহরণ মামলায় শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি জানে আলম দুলালকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে জাহানপুর এলাকার নিজবাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এএনএম নুরুজ্জামান তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওই ঘটনায় ঠিকাদার খলিলুর রহমান বাদি হয়ে শর্শদী ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম দুলাল ও গ্রেফতার ৪ জন সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অপর চার আসামী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের উত্তর জাহানপুর এলাকার পাটোয়ারী বাড়ীর খোরশেদ আলমের ছেলে সফিকুল ইসলাম সম্রাট (২৪), একই এলাকার মোয়াজ্জেম বাড়ীর আবুল কাসেমের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২০), জোয়ারকাছাড় এলাকার সাহাব উদ্দিন মোল্লা বাড়ির কবির আহম্মদের ছেলে কামরুল হাসান সাব্বির (২৩) ও শহরের পূর্ব উকিলপাড়া এলাকার মুন্সি পুকুর পাড় সংলগ্ন বাড়ীর শাহাদাত হোসেনের ছেলে মো. রাসেল হোসেন (২৭) কে কারাগারে রয়েছে। এদের মধ্যে সম্রাট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

প্রসঙ্গত: রবিবার ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার গ্রাম পুলিশদের পোষাক সরবরাহের দরপত্র জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। ৫৪ লাখ টাকার ওই কাজ পেতে নির্ধারিত দিনে দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ফেনী আসেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ইনপিঞ্জারপুর এলাকার বাসিন্দা রাজধানীর ব্যবসায়ী ঠিকাদার খলিলুর রহমান। বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত ‘মাটি আর মানুষ’ নামীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের খলিলুর রহমানকে গতিরোধ করে দরপত্র জমা দিতে নিষেধ করেন। তিনি তাদের নিষেধ অমান্য করে নির্ধারিত বাক্সে দরপত্র জমা দেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সম্মুখস্ত একটি কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্নস্থানে তল্লাশীর পর দুপুরে তাকে উদ্ধার করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

ঠিকাদার অপহরন মামলায় ফেনীর ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৯:১৪:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২০

ফেনী প্রতিনিধি :

ফেনী জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে গ্রাম পুলিশের (চৌকিদার-দফাদার) পোষাক সরবরাহের দরপত্র জমা দিতে খলিলুর রহমান নামের এক ঠিকাদারকে অপহরণ মামলায় শর্শদী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সহ-সভাপতি জানে আলম দুলালকে গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে জাহানপুর এলাকার নিজবাড়ী থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এএনএম নুরুজ্জামান তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ওই ঘটনায় ঠিকাদার খলিলুর রহমান বাদি হয়ে শর্শদী ইউপি চেয়ারম্যান জানে আলম দুলাল ও গ্রেফতার ৪ জন সহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরো ২/৩ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে ফেনী মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন।

মামলায় অপর চার আসামী সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের উত্তর জাহানপুর এলাকার পাটোয়ারী বাড়ীর খোরশেদ আলমের ছেলে সফিকুল ইসলাম সম্রাট (২৪), একই এলাকার মোয়াজ্জেম বাড়ীর আবুল কাসেমের ছেলে মো. সালাউদ্দিন (২০), জোয়ারকাছাড় এলাকার সাহাব উদ্দিন মোল্লা বাড়ির কবির আহম্মদের ছেলে কামরুল হাসান সাব্বির (২৩) ও শহরের পূর্ব উকিলপাড়া এলাকার মুন্সি পুকুর পাড় সংলগ্ন বাড়ীর শাহাদাত হোসেনের ছেলে মো. রাসেল হোসেন (২৭) কে কারাগারে রয়েছে। এদের মধ্যে সম্রাট আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে।

প্রসঙ্গত: রবিবার ফেনী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলার গ্রাম পুলিশদের পোষাক সরবরাহের দরপত্র জমা দেওয়ার দিন ধার্য ছিল। ৫৪ লাখ টাকার ওই কাজ পেতে নির্ধারিত দিনে দরপত্র জমা দেওয়ার জন্য ফেনী আসেন টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী উপজেলার ইনপিঞ্জারপুর এলাকার বাসিন্দা রাজধানীর ব্যবসায়ী ঠিকাদার খলিলুর রহমান। বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ে যাওয়ার সময় কয়েকজন দুর্বৃত্ত ‘মাটি আর মানুষ’ নামীয় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের খলিলুর রহমানকে গতিরোধ করে দরপত্র জমা দিতে নিষেধ করেন। তিনি তাদের নিষেধ অমান্য করে নির্ধারিত বাক্সে দরপত্র জমা দেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় দুর্বৃত্তরা তাকে মারধর করে, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে যায়। পরে তাকে জোরপূর্বক অপহরণ করে জেলা প্রশাসনের কার্যালয় সম্মুখস্ত একটি কমিউনিটি সেন্টারে নিয়ে আটকে রাখে। খবর পেয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ বিভিন্নস্থানে তল্লাশীর পর দুপুরে তাকে উদ্ধার করেন।