নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের বসুরহাটে শ্রমিকলীগ নেতা আলাউদ্দিন হত্যার ঘটনায় পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ নং আমলী আদালতের বিচারক এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালত এ আদেশ দেয়।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী হারুনুর রশিদ হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো জানান, মামলায় কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে মাশরুর কাদের তাসিক মির্জাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪০-৫০জনকে আসামি করা হয়েছিলো।
এদিকে গত ১৪ মার্চ এমদাদ হোসেন বাদী হয়ে নোয়াখালীর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ নম্বর আমলি আদালতে একই আসামিদের বিরুদ্ধে একটি নালিশি মামলা করেন। আদালত শুনানি শেষে বাদীর আরজিতে উল্লেখ করা ঘটনার বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানায় ইতিপূর্বে কোনো মামলা হয়েছে কি না, তা জানতে চেয়ে ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে ওসিকে নির্দেশ দেন। সে আলোকে সোমবার (২৯ মার্চ) থানা থেকে এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হয়।
এর আগে ৯ মার্চ মঙ্গলবার গুলিতে নিহত আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন ওরফে রাজু ১৪ মার্চ দুপুরে কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করে আদালতে মামলা দাখিল করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ৪ নং আমলী আদারতের বিচারক এসএম মোসলেহ উদ্দিন মিজানের আদালতে এ মামলা দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বাদল অনুসারীদের মধ্যে ৯ মার্চ সংঘর্ষে নিহত শ্রমিক লীগের ওয়ার্ড পর্যায়ের সভাপতি আলাউদ্দিন (৩২) গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ ঘটনায় আলাউদ্দিনের ছোট ভাই এমদাদ হোসেন ওরফে রাজু সেতুমন্ত্রীর ছোট ভাই আবদুল কাদের মির্জাসহ ১৬৪ জনের নাম উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ নিয়ে একাধিকবার থানায় গেলেও এজাহারে ত্রুটি থাকার অযুহাতে পুলিশ এজাহার গ্রহণ করেনি বলে এমদাদ সাংবাদিকদের জানান। পরে শুক্রবার ১২ মার্চ সকাল থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত কোম্পানীগঞ্জ থানায় পুলিশ মামলা না নেয়ায় ১৪ মার্চ আদালতের দারস্ত হন এমদাদ।