ঢাকা ০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
মুঠোফোনে ৫০লাখ টাকা যৌতুক দাবি, বিয়ের আসর থেকে বরসহ আটক-২ হজ্জযাত্রা উপলক্ষে সুবর্ণচর উপজেলা সমিতি সদস্যদের বিদায় সংবর্ধনা সাড়ে তিন বছর পর জামায়াত নেতা হলেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত মাটি নিয়ে দ্বন্দ্ব: যুবলীগ কর্মিকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২ সুবর্ণচরে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ীঘরে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ, নারীসহ আহত ৩ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি আবদুল হক, সম্পাদক পলাশ সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতাকর্মিদের ওপর হামলা, আহত-৫ কারাগারের দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা, ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিও বেগমগঞ্জে সম্পত্তির জন্য মা বোনকে মারধর, বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ গাছের ঢাল কাটা নিয়ে ঝগড়া, প্রতিবেশী বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা

মুঠোফোনে ৫০লাখ টাকা যৌতুক দাবি, বিয়ের আসর থেকে বরসহ আটক-২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১১:২২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫ ৪০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর মাইজদীতে বিয়ের আসর থেকে বরসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, তাদেরকে আটক নয়, উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় মারামারিতে বর-কনে পক্ষের অন্তত ৫জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে জেলা শহর মাইজদীর মেহেরান ডাইন রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন: হজ্জযাত্রা উপলক্ষে সুবর্ণচর উপজেলা সমিতি সদস্যদের বিদায় সংবর্ধনা

অভিযুক্ত বরের নাম ইকবাল হোসেন (৩৬)। অপরদিকে, কনে অনার্স পড়ুয়া। কয়েক বছর আগে তার বাবা মারা যায়। তার বাড়ি জেলার কবিরহাটে। মামারা এই বিয়ের আয়োজন করে। বর একজন ড্রাগ অফিসে ড্রাগ সুপার। তিনি নোয়াখালীতে চাকরি করেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞাতে।

আরো পড়ুন: সাড়ে তিন বছর পর জামায়াত নেতা হলেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত

কনের মামা মো. হিরণ অভিযোগ করে বলেন,গত শুক্রবার ৯ মে আমার ভাগ্নির বিয়ের এনগেজমেন্ট হয় পাশ্ববর্তী ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা ইকবাল হোসেনের সাথে। এরপর বৃহস্পতিবার ১৫ মে দিবাগত রাতে বর পক্ষ কনের বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। পরের দিন শুক্রবার ১১ লক্ষ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ের দিন ধার্য ছিল। কিন্ত বিয়ের দিন দুপুর ১২টার দিকে বর ফোন করে জানায় তিনি আসবেন না। কনে পক্ষ না আসার কারণ জানতে চায়। ওই সময় বর ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। এরপর বিয়ের দিন ছেলে বর সেজে না এসে সাধারণ পোশাকে রেস্টুরেন্টে এসে একটি কক্ষে আত্মগোপনে থাকে। সেখান থেকে বর বলে তাড়াতাড়ি আমার লোকজনকে খাবার দিয়ে দেন, না হলে সমস্যা হবে। এরপর বর আস্তে পালিয়ে যায়।

আরো পড়ুন: মাটি নিয়ে দ্বন্দ্ব: যুবলীগ কর্মিকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কনে পক্ষ ৩০০জন মানুষের জন্য মেহরান ডাইনে খাবারের আয়োজন করে। বর পক্ষের লোকজনকে খাবার দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার জন্য প্রস্তুতি নিলে বরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বরকে একটি রুমে পাওয়া যায়। বর এসে কনের মামাদের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বর উঠে এসে পালিয়ে যাই। বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেই। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বরের পক্ষের লোকজন এসে কনের লোকজনের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে কনে পক্ষের লোকজন ও স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে বরসহ দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আরো পড়ুন: সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ীঘরে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ

বরের ভাই সোহরাব হোসেন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, মেয়েদের পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে আমার ভাই একটি রুমে গিয়েছিল। তিনি পালিয়ে যায়নি এবং ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেনি। এখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ দিচ্ছে। আমার ভাই একজন ড্রাগ সুপার।

আরো পড়ুন: জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি আবদুল হক, সম্পাদক পলাশ

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা হচ্ছে। তবে যৌতুক দাবির অভিযোগ সত্য না। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে বরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

মুঠোফোনে ৫০লাখ টাকা যৌতুক দাবি, বিয়ের আসর থেকে বরসহ আটক-২

আপডেট সময় : ১১:২২:৩০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫

নোয়াখালীর মাইজদীতে বিয়ের আসর থেকে বরসহ দুজনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে পুলিশের দাবি, তাদেরকে আটক নয়, উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ সময় মারামারিতে বর-কনে পক্ষের অন্তত ৫জন আহত হয়েছে। শুক্রবার (১৬ মে) বিকেলে জেলা শহর মাইজদীর মেহেরান ডাইন রেস্টুরেন্টে এ ঘটনা ঘটে।

আরো পড়ুন: হজ্জযাত্রা উপলক্ষে সুবর্ণচর উপজেলা সমিতি সদস্যদের বিদায় সংবর্ধনা

অভিযুক্ত বরের নাম ইকবাল হোসেন (৩৬)। অপরদিকে, কনে অনার্স পড়ুয়া। কয়েক বছর আগে তার বাবা মারা যায়। তার বাড়ি জেলার কবিরহাটে। মামারা এই বিয়ের আয়োজন করে। বর একজন ড্রাগ অফিসে ড্রাগ সুপার। তিনি নোয়াখালীতে চাকরি করেন। তার গ্রামের বাড়ি ফেনীর দাগনভূঞাতে।

আরো পড়ুন: সাড়ে তিন বছর পর জামায়াত নেতা হলেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত

কনের মামা মো. হিরণ অভিযোগ করে বলেন,গত শুক্রবার ৯ মে আমার ভাগ্নির বিয়ের এনগেজমেন্ট হয় পাশ্ববর্তী ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার বাসিন্দা ইকবাল হোসেনের সাথে। এরপর বৃহস্পতিবার ১৫ মে দিবাগত রাতে বর পক্ষ কনের বাড়িতে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে যোগ দেয়। পরের দিন শুক্রবার ১১ লক্ষ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ের দিন ধার্য ছিল। কিন্ত বিয়ের দিন দুপুর ১২টার দিকে বর ফোন করে জানায় তিনি আসবেন না। কনে পক্ষ না আসার কারণ জানতে চায়। ওই সময় বর ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। এরপর বিয়ের দিন ছেলে বর সেজে না এসে সাধারণ পোশাকে রেস্টুরেন্টে এসে একটি কক্ষে আত্মগোপনে থাকে। সেখান থেকে বর বলে তাড়াতাড়ি আমার লোকজনকে খাবার দিয়ে দেন, না হলে সমস্যা হবে। এরপর বর আস্তে পালিয়ে যায়।

আরো পড়ুন: মাটি নিয়ে দ্বন্দ্ব: যুবলীগ কর্মিকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, কনে পক্ষ ৩০০জন মানুষের জন্য মেহরান ডাইনে খাবারের আয়োজন করে। বর পক্ষের লোকজনকে খাবার দেওয়া হয়। একপর্যায়ে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার জন্য প্রস্তুতি নিলে বরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। পরে বরকে একটি রুমে পাওয়া যায়। বর এসে কনের মামাদের কাছে ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকার করলে বর উঠে এসে পালিয়ে যাই। বিয়ে করবে না বলে জানিয়ে দেই। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বাগবিতন্ডা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বরের পক্ষের লোকজন এসে কনের লোকজনের ওপর হামলা করে। একপর্যায়ে কনে পক্ষের লোকজন ও স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ এসে বরসহ দুজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

আরো পড়ুন: সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ীঘরে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ

বরের ভাই সোহরাব হোসেন অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, মেয়েদের পারিবারিক একটি বিষয় নিয়ে আমার ভাই একটি রুমে গিয়েছিল। তিনি পালিয়ে যায়নি এবং ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করেনি। এখন তারা আমাদের বিরুদ্ধে উল্টো অভিযোগ দিচ্ছে। আমার ভাই একজন ড্রাগ সুপার।

আরো পড়ুন: জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি আবদুল হক, সম্পাদক পলাশ

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামরুল ইসলাম বলেন, দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতবিরোধ দেখা দেয়। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা হচ্ছে। তবে যৌতুক দাবির অভিযোগ সত্য না। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ সংবাদ পেয়ে বরকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।