সংবাদ শিরোনাম ::

লিবিয়ায় বাংলাদেশী যুবককে অপহরণ করে ২০ লক্ষ টাকা আদায়, মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক:
  • আপডেট সময় : ০৮:৩২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫ ১৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

লিবিয়ায় অপহরণ করে বাংলাদেশী প্রবাসীর থেকে ২০ লক্ষ টাকা আদায়ের অপরাধে মানব পাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। গ্রেপ্তার খন্দকার রিফাত হোসেন (২৬) টাংগাইল জেলার বাসাইল থানার কামুটিয়া গ্রামের খন্দকার রমজানের ছেলে।

আরো পড়ুন: প্রকাশ্যে গাঁজা-ইয়াবা সেবনের দায়ে ৩ যুবকের কারাদন্ড

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান । এর আগে, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকার গেন্ডারিয়া থানা এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী পিবিআই।

আরো পড়ুন: কোনো উত্তাপই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: নোয়াখালীতে প্রেস সচিব শফিকুল আলম

পিবিআই জানান, ২০২১ সালের মার্চ মাসে অবৈধ পথে আসামি রিফাত লিবিয়ায় যান। তিনি সেখানে একটি কফিশপে চাকরি করার সময় মাফিয়া আবদুল্লা (লিবিয়ান), মোহাম্মদ (লিবিয়ান), তানভীরদের (পাকিস্থান) সাথে পরিচয় এবং সখ্যতা গড়ে উঠে। ভিকটিম মো. লিটন হোসেন ওরফে সুজন (২৫) লিবিয়ার একটি ওয়ার্কশপে চাকরি করার সময় আসামির সাথে পরিচয় হয়। একপর্যায়ের ভিকটিম লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য টাকা পয়সা জোগাড় করে। ভিকটিমের ইতালি যাওয়ার ইচ্ছা এবং টাকা সঞ্চয়ের বিষয়টি রিফাত জানতে পেরে মাফিয়াদের সহায়তায় ভিকটিমকে ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি তার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একটি সুপার মার্কেটের সামনে থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে আসামির বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে এবং ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর ভিকটিমের কাছ থেকে ৭২ হাজার দিনার যা বাংলাদেশী ১৫ লক্ষ টাকা আসামি নিয়ে যায়। এছাড়া আসামি আনু আক্তারের নামীয় অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি নারিন্দা শাখার মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা নেয়। এভাবে ভিকটিমকে ২ মাস ২০ দিন আটক রেখে তারা টাকা দাবি করতে থাকে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মামা বাদী হয়ে গ্রেপ্তার আসামির শশুর-শাশুড়িকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে আসামিরা ভিকটিমকে ২০২৪ সালের ১৬ এপ্রিলে মুক্তি দেয়।

আরো পড়ুন: জাল টাকা দিয়ে কেনাকাটা, ২৪ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার যুবক

নোয়াখালী পিবিআই পুলিশ সুপার আর এম ফাইজুর রহমান আরও বলেন, মামলাটি পিবিআই নোয়াখালী দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত করে অপহরণকারী চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। আসামি ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। আসামি লিবিয়ায় বিভিন্ন দেশের মাফিয়া চক্রের সাথে মিলে লিবিয়া থেকে ইতালি গমনিচ্ছুক নিরীহ বাংলাদেশীদের অপহরণ করে আটক করে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে। এ চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামি গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

লিবিয়ায় বাংলাদেশী যুবককে অপহরণ করে ২০ লক্ষ টাকা আদায়, মানব পাচারকারী চক্রের সদস্য গ্রেপ্তার

আপডেট সময় : ০৮:৩২:০১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

লিবিয়ায় অপহরণ করে বাংলাদেশী প্রবাসীর থেকে ২০ লক্ষ টাকা আদায়ের অপরাধে মানব পাচারকারী চক্রের এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই)। গ্রেপ্তার খন্দকার রিফাত হোসেন (২৬) টাংগাইল জেলার বাসাইল থানার কামুটিয়া গ্রামের খন্দকার রমজানের ছেলে।

আরো পড়ুন: প্রকাশ্যে গাঁজা-ইয়াবা সেবনের দায়ে ৩ যুবকের কারাদন্ড

বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন নোয়াখালীর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আর এম ফয়জুর রহমান । এর আগে, গত সোমবার সন্ধ্যার দিকে ঢাকার গেন্ডারিয়া থানা এলাকা থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করে নোয়াখালী পিবিআই।

আরো পড়ুন: কোনো উত্তাপই নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না: নোয়াখালীতে প্রেস সচিব শফিকুল আলম

পিবিআই জানান, ২০২১ সালের মার্চ মাসে অবৈধ পথে আসামি রিফাত লিবিয়ায় যান। তিনি সেখানে একটি কফিশপে চাকরি করার সময় মাফিয়া আবদুল্লা (লিবিয়ান), মোহাম্মদ (লিবিয়ান), তানভীরদের (পাকিস্থান) সাথে পরিচয় এবং সখ্যতা গড়ে উঠে। ভিকটিম মো. লিটন হোসেন ওরফে সুজন (২৫) লিবিয়ার একটি ওয়ার্কশপে চাকরি করার সময় আসামির সাথে পরিচয় হয়। একপর্যায়ের ভিকটিম লিবিয়া থেকে ইতালি যাওয়ার জন্য টাকা পয়সা জোগাড় করে। ভিকটিমের ইতালি যাওয়ার ইচ্ছা এবং টাকা সঞ্চয়ের বিষয়টি রিফাত জানতে পেরে মাফিয়াদের সহায়তায় ভিকটিমকে ২০২৪ সালের ২৭ জানুয়ারি তার কর্মস্থলে যাওয়ার পথে একটি সুপার মার্কেটের সামনে থেকে জোরপূর্বক অপহরণ করে আসামির বাসায় নিয়ে যায়। পরবর্তীতে তাকে হাত-পা বেঁধে মারধর করে এবং ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এরপর ভিকটিমের কাছ থেকে ৭২ হাজার দিনার যা বাংলাদেশী ১৫ লক্ষ টাকা আসামি নিয়ে যায়। এছাড়া আসামি আনু আক্তারের নামীয় অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি নারিন্দা শাখার মাধ্যমে ৫ লক্ষ টাকা নেয়। এভাবে ভিকটিমকে ২ মাস ২০ দিন আটক রেখে তারা টাকা দাবি করতে থাকে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মামা বাদী হয়ে গ্রেপ্তার আসামির শশুর-শাশুড়িকে আসামি করে মামলা দায়ের করলে আসামিরা ভিকটিমকে ২০২৪ সালের ১৬ এপ্রিলে মুক্তি দেয়।

আরো পড়ুন: জাল টাকা দিয়ে কেনাকাটা, ২৪ হাজার টাকার জাল নোটসহ গ্রেফতার যুবক

নোয়াখালী পিবিআই পুলিশ সুপার আর এম ফাইজুর রহমান আরও বলেন, মামলাটি পিবিআই নোয়াখালী দীর্ঘদিন ধরে তদন্ত করে অপহরণকারী চক্রের অন্যতম সক্রিয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। আসামি ঘটনার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করে। আসামি লিবিয়ায় বিভিন্ন দেশের মাফিয়া চক্রের সাথে মিলে লিবিয়া থেকে ইতালি গমনিচ্ছুক নিরীহ বাংলাদেশীদের অপহরণ করে আটক করে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে। এ চক্রের সাথে জড়িত অন্যান্য আসামি গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।