ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ আহত-৬ মানবিক তারুণ্যের ৮ম যুব সম্মেলন ও এ্যাওয়ার্ড বিতরণ সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ, পুলিশের তদন্তকালে বাদীর উপর হামলা, আহত ৪ হাসনাত-সারজিস ছাত্রলীগ থেকে গিয়ে নতুন দলে এসেছে: ইসমাইল সম্রাট কবিরহাটের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিরিন গার্ডেনে হামলার অভিযোগ, পুলিশসহ আহত ৭ সুধারামে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

২১ দিনের যুদ্ধে বাবা-ছেলের কাছে হার মানল মরণঘ্যাতি করোনা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৩০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মে ২০২০ ৪১২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনকে বার্তা ডেস্ক:

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সাথে টানা ২১ দিন যুদ্ধ করে বীরের বেশে বাড়ি ফিরলেন লালমনিরহাটে প্রথম শনাক্ত বাবা-ছেলে। রোববার দুপুরে তাদেরকে উপহারসহ ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়েছে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

করোনাযুদ্ধে লালমনিরহাটের প্রথম বিজয়ীরা হলেন, সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়াদহ গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক কামরুল ইসলাম (৩৫) ও তার ছেলে সালমান হোসেন (৭)।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা নির্মাণ শ্রমিক কামরুল ইসলামের করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তার নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসলে তাকে নার্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আইসলোশনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরদিন তার পরিবারের ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ছেলে সালমান হোসেনের পজেটিভ আসে। পরে তাকেও তার বাবার সাথ ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।

জেলায় প্রথম দুই রোগীর নিবিড় পরিচর্যা করেন একদল চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী। অবশেষে পরপর দুইবার তাদের পরীক্ষা করে নেগেটিভ আসলে চূড়ান্তভাবে সুস্থ বলে নিশ্চিত হন চিকিৎসকরা। রোববার বাবা-ছেলেকে ছাড়পত্র দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

এ সময় তাদেরকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীসহ কিছু উপহার দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হয়েছে। জেলায় আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে ২ জন সুস্থ হলেও একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়।

করোনাজয়ী কামরুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকদের আন্তরিকতায় ও আল্লাহর রহমতে ছেলেসহ আমি সুস্থ হয়েছি। সচেতনতা ও সাহসিকতার সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনাভাইরাসকে পরাজিত করা সম্ভব। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। আগামী দিনগুলো যেন সুস্থ থাকেন, তার জন্য দোয়া চান তিনি।

এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনএম নাসির উদ্দিন, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

২১ দিনের যুদ্ধে বাবা-ছেলের কাছে হার মানল মরণঘ্যাতি করোনা

আপডেট সময় : ০৪:৩০:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ মে ২০২০

এনকে বার্তা ডেস্ক:

প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের সাথে টানা ২১ দিন যুদ্ধ করে বীরের বেশে বাড়ি ফিরলেন লালমনিরহাটে প্রথম শনাক্ত বাবা-ছেলে। রোববার দুপুরে তাদেরকে উপহারসহ ছাড়পত্র দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়েছে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

করোনাযুদ্ধে লালমনিরহাটের প্রথম বিজয়ীরা হলেন, সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের গুড়িয়াদহ গ্রামের নির্মাণ শ্রমিক কামরুল ইসলাম (৩৫) ও তার ছেলে সালমান হোসেন (৭)।

লালমনিরহাট সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায় বলেন, নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা নির্মাণ শ্রমিক কামরুল ইসলামের করোনার লক্ষণ দেখা দিলে তার নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ল্যাবে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় করোনা পজিটিভ আসলে তাকে নার্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের আইসলোশনে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরদিন তার পরিবারের ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ছেলে সালমান হোসেনের পজেটিভ আসে। পরে তাকেও তার বাবার সাথ ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হয়।

জেলায় প্রথম দুই রোগীর নিবিড় পরিচর্যা করেন একদল চিকিৎসকসহ স্বাস্থ্যকর্মী। অবশেষে পরপর দুইবার তাদের পরীক্ষা করে নেগেটিভ আসলে চূড়ান্তভাবে সুস্থ বলে নিশ্চিত হন চিকিৎসকরা। রোববার বাবা-ছেলেকে ছাড়পত্র দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

এ সময় তাদেরকে স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রীসহ কিছু উপহার দিয়ে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানানো হয়েছে। জেলায় আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে ২ জন সুস্থ হলেও একজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়।

করোনাজয়ী কামরুল ইসলাম বলেন, চিকিৎসকদের আন্তরিকতায় ও আল্লাহর রহমতে ছেলেসহ আমি সুস্থ হয়েছি। সচেতনতা ও সাহসিকতার সাথে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে করোনাভাইরাসকে পরাজিত করা সম্ভব। তাই আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন তিনি। আগামী দিনগুলো যেন সুস্থ থাকেন, তার জন্য দোয়া চান তিনি।

এ সময় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মতিয়ার রহমান, সিভিল সার্জন ডা. নির্মলেন্দু রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এনএম নাসির উদ্দিন, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।