ঢাকা ০৯:৪৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
পরিবেশ অধিদপ্তরের যোগসাজশেই কোম্পানীগঞ্জে চলছে আ.লীগ নেতার ইটভাটা চতুর্থ বিয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটি, ছোট ভাইয়ের ছুরিকাঘাতে মৃত্যু হলো বড় ভাইর ওমরা শেষে বাড়ি ফেরাটাই কাল হলো মিলনের, যুবলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ভুল ইনজেকশনে প্রবাসী যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, হাসপাতাল বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ Fourth-grade school student dies after being run over by soil-carrying tractor মাটিবাহী ট্রাক্টরের চাপায় চতুর্থ শ্রেণি পড়ুয়া স্কুল ছাত্রের মৃত্যু বাসা থেকে শিশুকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেফতার-১ নোয়াখালী খাল’সহ বিভিন্ন শাখা খালের পুনঃ খনন দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খানের পদত্যাগের দাবিতে হাতিয়ায় বিক্ষোভ ফেসবুক স্ট্যাটাস, ছাত্রদলের দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-৯

মজনুই ধর্ষক, ঢাবি ছাত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ২৬৫৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্কঃ

চলতি বছর ৯ জানুয়ারি আসামি মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রিমান্ড শেষে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

চার্জশিটে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে ৪০/৫০ গজ সামনে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে ভিকটিম (২১) পৌঁছালে আসামি মজনু পেছন থেকে গলা ধরে ফুটপাতে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরেন। ভিকটিম চিৎকার করতে গেলে আসামি তাকে কিল-ঘুষি মেরে ভয়ভীতি দেখালে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন মজনু ভিকটিমকে অচেতন অবস্থায়ই ধর্ষণ করেন। তিনি একজন অভ্যাসগতভাবে ধর্ষণকারী। তিনি প্রতিবন্ধী, পাগল, ভ্রাম্যমাণ মহিলার সম্মতি ব্যতীত এই অনৈতিক কাজ করে আসছেন। ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় থাকেন। তার স্থায়ী কোনো বসবাসের জায়গা নেই।

এর আগে র‌্যাব-১, উত্তরা এর সিপিসি-১ এর চৌকস দল গত ৮ জানুয়ারি মজনুকে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশের পাকা রাস্তার উপর থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তি মতে ভিকটিমের ব্যাগ, মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক এবং ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি জিন্সের প্যান্ট ও একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়।

৬ জানুয়ারি ভিকটিমের অধ্যক্ষ বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ করেন, ভিকটিম তার বড় মেয়ে (২১)। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। থাকত রোকেয়া হলে। গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা করে। রাত ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ডে থামে। সে বাস থেকে নেমে ফুটপাট দিয়ে ৪০/৫০ গজ শেওড়ার দিকে হেঁটে আর্মি গলফক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ বছর বয়সী যুবক গলা ধরে তাকে ফুটপাতের পাশে মাটিতে ফেলে দেয় এবং তার গলা চেপে ধরে। সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আসামি ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।

ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষিতা শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, মজনুই সেই ধর্ষক। সোমবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেয়ার সময় তিনি মজনুকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করেন।

ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম কামরুনাহার এ সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামি মজনুকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এর আগে গত ২৬ আগস্ট কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি চার্জগঠন করে ট্রাইব্যুনাল। সেখানে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।গত ১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

মজনুই ধর্ষক, ঢাবি ছাত্রী

আপডেট সময় : ০৮:২৫:১২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০

ডেস্কঃ

চলতি বছর ৯ জানুয়ারি আসামি মজনুর সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ওই রিমান্ড শেষে গত ১৬ জানুয়ারি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন।

চার্জশিটে বলা হয়, গত ৫ জানুয়ারি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ড থেকে ফুটপাত দিয়ে ৪০/৫০ গজ সামনে আর্মি গলফ ক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে ভিকটিম (২১) পৌঁছালে আসামি মজনু পেছন থেকে গলা ধরে ফুটপাতে মাটিতে ফেলে গলা চেপে ধরেন। ভিকটিম চিৎকার করতে গেলে আসামি তাকে কিল-ঘুষি মেরে ভয়ভীতি দেখালে ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়েন। তখন মজনু ভিকটিমকে অচেতন অবস্থায়ই ধর্ষণ করেন। তিনি একজন অভ্যাসগতভাবে ধর্ষণকারী। তিনি প্রতিবন্ধী, পাগল, ভ্রাম্যমাণ মহিলার সম্মতি ব্যতীত এই অনৈতিক কাজ করে আসছেন। ভ্রাম্যমাণ অবস্থায় থাকেন। তার স্থায়ী কোনো বসবাসের জায়গা নেই।

এর আগে র‌্যাব-১, উত্তরা এর সিপিসি-১ এর চৌকস দল গত ৮ জানুয়ারি মজনুকে ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন শেওড়া বাসস্ট্যান্ডের পূর্ব পাশের পাকা রাস্তার উপর থেকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তি মতে ভিকটিমের ব্যাগ, মোবাইল ও পাওয়ার ব্যাংক এবং ভিকটিমের ব্যবহৃত একটি জিন্সের প্যান্ট ও একটি জ্যাকেট উদ্ধার করা হয়।

৬ জানুয়ারি ভিকটিমের অধ্যক্ষ বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন।

মামলার অভিযোগ করেন, ভিকটিম তার বড় মেয়ে (২১)। সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। থাকত রোকেয়া হলে। গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে তার বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে রওনা করে। রাত ৭টার দিকে বাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানাধীন কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ডে থামে। সে বাস থেকে নেমে ফুটপাট দিয়ে ৪০/৫০ গজ শেওড়ার দিকে হেঁটে আর্মি গলফক্লাব মাঠ সংলগ্ন স্থানে পৌঁছালে পেছন দিক থেকে অজ্ঞাতনামা ২৫/৩০ বছর বয়সী যুবক গলা ধরে তাকে ফুটপাতের পাশে মাটিতে ফেলে দেয় এবং তার গলা চেপে ধরে। সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে আসামি ভিকটিমকে ধর্ষণ করে।

ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেয়ার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ধর্ষিতা শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, মজনুই সেই ধর্ষক। সোমবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেয়ার সময় তিনি মজনুকে ধর্ষক হিসেবে শনাক্ত করেন।

ওই ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম কামরুনাহার এ সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। সাক্ষ্য গ্রহণকালে আসামি মজনুকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এর আগে গত ২৬ আগস্ট কারাগার থেকে ভার্চ্যুয়ালি চার্জগঠন করে ট্রাইব্যুনাল। সেখানে তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন।গত ১৬ মার্চ ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবু বক্কর সিদ্দিক আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।