নোয়াখালী প্রতিনিধি:-
শুক্রবার (২৯ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টায় তারা ভাসানচরে এসে পৌঁছান।এদের মধ্যে পুরুষ ৪০৪ জন,মহিলা ৫১০ জন এবং ৮৬২ জন শিশু রয়েছে। চট্রগ্রাম বোটক্লাব থেকে ৫ টি জাহাজ করে তাদের ভাসানচর আনা হয়।এর আগে বৃহস্পতিবার কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবির থেকে ৩৮ টি বাসে করে তাদেরকে চট্রগ্রাম আনা হয়। রাতে চট্রগ্রাম বিএফ শাহিন কলেজ ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হয়।সকাল ৯ টায় নৌবাহিনীর ৫ টি জাহাজ তাদের নিয়ে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওয়া হন।
ভাসানচরে নৌবাহিনীর দায়িত্বরত লেফটেনান্ট কর্নেল মামুন জানান,আগত রোহিঙ্গাদো পর্যায়ক্রমে জাহাঁ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা শেষে গাড়ী যোগে ওয়্যার হাউজ -১ এ সমবেত করে ব্রিফ প্রদান করা হয়।পরে ভাসান চরের ২৩,২৪ এবং ২৫ নং ক্লাস্টারে স্থান্ান্তর করা হয়।তিনি আরো জানান, আগত রেহিঙ্গাদের ট্রিপল আরআরআরসির মাধ্যমে ৩ দিন খাবারের ব্যবস্থা করা হবে পরে তাদের রেশন দেয়া হবে।
গত ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী-পুরুষ,শিশুসহ নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুত ৭,৮,৯,১০ নম্বর ক্লাষ্টারে তাদেরকে রাখা হয়। ১ সপ্তাহ নৌবাহিনী তত্ত্বাবধানে তাদেরকে রান্না করে খাওয়ানো হয়। প্রথমধাপে ভাষানচরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৮১০জন,পুরুষ ৩৬৮জন,নারী ৪৬৪জন।
গত ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার থেকে আরো ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা নোয়াখালীর ভাসানচরে পৌঁছায়। তাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশী রয়েছে প্রথম দফায় যাওয়া রোহিঙ্গাদের স্বজন।প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় মোট তিন হাজার ৪৪৬ জন রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে স্থানান্তর করা হয়।