ঢাকা ০৩:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০১ জানুয়ারী ২০২৫

জমি বিক্রির নামে প্রতারণার দায়ে মামলা, তাঁতীদলের নেতাকে জিম্মি করার অভিযোগ

নোয়াখালী প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৬:২৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী সদর উপজেলায় ১৩৯ নং চর সল্যা মৌজায় জনৈক আবদুর রহিম তার জমি বিক্রির সিদ্ধান্তে জহুরুল হক থেকে টাকা ও চেক গ্রহন করার পর। জমির কাগজে ক্রুটির অযুহাতে অপত্যাহার যোগ্য পাওয়ার অফ এ্যার্টনী ও বায়না পত্র প্রদান করে । কিছু দিনপর রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে গ্রহিতা জহুরুল হক মনুর দেওয়া চেক ও নগদ টাকা ফেরত না দিয়ে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাওয়ার অফ এ্যাটর্নী বাতিল করার অভিযোগে আদালতে মামলা করেছে ভুক্তভোগী ।

 

মামলা সূত্রে জানাযায়, সদর উপজেলার নোয়াখালী মৌজার আবদুর রহিমের বাড়ীর মৃত মোঃ মোস্তাফার ছেলে আবদুর রহিম তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ৩ একর ৭৯ শতাংশ জমি বিক্রি করার নিমিত্তে একই মৌজার মৃত দানা মিয়ার ছেলে মোঃ জহুরুল হক মনুর নিকট থেকে ৫০ লক্ষ টাকার ৭০৮৩৩৬৯ নম্বর চেক ও নগদ ৭ লক্ষ বাহাত্তর টাকা হাজার গ্রহন এবং ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমি রেজিট্রির সময় নিবে মর্মে ২০২৩ সালের ১৩ ই সেপ্টেম্বর নোয়াখালী সদর সাব রেজিট্রি অফিসে ৩ একর ৪৫ শতক জমি ১০২৭৪ নং দলিল মূলে অপ্রত্যাহার যোগ্য পাওয়ার অফ এ্যার্টনী ও একই মৌজার ১৮৪৩ দাগে ৩৪ শতক জমি এফিডেভিট মূলে বায়নাপত্র প্রদান করে ।

 

পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ২০ শে অক্টোবর পাওয়ার অফ এ্যার্টনী গ্রহণকারী জহুরুল হক, চেকনং-৩৩১৫১১০ এর ৭ লক্ষ ও নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অভিযুক্তকে প্রদান করলেও আবদুর রহিমের ছেলে ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ২৮ নভেম্বর অভিযোগকারীকে জিম্মি করে হত্যার হুমকি দিয়ে তার পিতা আবদুর রহিম, চাচা শাহাজাহান ও তার অপর ভাই শাকিলের সহায়তায় জমির ক্রেতা তাঁতীদল নেতা জহুরুল হক কে শাহাজাহানের বাড়ীতে আটক রেখে পরের দিন ২৯ নভেম্বর আমমোক্তারনামা দলিলটি বাতিল করে, বেশি দামে অন্যত্র জায়গাটি বিক্রি করে । পরবর্তীতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে শালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫০ লক্ষ ও ৭ লক্ষ টাকার ২টি চেক এবং ১১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা, আবদুর রহিম ফেরত দিবে বলে স্বীকার করে।

 

কিন্ত জহুরুল হক চেক ও টাকা ফেরত না পাওয়ায় ৩ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২৪ সালের ২৩ শে এপ্রিল নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিষ্টেট আদালতে ৬৫৬/২৪ মামলা করে। মামলা করায় আবদুর রহিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম তার ভাই শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে ২৫ শে এপ্রিল সন্ধায় আনসার কোম্পানির বাজারে জহুরুল হক কে মামলা প্রত্যাহরের জন্য চাপ সৃষ্টি করে অপহরনের হুমকি দেন। অভিযোগকারী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে । ভুক্তভোগীর শোর-চিৎকারে উদ্ধার করার জন্য লোকজন এগিয়ে আসতে চাইলেও ব্যর্থ হয়।

 

উদ্ধার করতে না পেরে নাজমুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি ৯৯৯ নাম্বারে ফোন কারলে পুলিশ আসার খবর পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। আহত জহুরুল ইসলাম চিকিৎসা শেষে ১৪ মে আদালতে আরো একটি ৮৩৬ নং মামলা আয়ের করে । সি আর ৬৫৬ নং মামলাটি সিআইডি ও ৮৩৬ নং মামলাটি ২৬ ডিসেম্বর আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।

 

অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, জহুরুল হক মনুর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা । সে আমাদের ৬০ শতক জমি তার মেয়ের জামাইয়ের নিকট বিক্রি করে। সে ঐ জমিটি অন্যত্র বিক্রি করে ফেলছে। আমমোক্তারনামা দলিলটি জহুরুল হক নিজ ইচ্ছায় বাতিল করেন। এ ব্যাপারে তার ভিডিও বক্ত্য আমাদের কাছে সংরক্ষন আছে। সিআইডি তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন সিআর ৬৫৬ নং মামলাটি আমাদের নিকট তদন্তনাধীন আছে । তদন্ত শেষে প্রতিবেদনটি আদালতে প্রেরণ করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

জমি বিক্রির নামে প্রতারণার দায়ে মামলা, তাঁতীদলের নেতাকে জিম্মি করার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৬:২৫:০৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

নোয়াখালী সদর উপজেলায় ১৩৯ নং চর সল্যা মৌজায় জনৈক আবদুর রহিম তার জমি বিক্রির সিদ্ধান্তে জহুরুল হক থেকে টাকা ও চেক গ্রহন করার পর। জমির কাগজে ক্রুটির অযুহাতে অপত্যাহার যোগ্য পাওয়ার অফ এ্যার্টনী ও বায়না পত্র প্রদান করে । কিছু দিনপর রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার করে গ্রহিতা জহুরুল হক মনুর দেওয়া চেক ও নগদ টাকা ফেরত না দিয়ে জিম্মি করে হত্যার ভয় দেখিয়ে পাওয়ার অফ এ্যাটর্নী বাতিল করার অভিযোগে আদালতে মামলা করেছে ভুক্তভোগী ।

 

মামলা সূত্রে জানাযায়, সদর উপজেলার নোয়াখালী মৌজার আবদুর রহিমের বাড়ীর মৃত মোঃ মোস্তাফার ছেলে আবদুর রহিম তার ব্যক্তিগত প্রয়োজনে ৩ একর ৭৯ শতাংশ জমি বিক্রি করার নিমিত্তে একই মৌজার মৃত দানা মিয়ার ছেলে মোঃ জহুরুল হক মনুর নিকট থেকে ৫০ লক্ষ টাকার ৭০৮৩৩৬৯ নম্বর চেক ও নগদ ৭ লক্ষ বাহাত্তর টাকা হাজার গ্রহন এবং ১০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমি রেজিট্রির সময় নিবে মর্মে ২০২৩ সালের ১৩ ই সেপ্টেম্বর নোয়াখালী সদর সাব রেজিট্রি অফিসে ৩ একর ৪৫ শতক জমি ১০২৭৪ নং দলিল মূলে অপ্রত্যাহার যোগ্য পাওয়ার অফ এ্যার্টনী ও একই মৌজার ১৮৪৩ দাগে ৩৪ শতক জমি এফিডেভিট মূলে বায়নাপত্র প্রদান করে ।

 

পরবর্তীতে ২০২৩ সালে ২০ শে অক্টোবর পাওয়ার অফ এ্যার্টনী গ্রহণকারী জহুরুল হক, চেকনং-৩৩১৫১১০ এর ৭ লক্ষ ও নগদ ৩ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা অভিযুক্তকে প্রদান করলেও আবদুর রহিমের ছেলে ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবকলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে ২৮ নভেম্বর অভিযোগকারীকে জিম্মি করে হত্যার হুমকি দিয়ে তার পিতা আবদুর রহিম, চাচা শাহাজাহান ও তার অপর ভাই শাকিলের সহায়তায় জমির ক্রেতা তাঁতীদল নেতা জহুরুল হক কে শাহাজাহানের বাড়ীতে আটক রেখে পরের দিন ২৯ নভেম্বর আমমোক্তারনামা দলিলটি বাতিল করে, বেশি দামে অন্যত্র জায়গাটি বিক্রি করে । পরবর্তীতে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে শালিশ বৈঠকের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৫০ লক্ষ ও ৭ লক্ষ টাকার ২টি চেক এবং ১১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা, আবদুর রহিম ফেরত দিবে বলে স্বীকার করে।

 

কিন্ত জহুরুল হক চেক ও টাকা ফেরত না পাওয়ায় ৩ জনকে অভিযুক্ত করে ২০২৪ সালের ২৩ শে এপ্রিল নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিষ্টেট আদালতে ৬৫৬/২৪ মামলা করে। মামলা করায় আবদুর রহিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম তার ভাই শাকিল ক্ষিপ্ত হয়ে ২৫ শে এপ্রিল সন্ধায় আনসার কোম্পানির বাজারে জহুরুল হক কে মামলা প্রত্যাহরের জন্য চাপ সৃষ্টি করে অপহরনের হুমকি দেন। অভিযোগকারী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে । ভুক্তভোগীর শোর-চিৎকারে উদ্ধার করার জন্য লোকজন এগিয়ে আসতে চাইলেও ব্যর্থ হয়।

 

উদ্ধার করতে না পেরে নাজমুল ইসলাম নামে এক ব্যাক্তি ৯৯৯ নাম্বারে ফোন কারলে পুলিশ আসার খবর পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান। আহত জহুরুল ইসলাম চিকিৎসা শেষে ১৪ মে আদালতে আরো একটি ৮৩৬ নং মামলা আয়ের করে । সি আর ৬৫৬ নং মামলাটি সিআইডি ও ৮৩৬ নং মামলাটি ২৬ ডিসেম্বর আদালতের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছে।

 

অভিযুক্ত সাইফুল ইসলাম বলেন, জহুরুল হক মনুর অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা । সে আমাদের ৬০ শতক জমি তার মেয়ের জামাইয়ের নিকট বিক্রি করে। সে ঐ জমিটি অন্যত্র বিক্রি করে ফেলছে। আমমোক্তারনামা দলিলটি জহুরুল হক নিজ ইচ্ছায় বাতিল করেন। এ ব্যাপারে তার ভিডিও বক্ত্য আমাদের কাছে সংরক্ষন আছে। সিআইডি তদন্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন সিআর ৬৫৬ নং মামলাটি আমাদের নিকট তদন্তনাধীন আছে । তদন্ত শেষে প্রতিবেদনটি আদালতে প্রেরণ করা হয়।