রাজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের বিদায় সংবর্ধনা
- আপডেট সময় : ০৯:০৯:৫৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ১৮ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালী বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষককে অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা প্রদান করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজগঞ্জ ইউনিয়ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠপ্রাঙ্গনে শেষ কর্মদিবসে বিদায় শিক্ষকের হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেয়া হয়।
বিদায়ী শিক্ষক হলেন সহকারী শিক্ষিকা কামরুন নাহার । রাজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী শিক্ষক শাহ আলমের সভাপতিত্বে এবং সহকারী শিক্ষক নাসির এর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বীরমুক্তিযুদ্ধা বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ও বিশিষ্ট সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম দুলাল, কাস্টম অফিসার রিয়াদ, বেগমগঞ্জ ৫০ শয্য জেনারেল হাসপাতালে কর্মকতা পারহানা আক্তার আরজু, সহকারী শিক্ষিকা আলেয়া বেগম, সহকারী শিক্ষক তারেক সালা উদ্দিন, সাবেক সহকারী শিক্ষক হোসেন, রিয়াজুর প্রমূখ।
এসময় প্রাক্তন ছাত্র ফরহাদ, টিপু, কামরুল হাসান সায়েম, সাইফুল, রায়হান, সঞ্জয় চক্রবর্তীসহ বিদায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে রাজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
অবসরজনিত বিদায়ী শিক্ষক কামরুন নাহার কর্মজীবনের বিভিন্ন দিক উল্লেখ করে নবীন শিক্ষকদের প্রতি নোয়াখালী জেলার ঐতিহ্যবাহী রাজগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যাপীঠের সুনাম ধরে রাখতে সকল শিক্ষককে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানের সমাপনি বক্তব্যে কাষ্টম অফিসার রিয়াজুল বলেন, স্কুল জীবনের অবসরজনিত বিদায় সংবর্ধনা দিতে কষ্ট হলেও একটা সময় সকলকে বিদায় নিতে হয়। স্যার অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। ওনার কাছ থেকেই জীবনের ব্রতগুলো শেখা। সব সময় সকল ছাত্র-ছাএীদের সন্তানের মতো স্নেহ ভালোবাসা দিয়ে আগলে রেখতেন।
দীর্ঘদিনের সহকর্মী ও ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে এমন সম্মান পেয়ে আপ্লুত হয়ে পড়েন বিদায়ী শিক্ষিকা কামরুল নাহার। তিনি বলেন, আমি দীর্ঘদিন প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষকতা করেছি। এ সময় শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা করানো, বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি। আমি চেষ্টা করেছি সকলের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে কাজ করতে। ছাত্র-ছাত্রী, অভিভাবক এবং সংশ্লিষ্ট সবাই আমাকে যে সম্মান দিয়েছেন, তাতে আমি গর্বিত ও আনন্দিত। এই ভালোবাসাকে পুঁজি করেই বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে পারব। কামরুল নাহার আরো বলেন, আমি চাই আমার ছাত্ররা যেন ভবিষ্যতে আরও ভালো কাজ করতে পারে। সমাজের জন্য, দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতে পারে। এ ব্যাপারে তারা যেন সর্বদা সজাগ থাকে। এতেই আমি শান্তি পাব।এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন সহকর্মীসহ শিক্ষার্থীরা। চোখে জল নিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গন মঞ্চ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছাসহ হাতে তুলে দেয়া হয় সম্মাননা স্মারক।