ঢাকা ০৪:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ আহত-৬ মানবিক তারুণ্যের ৮ম যুব সম্মেলন ও এ্যাওয়ার্ড বিতরণ সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ, পুলিশের তদন্তকালে বাদীর উপর হামলা, আহত ৪ হাসনাত-সারজিস ছাত্রলীগ থেকে গিয়ে নতুন দলে এসেছে: ইসমাইল সম্রাট কবিরহাটের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিরিন গার্ডেনে হামলার অভিযোগ, পুলিশসহ আহত ৭ সুধারামে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

যৌতুকের মামলায় বিজিবি সদস্যের তিন বছরের জেল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২ ১৩৭৩৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের দায়ে এক ব্যক্তিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) জয়নাল আবেদীন এ রায় দেন।

 

দন্ডপ্রাপ্ত সোহেল সুলতান (৩২) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজির লেন্স নায়েক হিসেবে পিলখানায় কর্মরত রয়েছেন। সোমবার রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে আসমির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

আদালতের ষ্টেনোগ্রাফার নজরুল ইসলাম রায়ের এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিনজন আসামিকে বেকুসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন সোহেল সুলতানের মা মোসাম্মৎ রহিমা খাতুন, বোন শিউলী আক্তার ও ফুফু হাসনা বেগম।

 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চর শূল্লাকিয়া গ্রামের সফিক উল্যাহর ছেলে বিজিবির সদস্য সোহেল সুলতান ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল একই উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের আবদুল সাত্তারের মেয়ে শিরিন আক্তার মুন্নিকে বিয়ে করেন। বিয়ের দেনমোহর ছিল ছয় লাখ টাকা। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই সোহেল তার স্ত্রীকে কারণে অকারণে নির্যাতন করতেন। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। দাবিকৃত যৌতুক না পেয়ে বিগত ২০১৬ সালের ৭ জুলাই বেধম মারধর করে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর নির্যাতনে শিকার শিরিন আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী সোহেল সুলতানসহ চারজনকে আসমি করে একটি পিটিশন মামলা (নম্বর-১০২৮/২০১৬) দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে তৎকালীন সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলাল হোসেন পিটিশন মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

 

এরপর দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ সোমবার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে আসামি বিজিবি সদস্য সোহেল সুলতানকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার অপর তিন আসামিকে বেকুসুর খালাস দেওয়া হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

যৌতুকের মামলায় বিজিবি সদস্যের তিন বছরের জেল

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৭ অক্টোবর ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে মারধরের দায়ে এক ব্যক্তিকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) দুপুরে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা জজ) জয়নাল আবেদীন এ রায় দেন।

 

দন্ডপ্রাপ্ত সোহেল সুলতান (৩২) বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজির লেন্স নায়েক হিসেবে পিলখানায় কর্মরত রয়েছেন। সোমবার রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে আসমির কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

 

আদালতের ষ্টেনোগ্রাফার নজরুল ইসলাম রায়ের এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার অপর তিনজন আসামিকে বেকুসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। তারা হলেন সোহেল সুলতানের মা মোসাম্মৎ রহিমা খাতুন, বোন শিউলী আক্তার ও ফুফু হাসনা বেগম।

 

আদালত সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার চর শূল্লাকিয়া গ্রামের সফিক উল্যাহর ছেলে বিজিবির সদস্য সোহেল সুলতান ২০১৫ সালের ১৫ এপ্রিল একই উপজেলার বিনোদপুর গ্রামের আবদুল সাত্তারের মেয়ে শিরিন আক্তার মুন্নিকে বিয়ে করেন। বিয়ের দেনমোহর ছিল ছয় লাখ টাকা। বিয়ের কিছুদিন না যেতেই সোহেল তার স্ত্রীকে কারণে অকারণে নির্যাতন করতেন। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে বাপের বাড়ি থেকে ১০ লাখ টাকা যৌতুক এনে দিতে বলেন। দাবিকৃত যৌতুক না পেয়ে বিগত ২০১৬ সালের ৭ জুলাই বেধম মারধর করে এক কাপড়ে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর নির্যাতনে শিকার শিরিন আক্তার বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে স্বামী সোহেল সুলতানসহ চারজনকে আসমি করে একটি পিটিশন মামলা (নম্বর-১০২৮/২০১৬) দায়ের করেন। আদালতের নির্দেশে তৎকালীন সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলাল হোসেন পিটিশন মামলাটি তদন্ত করে ২০১৬ সালের ৩ অক্টোবর আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।

 

এরপর দীর্ঘ শুনানী ও সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ সোমবার রায় ঘোষণা করেন আদালত। রায়ে আসামি বিজিবি সদস্য সোহেল সুলতানকে তিন বছরের সশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেন আদালত। একই সঙ্গে মামলার অপর তিন আসামিকে বেকুসুর খালাস দেওয়া হয়।