ঢাকা ০২:১১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

ট্রিট দিতে গিয়ে নববধূকে ভাগিয়ে নিল তরুণ, ২৯ দিনেও হয়নি উদ্ধার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর সেনবাগে এক তরুণের বিরুদ্ধে বিয়ের ২৯দিনের মাথায় ফুসলিয়ে এক নববধূকে (১৬) ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার ২৯ দিন পার হলেও এখনো নিখোঁজ নববধূকে উদ্ধার করেতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

 

অভিযুক্ত তরুণের নাম মো. রবিউল ওরফে শিহাব (২০) সে উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের ছিদ্দিক মেম্বারের নতুন বাড়ির আলা উদ্দিন মিস্টারের ছেলে।

 

গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, নোয়াখালী আদালতে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে, ২৪ জুলাই ভুক্তভোগীর মা সেনবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

 

ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা অভিযোগ করে বলেন, গত মাসের ২৪ জুন প্রবাসী এক যুবকের সাথে পারিবারিক ভাবে আমার মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের ২৯ দিনের মাথায় গত ২২ জুলাই সন্ধ্যার দিকে তাকে ট্রিট দেওয়ার কথা বলে শিহাব নামে এক তরুণ আমার মেয়েকে ৮ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১ লক্ষ টাকাসহ ভাগিয়ে নিয়ে যায়। ২৪ জুলাই এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় আমার মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে বলে আমি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। কিন্ত পুলিশ আমার মেয়ে উদ্ধারে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। এরপর মামলা করতে গেলে পুলিশ তালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করে মামলা নেয়নি। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। পরে স্থানীয় ভাবে আমরা জানতে পারি ওই তরুণ আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো. রবিউল ওরফে শিহাবের মুঠোফোনে কল করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে তার মায়ের মুঠোফোনে কল করা হলে ফোন রিসভি করেন শিহাবের নানী আনোয়ারা বেগম। তিনি অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, তাদের মেয়ে আমাদের ছেলেকে নিয়ে গেছে। ছেলের চিন্তায় তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

 

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করবে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিবিআই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি বলেন, আদালতে মামলা হলে অনেক সময় আসতে সময় লাগে। তবে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

ট্রিট দিতে গিয়ে নববধূকে ভাগিয়ে নিল তরুণ, ২৯ দিনেও হয়নি উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৭:৩৫:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২০ অগাস্ট ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর সেনবাগে এক তরুণের বিরুদ্ধে বিয়ের ২৯দিনের মাথায় ফুসলিয়ে এক নববধূকে (১৬) ভাগিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনার ২৯ দিন পার হলেও এখনো নিখোঁজ নববধূকে উদ্ধার করেতে পারেনি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।

 

অভিযুক্ত তরুণের নাম মো. রবিউল ওরফে শিহাব (২০) সে উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের ছিদ্দিক মেম্বারের নতুন বাড়ির আলা উদ্দিন মিস্টারের ছেলে।

 

গত মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১, নোয়াখালী আদালতে তিনজনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন। এর আগে, ২৪ জুলাই ভুক্তভোগীর মা সেনবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

 

ভুক্তভোগী গৃহবধূর মা অভিযোগ করে বলেন, গত মাসের ২৪ জুন প্রবাসী এক যুবকের সাথে পারিবারিক ভাবে আমার মেয়েকে বিয়ে দেওয়া হয়। বিয়ের ২৯ দিনের মাথায় গত ২২ জুলাই সন্ধ্যার দিকে তাকে ট্রিট দেওয়ার কথা বলে শিহাব নামে এক তরুণ আমার মেয়েকে ৮ভরি স্বর্ণ ও নগদ ১ লক্ষ টাকাসহ ভাগিয়ে নিয়ে যায়। ২৪ জুলাই এ ঘটনায় সেনবাগ থানায় আমার মেয়ে নিখোঁজ রয়েছে বলে আমি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করি। কিন্ত পুলিশ আমার মেয়ে উদ্ধারে কোন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়নি। এরপর মামলা করতে গেলে পুলিশ তালবাহানা করে সময় ক্ষেপণ করে মামলা নেয়নি। একপর্যায়ে আমি বাধ্য হয়ে আদালতে মামলা দায়ের করি। পরে স্থানীয় ভাবে আমরা জানতে পারি ওই তরুণ আমার মেয়েকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

 

অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত মো. রবিউল ওরফে শিহাবের মুঠোফোনে কল করা হলেও মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে জানতে তার মায়ের মুঠোফোনে কল করা হলে ফোন রিসভি করেন শিহাবের নানী আনোয়ারা বেগম। তিনি অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে বলেন, তাদের মেয়ে আমাদের ছেলেকে নিয়ে গেছে। ছেলের চিন্তায় তার মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।

 

সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী বলেন, ভুক্তভোগী পরিবার এ ঘটনায় আদালতে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত করবে।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে পিবিআই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সি বলেন, আদালতে মামলা হলে অনেক সময় আসতে সময় লাগে। তবে খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।