ঢাকা ০১:৪৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

চাটখিল উপজেলা নির্বাচন, অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন, জুতা মিছিল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪ ১২৭৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

চাটখিল প্রতিনিধি:

 

কেন্দ্র থেকে সকল এজেন্টকে বের করে দেওয়া, ব্যালটে প্রকাশ্যে সিলমারা, ভুয়া এজেন্ট সাজিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী জেড এম আজাদ খান ।

 

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে চাটখিল পৌরসভার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

 

চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী জেড এম আজাদ খানের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর ১৫ মিনিট শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এর পরই উপজেলার প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদেরকে জোরপূর্বক দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের লোকজন জোরপূর্বক বের করে দেন। একই সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে আনারস প্রতীকে ভুয়া এজেন্ট বসিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করা হয় এবং ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক দোয়াত কলম প্রতীকে সিল মারা হয়। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে দোয়াত কলম প্রতীকের লোকজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সহায়তায় আগেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে রেখেছেন। এ পরিস্থিতিতে তিনি ভোট বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 

জেড এম আজাদ খানের অভিযোগ, ব্যালট ব্যাপারে আগে সিল মারার কয়েকটি ভিডিও তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের লোকজনকে পাঠিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তারা তার অভিযোগ অনুযায়ী কোন ব্যবস্থা নেননি। আজাদ খান জানান, তিনি শুধু মাত্র সুষ্ঠ ভোটের নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন প্রশাসনের কাছে, কিন্তু প্রশাসন সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তিনি এই পাতানো নির্বাচন বাতিল দাবি করেন।

 

আজাদ খানের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

 

অপরদিকে, দুপুর দেড়টার দিকে প্রার্থী জেড এম আজাদ খান বাড়ির সামনের চাটখিল টু সোনাইমুড়ী সড়কে জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে তার সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে জুতা মিছিল করে। এ সময় ইসি ও প্রতীদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবিরকে ব্যঙ্গ করে নানা স্লোগান দিতে থাকে তারা। ওই সময় ৩০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখে ভোটাররা। একই সাথে তারা পুনর্নির্বাচন দাবি করে।

 

প্রার্থীর অভিযোগ ও ভোট বর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম আরা বলেন, ভোট বর্জন প্রার্থীর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত । এ বিষয়ে তার কিছু বলার নেই। তবে একটি কেন্দ্রে আগে যেকয়টি ব্যালট পেপারে সিল মারা পাওয়া গেছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া কোন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদেরকে বের করে দেওয়া কিংবা ভুয়া এজেন্ট বসিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ প্রার্থী তার কাছে করেননি। প্রার্থী যেসব অভিযোগ করেছেন সেগুলোর তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

চাটখিল উপজেলা নির্বাচন, অনিয়মের অভিযোগে চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট বর্জন, জুতা মিছিল

আপডেট সময় : ১০:৪১:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪

চাটখিল প্রতিনিধি:

 

কেন্দ্র থেকে সকল এজেন্টকে বের করে দেওয়া, ব্যালটে প্রকাশ্যে সিলমারা, ভুয়া এজেন্ট সাজিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে ভোট বর্জন করেছে নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী জেড এম আজাদ খান ।

 

মঙ্গলবার (২১ মে) দুপুর সাড়ে বারোটার দিকে চাটখিল পৌরসভার নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এই ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।

 

চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী জেড এম আজাদ খানের অভিযোগ, মঙ্গলবার সকাল আটটায় ভোট গ্রহণ শুরু হওয়ার পর ১৫ মিনিট শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে। এর পরই উপজেলার প্রত্যেকটি ভোট কেন্দ্র থেকে তার এজেন্টদেরকে জোরপূর্বক দোয়াত-কলম প্রতীকের প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের লোকজন জোরপূর্বক বের করে দেন। একই সময় বিভিন্ন কেন্দ্রে আনারস প্রতীকে ভুয়া এজেন্ট বসিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করা হয় এবং ভোটারদের কাছ থেকে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নিয়ে জোরপূর্বক দোয়াত কলম প্রতীকে সিল মারা হয়। এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্রে দোয়াত কলম প্রতীকের লোকজন প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সহায়তায় আগেই ব্যালট পেপারে সিল মেরে রেখেছেন। এ পরিস্থিতিতে তিনি ভোট বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

 

জেড এম আজাদ খানের অভিযোগ, ব্যালট ব্যাপারে আগে সিল মারার কয়েকটি ভিডিও তিনি রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের লোকজনকে পাঠিয়ে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তারা তার অভিযোগ অনুযায়ী কোন ব্যবস্থা নেননি। আজাদ খান জানান, তিনি শুধু মাত্র সুষ্ঠ ভোটের নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন প্রশাসনের কাছে, কিন্তু প্রশাসন সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই তিনি এই পাতানো নির্বাচন বাতিল দাবি করেন।

 

আজাদ খানের অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য দোয়াত কলম প্রতীকের প্রার্থী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি কল রিসিভ করেননি।

 

অপরদিকে, দুপুর দেড়টার দিকে প্রার্থী জেড এম আজাদ খান বাড়ির সামনের চাটখিল টু সোনাইমুড়ী সড়কে জাল ভোট ও কেন্দ্র দখলের অভিযোগে তার সমর্থকরা সড়ক অবরোধ করে জুতা মিছিল করে। এ সময় ইসি ও প্রতীদ্বন্দ্বী প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবিরকে ব্যঙ্গ করে নানা স্লোগান দিতে থাকে তারা। ওই সময় ৩০ মিনিট সড়ক অবরোধ করে রাখে ভোটাররা। একই সাথে তারা পুনর্নির্বাচন দাবি করে।

 

প্রার্থীর অভিযোগ ও ভোট বর্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে রিটার্নিং কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শামীম আরা বলেন, ভোট বর্জন প্রার্থীর একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত । এ বিষয়ে তার কিছু বলার নেই। তবে একটি কেন্দ্রে আগে যেকয়টি ব্যালট পেপারে সিল মারা পাওয়া গেছে, সেগুলো বাতিল করা হয়েছে। এছাড়া কোন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদেরকে বের করে দেওয়া কিংবা ভুয়া এজেন্ট বসিয়ে কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের সুনির্দিষ্ট কোন অভিযোগ প্রার্থী তার কাছে করেননি। প্রার্থী যেসব অভিযোগ করেছেন সেগুলোর তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।