ঢাকা ০২:০১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

দেশের ১১ কোটি নাগরিকের তথ্য বিক্রি: কারাগারে ডেটা সেন্টারের সেই তারেক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪ ৫২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

দেশের ১১ কোটির বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও বিক্রির অভিযোগে কাফরুল থানায় করা মামলায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডেটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

 

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করে পুলিশ। এ সময় আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে ও রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

এর আগে, বুধবার রাজধানীর কাফরুলের উত্তর কাজীপাড়া থেকে তারেক এম বরকতউল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা করেন এনামুল হক। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি ১৫ থেকে ২০ জন।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়, জয় ও পলক একটি সংগঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নাগরিকদের এনআইডি তথ্য বিক্রির সুবিধা দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে ব্যবসার অনুমতি দেন। যে তথ্য দেশি-বিদেশি ১৮২টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির তথ্য মিলেছে। তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য পাচার হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে অপরাধ করেছেন আসামিরা।

 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেসের পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহবুবুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক (অপারেশনস) আবদুল বাতেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী আশরাফ হোসেন, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রাকিবুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হায়দার আলী, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক উপাচার্য মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক অফিসের সাবেক সিস্টেম বিশ্লেষক অলিউল হাসান, আইসিটি বিভাগের সাবেক উপসচিব তবিবুর রহমান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক সহকারী পরিচালক (আইনি ও যাচাই) সারওয়ার হোসেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন শাখার সাবেক পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) আবদুল মমিন সরকার, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন শাখার সাবেক পরিচালক (বাজেট, হিসাব ও সাধারণ সেবার ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ম্যানেজার (সিকিউরিটি অপারেশন) মাহিদুর রহমান খান এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সফটওয়্যার ডেভেলপার সিদ্দিকুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

দেশের ১১ কোটি নাগরিকের তথ্য বিক্রি: কারাগারে ডেটা সেন্টারের সেই তারেক

আপডেট সময় : ০৮:৩০:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪

নিজস্ব প্রতিবেদক:

 

দেশের ১১ কোটির বেশি নাগরিকের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি ও বিক্রির অভিযোগে কাফরুল থানায় করা মামলায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) ডেটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতউল্লাহর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

 

বৃহস্পতিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেদী হাসানের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

 

এদিন তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে রাখার আবেদন করে পুলিশ। এ সময় আসামিপক্ষ জামিন চেয়ে ও রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে। শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

এর আগে, বুধবার রাজধানীর কাফরুলের উত্তর কাজীপাড়া থেকে তারেক এম বরকতউল্লাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এদিন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে কাফরুল থানায় মামলা করেন এনামুল হক। এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি ১৫ থেকে ২০ জন।

 

মামলার এজাহারে বলা হয়, জয় ও পলক একটি সংগঠিত সিন্ডিকেটের মাধ্যমে নাগরিকদের এনআইডি তথ্য বিক্রির সুবিধা দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠানকে জনগণের ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে তথ্য সরবরাহের মাধ্যমে ব্যবসার অনুমতি দেন। যে তথ্য দেশি-বিদেশি ১৮২টি সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রির তথ্য মিলেছে। তৃতীয় পক্ষের কাছে তথ্য পাচার হওয়ায় বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে নিরাপত্তাহীনতা ও অস্থিরতা সৃষ্টি করে অপরাধ করেছেন আসামিরা।

 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেসের পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহবুবুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক (অপারেশনস) আবদুল বাতেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী আশরাফ হোসেন, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) রাকিবুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক হায়দার আলী, কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের সাবেক উপাচার্য মুহাম্মদ মাহফুজুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধক অফিসের সাবেক সিস্টেম বিশ্লেষক অলিউল হাসান, আইসিটি বিভাগের সাবেক উপসচিব তবিবুর রহমান, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক সহকারী পরিচালক (আইনি ও যাচাই) সারওয়ার হোসেন, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন শাখার সাবেক পরিচালক (নিবন্ধন ও প্রবাসী) আবদুল মমিন সরকার, জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন শাখার সাবেক পরিচালক (বাজেট, হিসাব ও সাধারণ সেবার ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ম্যানেজার (সিকিউরিটি অপারেশন) মাহিদুর রহমান খান এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সফটওয়্যার ডেভেলপার সিদ্দিকুর রহমান।