ঢাকা ০১:৫৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

শেরপুরে ১০ বছরেও মেলেনি ভিক্ষুক ছম খাতুনের ভাগ্যে মাথা গুজার ঠাই

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:৩২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুলাই ২০২০ ৫২২ বার পড়া হয়েছে

Exif_JPEG_420

সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শেরপুর প্রতিনিধি:

 

১০ বছরেও মাথা গুজার ঠাই মেলেনি ভিক্ষুক ছম খাতুন (৭৪)’র ভাগ্যে। ছম খাতুন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও চতল গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের স্ত্রী।

বয়সের ভারে ভিক্ষাবৃত্তি করতেও কষ্ট হয় তার। এর পরেও জীবিকার তাগিদে তাকে ঘুরতে হয় অন্যের দ্বারে দ্বারে। ছম খাতুন জানান, ২কন্যা সন্তান রেখে দেশ স্বাধীনের পূর্বে তার স্বামী আব্দুল আজিজের মৃত্যু হয়। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে দুই সন্তানকে লালন পালন করে বিবাহ দিয়েছেন।

বড় কন্যা আলেছা খাতুনের ঘরে ৩ সন্তান। ছোট মেয়ে ছালেমা খাতুন ৪ সন্তানের জননী। ছালেমা খাতুনের স্বামী ৪ সন্তানসহ তাকে রেখে নিরুদ্দেশ। ওই ৪ নাতি ও মেয়েসহ ৬ সদস্যের পরিবার ছম খাতুনের। ছম খাতুন ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পায় তাই দিয়ে চলে তার সংসার। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন, হেটে যেতেই শরীর কাঁপে ছম খাতুনের। তবুও থেমে নেই তার জীবন যুদ্ধ। প্রতিদিন বের হতে হয় ভিক্ষাবৃত্তি করতে। ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পায় তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলে তার সংসার। একদিন গ্রামে বের হতে না পারলে সেদিন চুলা জ্বলেনা।

দিন কাটে অনাহারে-অর্ধাহারে। বসতভিটার ৫শতাংশ জমির উপর বসবাসের জন্য মাটির একটি দেয়াল ঘর ছাড়া সহায়-সম্বল বলতে নেই কিছু ছম খাতুনের। থাকার ঘরটিও গত প্রায় ১০ বছর পূর্বে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। টাকা পয়সার অভাবে ঘরটি আর মেরামত করা সম্ভব হয়নি ছম খাতুনের।

অতিকষ্টে অন্যের বাড়িতে থেকে দিন যাপন করছেন ছম খাতুন। ছম খাতুন জানান, তার বিধ্বস্ত হয়ে পড়া ঘরটি মেরামতের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন অনেক। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি।

ছম খাতুন বলেন, সরকারীভাবে তার পরিবারের জন্য মাথা গুজার ঠাই করে দেয়া হলে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা কৃতজ্ঞ থাকবে সরকারের প্রতি। এ ব্যাপারে গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, কেউ আমাকে এ সম্পর্কে জানায়নি। তবে সামনে সরকারী ঘর বরাদ্দ এলে তাকে দেয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

শেরপুরে ১০ বছরেও মেলেনি ভিক্ষুক ছম খাতুনের ভাগ্যে মাথা গুজার ঠাই

আপডেট সময় : ০৫:৩২:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১২ জুলাই ২০২০

শেরপুর প্রতিনিধি:

 

১০ বছরেও মাথা গুজার ঠাই মেলেনি ভিক্ষুক ছম খাতুন (৭৪)’র ভাগ্যে। ছম খাতুন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের বনগাঁও চতল গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের স্ত্রী।

বয়সের ভারে ভিক্ষাবৃত্তি করতেও কষ্ট হয় তার। এর পরেও জীবিকার তাগিদে তাকে ঘুরতে হয় অন্যের দ্বারে দ্বারে। ছম খাতুন জানান, ২কন্যা সন্তান রেখে দেশ স্বাধীনের পূর্বে তার স্বামী আব্দুল আজিজের মৃত্যু হয়। অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে দুই সন্তানকে লালন পালন করে বিবাহ দিয়েছেন।

বড় কন্যা আলেছা খাতুনের ঘরে ৩ সন্তান। ছোট মেয়ে ছালেমা খাতুন ৪ সন্তানের জননী। ছালেমা খাতুনের স্বামী ৪ সন্তানসহ তাকে রেখে নিরুদ্দেশ। ওই ৪ নাতি ও মেয়েসহ ৬ সদস্যের পরিবার ছম খাতুনের। ছম খাতুন ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পায় তাই দিয়ে চলে তার সংসার। বয়সের ভারে নুইয়ে পড়েছেন, হেটে যেতেই শরীর কাঁপে ছম খাতুনের। তবুও থেমে নেই তার জীবন যুদ্ধ। প্রতিদিন বের হতে হয় ভিক্ষাবৃত্তি করতে। ভিক্ষাবৃত্তি করে যা পায় তাই দিয়ে খেয়ে না খেয়ে চলে তার সংসার। একদিন গ্রামে বের হতে না পারলে সেদিন চুলা জ্বলেনা।

দিন কাটে অনাহারে-অর্ধাহারে। বসতভিটার ৫শতাংশ জমির উপর বসবাসের জন্য মাটির একটি দেয়াল ঘর ছাড়া সহায়-সম্বল বলতে নেই কিছু ছম খাতুনের। থাকার ঘরটিও গত প্রায় ১০ বছর পূর্বে বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে। টাকা পয়সার অভাবে ঘরটি আর মেরামত করা সম্ভব হয়নি ছম খাতুনের।

অতিকষ্টে অন্যের বাড়িতে থেকে দিন যাপন করছেন ছম খাতুন। ছম খাতুন জানান, তার বিধ্বস্ত হয়ে পড়া ঘরটি মেরামতের জন্য স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীসহ সমাজপতিদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেছেন অনেক। কিন্তু কোন কাজে আসেনি। ফলে মানবেতর জীবন যাপন করছেন তিনি।

ছম খাতুন বলেন, সরকারীভাবে তার পরিবারের জন্য মাথা গুজার ঠাই করে দেয়া হলে তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা কৃতজ্ঞ থাকবে সরকারের প্রতি। এ ব্যাপারে গৌরীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান মন্টুর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, কেউ আমাকে এ সম্পর্কে জানায়নি। তবে সামনে সরকারী ঘর বরাদ্দ এলে তাকে দেয়া হবে।