ঢাকা ০১:৪৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

ফেনীতে করোনায় সু্স্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলেন স্বাস্থ্য কর্মী’সহ ২জন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০ ৪৬৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাহেদ সাব্বির, ফেনী প্রতিনিধি::

ফেনীতে করোনা জয় করে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই জন। ১৫ দিন হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার বিকেলে তাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সোনাগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার এই দুই যুবককে ছাড়পত্র দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

‘ডাক্তার–নার্সরা সব সময় সাহস দিতেন। বলতেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারব।আজ সকালে বাড়ি যাব জেনে খুব ভালো লেগেছে। কত দিন পর আজ বাড়ি ফিরতে পারছি, খুব খুশি লাগছে!’

আজ ছাড়পত্র পাওয়ায় কথাগুলো বলছিলেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডেডিকেটেড হাসপাতাল ট্রমা সেন্টারের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন সোনাগাজীর সেই যুবক।তিনি সোনাগাজী ক্লিনিকে মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ট্রমা সেন্টারে আইসোলেশনে থাকা দু’জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখানে আনার পর শারিরিক অবস্থার উন্নতি দেখে আরো দুইবার নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে প্রেরণ করা হয়। ৩ মে নমুনা পরীক্ষার দ্বিতীয় ফলাফলে নেগেটিভ আসে। এছাড়া ওই দুই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের নমুনাও নেগেটিভ হয়। এর ফলে তাদের ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্বান্ত নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

গত ১৫ দিন আইসোলেশনে একাকী থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তিনি আরো বলেন, বাড়িতে বাবা-মা, স্ত্রী ও ১ ছেলে, ১ মেয়ে সহ পরিবারের অপর সদস্যরা রয়েছেন। কিন্তু কখনো এতদিন কোথাও একা সময় কাটাননি। পেশাগত জীবনে সোনাগাজী পৌর শহরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরী করছেন। বিশ্বব্যাপী করোনা আতংকে স্বপ্রণোদিত হয়েই নমুনা পরীক্ষা করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

করোনা জয়ী ওই যুবক আরো জানান, মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট হওয়ায় নিজ থেকে গত ১৫ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ১৬ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে প্রেরণ করা হলে ২০ এপ্রিল প্রতিবেদন পজেটিভ আসে। ২১ এপ্রিল থেকে ট্রমা সেন্টারে অবস্থান করছেন। সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন নামাজ-কোরআন শরীফ পড়ে সময় কাটিয়েছেন। মনে পড়লেই স্বজনদের সাথে ফোনে কথা বলতেন। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল ছাগলনাইয়ায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। তাকেও ট্রমা সেন্টারে আইসোলেশনে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বিকাল ৩টার দিকে স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে তারা দু’জনই যথাক্রমে সোনাগাজী পৌর শহরের উত্তর চরছান্দিয়া ও ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি পৌছেন।

সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ছাড়পত্র পাওয়া দু’জনকেই ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইসোলেশনে থেকে করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা আমাদের বড় সাফল্য। এজন্য মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

ফেনীতে করোনায় সু্স্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরলেন স্বাস্থ্য কর্মী’সহ ২জন

আপডেট সময় : ০৭:৪৯:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ মে ২০২০

সাহেদ সাব্বির, ফেনী প্রতিনিধি::

ফেনীতে করোনা জয় করে সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেছেন দুই জন। ১৫ দিন হাসপাতালের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার বিকেলে তাদেরকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়। সোনাগাজী ও ছাগলনাইয়া উপজেলার এই দুই যুবককে ছাড়পত্র দেয় জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

‘ডাক্তার–নার্সরা সব সময় সাহস দিতেন। বলতেন খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরতে পারব।আজ সকালে বাড়ি যাব জেনে খুব ভালো লেগেছে। কত দিন পর আজ বাড়ি ফিরতে পারছি, খুব খুশি লাগছে!’

আজ ছাড়পত্র পাওয়ায় কথাগুলো বলছিলেন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে ডেডিকেটেড হাসপাতাল ট্রমা সেন্টারের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন সোনাগাজীর সেই যুবক।তিনি সোনাগাজী ক্লিনিকে মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্র জানায়, ট্রমা সেন্টারে আইসোলেশনে থাকা দু’জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এখানে আনার পর শারিরিক অবস্থার উন্নতি দেখে আরো দুইবার নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের বিআইটিআইডিতে প্রেরণ করা হয়। ৩ মে নমুনা পরীক্ষার দ্বিতীয় ফলাফলে নেগেটিভ আসে। এছাড়া ওই দুই ব্যক্তির পরিবারের সদস্যদের নমুনাও নেগেটিভ হয়। এর ফলে তাদের ছাড়পত্র দেওয়ার সিদ্বান্ত নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।

গত ১৫ দিন আইসোলেশনে একাকী থাকার অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তিনি আরো বলেন, বাড়িতে বাবা-মা, স্ত্রী ও ১ ছেলে, ১ মেয়ে সহ পরিবারের অপর সদস্যরা রয়েছেন। কিন্তু কখনো এতদিন কোথাও একা সময় কাটাননি। পেশাগত জীবনে সোনাগাজী পৌর শহরের ডায়াগনস্টিক সেন্টারে চাকরী করছেন। বিশ্বব্যাপী করোনা আতংকে স্বপ্রণোদিত হয়েই নমুনা পরীক্ষা করেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

করোনা জয়ী ওই যুবক আরো জানান, মেডিকেল টেকনোলোজিষ্ট হওয়ায় নিজ থেকে গত ১৫ এপ্রিল নমুনা পরীক্ষা করা হয়। ১৬ এপ্রিল বিআইটিআইডিতে প্রেরণ করা হলে ২০ এপ্রিল প্রতিবেদন পজেটিভ আসে। ২১ এপ্রিল থেকে ট্রমা সেন্টারে অবস্থান করছেন। সুস্থ হওয়ার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়।

তিনি জানিয়েছেন, প্রতিদিন নামাজ-কোরআন শরীফ পড়ে সময় কাটিয়েছেন। মনে পড়লেই স্বজনদের সাথে ফোনে কথা বলতেন। এর আগে গত ১৬ এপ্রিল ছাগলনাইয়ায় প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। তাকেও ট্রমা সেন্টারে আইসোলেশনে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, বিকাল ৩টার দিকে স্বাস্থ্য বিভাগের দেওয়া অ্যাম্বুলেন্সে তারা দু’জনই যথাক্রমে সোনাগাজী পৌর শহরের উত্তর চরছান্দিয়া ও ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি পৌছেন।

সিভিল সার্জন ডা. সাজ্জাদ হোসেন জানান, ছাড়পত্র পাওয়া দু’জনকেই ১৪ দিন হোম আইসোলেশনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আইসোলেশনে থেকে করোনা রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা আমাদের বড় সাফল্য। এজন্য মহান আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন তিনি।