ঢাকা ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৩১ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

করোনায় চাকরি হারিয়ে গ্রামে ফিরে ভাই-ভাতিজাদের পাষাণ্ডের শিকার বাহার উদ্দিন’র পরিবার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১ ৯১৫২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাহেদ সাব্বির,ফেনী :

 

রাজধানী ঢাকার একটি পাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন সৈয়দ বাহার উদ্দিন। পরিবার নিয়ে মিরপুরে একটা ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। সব কিছু ঠিকঠাক মতে চললেও হঠাৎ মহামারি করোনার কারণে চাকরি হারিয়ে তার জীবনে নেমে আসে কালো আঁধার। তার চাকরির উপার্জন দিয়ে গোটা পরিবার চলতো। উপায়ন্তর না পেয়ে স্ত্রী সান্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুরে ফিরে আসেন তিনি।

গ্রামে এসেও নিজ পৈতৃক ভূমিতে ঠাঁই মেলেনি বাহারের। নিজ ভাই-ভাবি, ভাতিজারা তাকে ঘরে ডুকতে না দিয়ে ঝামেলা করতে থাকে। বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীর ঘরে উঠতে হয় বাহার উদ্দিনকে। গত তিন মাস ধরে কখনো আত্মীয়ের বাসায়, কখনো পরিচিত জনের বাসায় আবার কখনো খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হয়েছে বাহারকে।

নিজ ভাই-ভাবি, ভাতিজার জুলুম অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে প্রতিকারের আশায় শুক্রবার (২৯জানুয়ারি) সকালে সোনাগাজী রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সৈয়দ বাহার উদ্দিন। সে সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের মরহুম শেখ বদিউল আলমের ছেলে।

এসময় তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কখনো খোলা আকাশের নিচে কখনো প্রতিবেশীর বাড়ীতে মানবেতর জীবন যাপনের করুন পরিস্থিতি বর্ণনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সময় তিনি বলেন, যৌথ পরিবার থাকাকালে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগবন্টনের আগে যৌথ খরচে পাকাঘর নির্মানের সিদ্ধান্ত হয়। ঘর নির্মানের জন্য পরিবারের কর্তা বড়ভাই শেখ কামাল উদ্দিনের হাতে তখন নগদ তিন লক্ষ সত্তর হাজার টাকা দিয়েছিলাম। আমি চাকুরীর কারণে স্ব-পরিবারে ঢাকা থাকতাম এবং ঢাকা থাকাকালীন আমার বড়ভাই শেখ কামাল উদ্দিন মারা যায়। করোনায় আমি চাকরি হারিয়ে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসলে তারা আমাকে ঘরে প্রবেশে বাধা দেয়। এখন আমাকে প্রতিবেশীর বাসায়, কখনো আত্মীয়ের বাসায় আবার কখনো খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছি।

গত শুক্রবার (২২জানুয়ারি) তারা ঘরের দ্বিতীয় তলা নির্মাণ কাজ শুরু করলে প্রাপ্যের অংশের কথা বললে তারা আমি ও আমার স্ত্রী সন্তানদের হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। দীর্ঘদিন ঢাকায় থাকার সুযোগ নিয়ে ভাই-ভাবী ও ভাতিজারা ঝামেলা করে। স্থানীয় সন্ত্রাসী দিয়ে আমাকে একাধিক বার শারিরীক ভাবে আঘাত করার চেষ্টা করে।। এই বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

সৈয়দ বাহার উদ্দিন বাসস্থানে ফিরে যেতে স্থায়ীয় এমপি, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

করোনায় চাকরি হারিয়ে গ্রামে ফিরে ভাই-ভাতিজাদের পাষাণ্ডের শিকার বাহার উদ্দিন’র পরিবার

আপডেট সময় : ০৮:৫৪:০৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২১

সাহেদ সাব্বির,ফেনী :

 

রাজধানী ঢাকার একটি পাইভেট কোম্পানিতে চাকরি করতেন সৈয়দ বাহার উদ্দিন। পরিবার নিয়ে মিরপুরে একটা ভাড়াবাড়িতে থাকতেন। সব কিছু ঠিকঠাক মতে চললেও হঠাৎ মহামারি করোনার কারণে চাকরি হারিয়ে তার জীবনে নেমে আসে কালো আঁধার। তার চাকরির উপার্জন দিয়ে গোটা পরিবার চলতো। উপায়ন্তর না পেয়ে স্ত্রী সান্তানদের নিয়ে গ্রামের বাড়ি আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুরে ফিরে আসেন তিনি।

গ্রামে এসেও নিজ পৈতৃক ভূমিতে ঠাঁই মেলেনি বাহারের। নিজ ভাই-ভাবি, ভাতিজারা তাকে ঘরে ডুকতে না দিয়ে ঝামেলা করতে থাকে। বাধ্য হয়ে প্রতিবেশীর ঘরে উঠতে হয় বাহার উদ্দিনকে। গত তিন মাস ধরে কখনো আত্মীয়ের বাসায়, কখনো পরিচিত জনের বাসায় আবার কখনো খোলা আকাশের নিচে খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করতে হয়েছে বাহারকে।

নিজ ভাই-ভাবি, ভাতিজার জুলুম অত্যাচারে দিশেহারা হয়ে প্রতিকারের আশায় শুক্রবার (২৯জানুয়ারি) সকালে সোনাগাজী রিপোর্টার্স ইউনিটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সৈয়দ বাহার উদ্দিন। সে সোনাগাজীর আমিরাবাদ ইউনিয়নের আহম্মদপুর গ্রামের মরহুম শেখ বদিউল আলমের ছেলে।

এসময় তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে স্ত্রী সন্তানদের নিয়ে কখনো খোলা আকাশের নিচে কখনো প্রতিবেশীর বাড়ীতে মানবেতর জীবন যাপনের করুন পরিস্থিতি বর্ণনা করেন।

সংবাদ সম্মেলনে সময় তিনি বলেন, যৌথ পরিবার থাকাকালে পৈত্রিক সম্পত্তি ভাগবন্টনের আগে যৌথ খরচে পাকাঘর নির্মানের সিদ্ধান্ত হয়। ঘর নির্মানের জন্য পরিবারের কর্তা বড়ভাই শেখ কামাল উদ্দিনের হাতে তখন নগদ তিন লক্ষ সত্তর হাজার টাকা দিয়েছিলাম। আমি চাকুরীর কারণে স্ব-পরিবারে ঢাকা থাকতাম এবং ঢাকা থাকাকালীন আমার বড়ভাই শেখ কামাল উদ্দিন মারা যায়। করোনায় আমি চাকরি হারিয়ে পরিবার নিয়ে গ্রামের বাড়িতে ফিরে আসলে তারা আমাকে ঘরে প্রবেশে বাধা দেয়। এখন আমাকে প্রতিবেশীর বাসায়, কখনো আত্মীয়ের বাসায় আবার কখনো খোলা আকাশের নিচে আশ্রয় নিয়েছি।

গত শুক্রবার (২২জানুয়ারি) তারা ঘরের দ্বিতীয় তলা নির্মাণ কাজ শুরু করলে প্রাপ্যের অংশের কথা বললে তারা আমি ও আমার স্ত্রী সন্তানদের হত্যা করে লাশ গুম করার হুমকি দেয়। দীর্ঘদিন ঢাকায় থাকার সুযোগ নিয়ে ভাই-ভাবী ও ভাতিজারা ঝামেলা করে। স্থানীয় সন্ত্রাসী দিয়ে আমাকে একাধিক বার শারিরীক ভাবে আঘাত করার চেষ্টা করে।। এই বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

সৈয়দ বাহার উদ্দিন বাসস্থানে ফিরে যেতে স্থায়ীয় এমপি, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানায়।