ঢাকা ০৩:২৯ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ আহত-৬ মানবিক তারুণ্যের ৮ম যুব সম্মেলন ও এ্যাওয়ার্ড বিতরণ সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ, পুলিশের তদন্তকালে বাদীর উপর হামলা, আহত ৪ হাসনাত-সারজিস ছাত্রলীগ থেকে গিয়ে নতুন দলে এসেছে: ইসমাইল সম্রাট কবিরহাটের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিরিন গার্ডেনে হামলার অভিযোগ, পুলিশসহ আহত ৭ সুধারামে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে করোনার অবসান হবে আশাবাদী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৫৩:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২ ৬০০৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে নভেল করোনাভাইরাসের মহামারির অবসান হবে বলে আশাবাদী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস। তবে করোনার সংক্রমণ রোধে বিশ্বের দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, কেবল তাহলেই ২০২২ সালে এ ভাইরাসকে হারানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নতুন বছরের শুরুতে এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও’র প্রধান টিকা নিয়ে স্বার্থপর জাতীয়তাবাদী আচরণ এবং কোভিড টিকার মজুদের বিষয়ে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন।

প্রায় দুই বছর আগে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে সর্বপ্রথম নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। এর দুই বছর পর করোনার মহামারিকে পরাজিত করার কথা বললেন ডব্লিউএইচও’র প্রধান। আর, যে সময়ে এমন মন্তব্য করলেন তখন বিশ্বেজুড়ে প্রায় ২৯ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫৫ লাখ মানুষের।

করোনার ওমিক্রন ও ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টের প্রাদুর্ভাবে এ মুহূর্তে জর্জরিত বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশ—বিশেষ করে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতেই বিশ্বজুড়ে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উদ্যাপন করা হচ্ছে। তবে, কোভিডের কারণে দেশে দেশে নববর্ষের উদ্যাপনের ওপর বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

বিবিসি বলছে—নভেল করোনাভাইরাস বর্তমানে মানুষের জীবনের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নানা বিধিনিষেধের সঙ্গে মানুষ পরিচিত হয়ে গেছে। দেশে দেশে সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে নানা সময়। মানুষ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ ছাড়া কোনো কোনো জায়গায় তো মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়ার বিষয়টি অচিন্তনীয় হয়ে গেছে।

এত সবের পরেও ডব্লিউএইচওর প্রধান তাঁর বিবৃতিতে ইতিবাচক বাণীই শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় এখন মানুষের হাতে অনেক উপকরণ রয়েছে। তবে, সতর্কবার্তাও দিয়েছেন তিনি।

টেড্রস আধানম বলেন, কোভিড টিকা প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে যে চলমান অসমতা রয়েছে, তা বজায় থাকলে করোনার প্রকোপ অব্যাহত থাকার ঝুঁকি বাড়বে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, আমরা যদি (টিকাপ্রাপ্তির) অসমতার সমাপ্তি টানতে পারি, তাহলে (করোনার) মহামারি বিদায় নেবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে করোনার অবসান হবে আশাবাদী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার

আপডেট সময় : ১২:৫৩:০০ অপরাহ্ন, শনিবার, ১ জানুয়ারী ২০২২

খ্রিষ্টীয় নতুন বছরে নভেল করোনাভাইরাসের মহামারির অবসান হবে বলে আশাবাদী বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রধান টেড্রস আধানম গ্যাব্রিয়েসুস। তবে করোনার সংক্রমণ রোধে বিশ্বের দেশগুলোকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে, কেবল তাহলেই ২০২২ সালে এ ভাইরাসকে হারানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, নতুন বছরের শুরুতে এক বিবৃতিতে ডব্লিউএইচও’র প্রধান টিকা নিয়ে স্বার্থপর জাতীয়তাবাদী আচরণ এবং কোভিড টিকার মজুদের বিষয়ে সতর্কবার্তা উচ্চারণ করেছেন।

প্রায় দুই বছর আগে চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে সর্বপ্রথম নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছিল। এর দুই বছর পর করোনার মহামারিকে পরাজিত করার কথা বললেন ডব্লিউএইচও’র প্রধান। আর, যে সময়ে এমন মন্তব্য করলেন তখন বিশ্বেজুড়ে প্রায় ২৯ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৫৫ লাখ মানুষের।

করোনার ওমিক্রন ও ডেলটা ভ্যারিয়্যান্টের প্রাদুর্ভাবে এ মুহূর্তে জর্জরিত বিভিন্ন অঞ্চল ও দেশ—বিশেষ করে ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্র। এমন পরিস্থিতিতেই বিশ্বজুড়ে খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উদ্যাপন করা হচ্ছে। তবে, কোভিডের কারণে দেশে দেশে নববর্ষের উদ্যাপনের ওপর বিভিন্ন ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।

বিবিসি বলছে—নভেল করোনাভাইরাস বর্তমানে মানুষের জীবনের নিত্যদিনের সঙ্গী হয়ে গেছে। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে নানা বিধিনিষেধের সঙ্গে মানুষ পরিচিত হয়ে গেছে। দেশে দেশে সীমান্ত বন্ধ করা হয়েছে নানা সময়। মানুষ পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে। এ ছাড়া কোনো কোনো জায়গায় তো মাস্ক ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়ার বিষয়টি অচিন্তনীয় হয়ে গেছে।

এত সবের পরেও ডব্লিউএইচওর প্রধান তাঁর বিবৃতিতে ইতিবাচক বাণীই শুনিয়েছেন। তিনি বলেছেন, কোভিড-১৯-এর চিকিৎসায় এখন মানুষের হাতে অনেক উপকরণ রয়েছে। তবে, সতর্কবার্তাও দিয়েছেন তিনি।

টেড্রস আধানম বলেন, কোভিড টিকা প্রাপ্যতার ক্ষেত্রে যে চলমান অসমতা রয়েছে, তা বজায় থাকলে করোনার প্রকোপ অব্যাহত থাকার ঝুঁকি বাড়বে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, আমরা যদি (টিকাপ্রাপ্তির) অসমতার সমাপ্তি টানতে পারি, তাহলে (করোনার) মহামারি বিদায় নেবে।