প্লে অফে উঠতে পারেনি মিনিস্টার গ্রুপ ঢাকা। টি-২০ক্রিকেটে তামিমের দারুণ একটা আসর থেমেছে ১ সেঞ্চুরি, ৪ ফিফটিতে ৫৮.১৪ গড়ে ৪০৭ রানে। বিপিএলের এবারের আসরে রাউন্ড রবীন লিগে সর্বাধিক রানের মালিক তামিম অবশ্য সবার উপরে থাকতে পারেননি।
সোমবার ৮০ রানের হার না মানা ইনিংসে পেছন থেকে তামিমকে টপকে গেছেন ফ্লেচার (১১ ম্যাচে ১ সেঞ্চুরি, ৩ ফিফটিতে ৪১০)। প্লে অফে উঠতে পারেনি ঢাকা। তাই সোমবার ব্রডকাস্টার প্রতিষ্ঠানের অনুরোধে দিয়েছেন তামিম ধারাভাষ্য।
কমেন্ট্রিতে অভিষেকে টানা ৬ ওভার খুলনা-চট্টগ্রামের ম্যাচ নিয়ে আলোচনা করেছেন। নতুন পরিচয়ে অভিষেক অবশ্য বেশ উপভোগই করেছেন। কমেন্ট্রি শেষে প্রেসবক্সে এসে সেই অনুভূতির কথাই বলেছেন তামিম-‘আমি এমনেই বোর্ডে আসছিলাম, মিটিং ছিল। সর্বশেষ পাকিস্তান সিরিজেও বলা হয়েছিল, তবে করা হয় নাই। এবার একটু চেষ্টা করে দেখলাম, কেমন লাগে। আতহার ভাইদের সঙ্গে। ইন্টারেস্টিং। আমি তো আসলে কমেন্ট্রি করি নাই বলতে গেলে, নিজেকে নিয়েই কথা বলছিলাম, খেলা নিয়ে টুকটাক বলেছি। ইন্টারেস্টিং ব্যাপার। হয়তো ভবিষ্যতের জন্য ভাবা যেতে পারে। এ মুহুর্তে চিন্তা-ভাবনা নাই।’
বাংলাদেশের ক্রিকেটে ধারাভাষ্য লম্বা সময় ধরে দিচ্ছেন জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার আতাহার আলী খান এবং বিশিষ্ট স্পোর্টস কমেন্টেটর শামীম আশরাফ চৌধুরী। এই দুই কমেন্টেটর কখনোই বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে নিয়ে সমালোচনা করেননি বলে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ তামিম ইকবাল-‘ ওনাদের কাছ থেকে প্রশংসা পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়। বরং তাদের নিয়ে আমাদের বলাটাই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের ক্রিকেটের দিকটা নিয়ে খুব বেশি কথা বলি না। চিন্তা করেন, বাংলাদেশ দল যখন খারাপ খেলে, আজ থেকে কয়েক বছর আগে আমরা যখন ম্যাচ হারতে থাকতাম, আতহার ভাই-শামীম ভাইরাই পিলার ছিলেন। বাকি ২০ জনের সামনে বাংলাদেশকে ছোট হতে দেয় নাই। দে কেপ্ট অন সাপোর্টিং। তারা কঠিন কাজ করেছেন। এটা অ্যাপ্রিশিয়েট করা উচিৎ। আতহার ভাইকে এটিই বলেছি আজ।’