এনকে বার্তা ডেস্ক::
ঈদ শব্দের অর্থ মানেই আনন্দ। আর ঈদের নামাজ শেষে সবার সাথে কোলাকুলি করাটা ঈদের ভিন্নতা এনে দেয়। ঈদে ভেদাভেদ ভুলে জামাতের পর কোলাকুলি আর স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবদের বাড়িতে বেড়ানোর মধ্য দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগির রেওয়াজ থাকলেও এবছর থাকছে না তেমন কোন আয়োজন। এসব না করলে কি ঈদের আনন্দ খুঁজে পাওয়া যায়? কিন্তু করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ঘরবন্দি দিনে এসেছে নিরানন্দের ঈদ! আর অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারের ঈদ আয়োজনেও ভিন্নতা রয়েছে।
দেখা গেছে, সোমবার সকাল ৭টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মসজিদে মুসল্লিরা ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেছেন। আর এই বিষয়ে আগেই সরকারের পক্ষ থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কথা বলা হয়।
সোমবার নামাজের আগে মুসল্লিরা মসজিদে আসতে শুরু করেন। আর মুসল্লিরা মুখে মাস্ক পরে মসজিদে প্রবেশ করেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে নামাজ আদায় করেন। আবার নামাজ শেষে সবাই কোলাকুলি করা থেকেও বিরত ছিলেন।
মসজিদের ভেতর জায়গা না হওয়ায় অনেককে মসজিদের বাইরে ঈদের নামাজ আদায় করতে দেখা গেছে।
করোনা সংক্রমণ বিস্তার ঠেকাতে ঈদগাহে বা খোলা জায়গায় এবার ঈদের নামাজের জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় দেশের মসজিদে মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর নিষেধাজ্ঞা আসে কোলাকুলি করার ক্ষেত্রেও। ঈদ হলেও সব ধরণের স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়।
এদিকে রাজধানীর ফামগের্ট এবং আশেপাশের এলাকাগুলোর বেশ কয়েকটি মসজিদে দেখা যায়, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে মসজিদের ভেতরে জায়গা না হওয়ার কারণে অনেকেই রাস্তায় বসে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। আর নামাজ শেষে কাউকে কোলাকুলি করতে দেখা যায়নি। সবাই মাস্ক ব্যবহার করছেন।
অন্যদিকে বিগত ঈদগুলোতে ঢাকাসহ বিভিন্ন শহর থেকে লাখ লাখ মানুষের যে ঈদযাত্রা তা এবার নেই। আর এবার স্বজনদের সঙ্গে ঈদ উদযাপনে যারা ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির পথ ধরেছিলেন, গণপরিবহনহীন অবস্থায় তাদের অনেকেও পড়েছেন বিপত্তিতে।
‘তাই এবার ঈদের আনন্দটা আর পাওয়া যাচ্ছে না। ঈদের যে সামাজিকতা আছে, সেটাও নাই। মানুষ আত্মীয়-স্বজনকে দেখতে বাড়ি যায়, এবার যাচ্ছে না। উল্টো ভীতির মধ্যে আছে।’