নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে গরম পানি ঢেলে এক শিশুকে ঝলসে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তার মামাতো ভাই-বোনের বিরুদ্ধে। ঘটনার ২দিন পর নুপুর নামে (২২) এক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অপর দিকে, গত শুক্রবার বিকেলে আহত শিশুকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঝলসে যাওয়া শিশুর নাম নজরুল ইসলাম (১২) সে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের শুটকি বেপারী বাড়ির মো. ইউছুফ ওরফে হারুনের ছেলে।
গত বৃহস্পতিবার (১৫সেপ্টম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের শুটকি বেপারীর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতারকৃত নুপুর (২২) বসুরহাট পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ডের শুটকি বেপারীর বাড়ির মো. সেলিমের মেয়ে।
ভুক্তভোগী শিশুর পিতা মো. ইউছুফ ওরফে হারুন অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শুটকি বেপারী বাড়ির সেলিমের পরিবারের সঙ্গে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে আমার পারিবারের সাথে বিরোধ চলছিল। বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধের জেরধরে গত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে একই বাড়ির সেলিমের ছেলে মিশু ও মেয়ে নুপুর গরম পানি মেরে ফুফাতো ভাই নজরুলকে ঝলসে দেয়। এতে তার ছেলের শরীরের গোপনাঙ্গসহ বেশকিছু অংশ গরম পানিতে ঝলসে গেছে। ঘটনার পরপরই আমার স্ত্রী আফরোজের নেছা বাদী হয়ে থানায় ৫জনকে আসামী করে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে রোববার এ ঘটনায় পুলিশ নিয়মিত মামলা রেকর্ড করেন। এর আগে, শনিবার দুপুরের দিকে এক আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাদেকুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় পাঁচজনকে আসামী করে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে নুপুর নামে এক আসামীকে তার বসত বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে রোববার দুপুরের দিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়।