ঢাকা ১১:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

ইএবির দাবি রপ্তানিতে উৎসে কর কমানোর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:২৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০ ৩১৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিবেদক:

আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের রপ্তানি মূল্যের ওপর উৎসে কর দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এটা কমানোর দাবি জানিয়েছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)।

পাশাপাশি মহামারি করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে বন্ধ হওয়া কারখানার ‘এক্সিট প্ল্যান’ ও আলাদা বরাদ্দ রাখার দাবি সংগঠনটির। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর এক প্রতিক্রিয়ায় গতকাল এসব দাবি জানিয়েছে রপ্তানিকারকদের সংগঠনটি।

ইএবির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছর রপ্তানি শিল্পের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উৎসে কর কমিয়ে দশমিক ২৫ শতাংশ হারে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল। শিল্পের এ কঠিন সময়ে উৎসে কর দশমিক ২৫ শতাংশ হারে আরও পাঁচ বছর অব্যাহত রাখার দাবি জানাচ্ছি।

বর্তমানে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প খাতসহ নিটওয়্যার ও ওভেন গার্মেন্টসের করপোরেট করহার গ্রিন কারখানার জন্য ১০ শতাংশ এবং গ্রিন কারখানা ছাড়া অন্যান্য কারখানার জন্য ১২ শতাংশ হারে বিদ্যমান রয়েছে। বাজেট প্রস্তাবনায় এ হার আগামী দুই বছরের জন্য অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ খাতের সঙ্গে চামড়া ও চামড়াজাত রপ্তানি শিল্পকেও একই নীতিমালার সঙ্গে যুক্ত করার দাবি করেছে ইএবি।

রপ্তানির জন্য স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত বিভিন্ন আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদির নগদে ক্রয়কৃত মূল্যের ওপর উৎসে কর বা ভ্যাট ধার্য করার বিধান থাকায় কারখানাগুলোর উৎপাদনে সময়ক্ষেপণ হয়ে থাকে, যা সময়মতো রপ্তানিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়।

সংগঠনটির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা প্রদান অত্যন্ত সময়োপযোগী। বর্তমানে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি। এ পর্যায়ে থ্রি ডি স্যাম্পলিং, ফটোকপিংয়ের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা জরুরি। ভার্চুয়াল মার্কেট প্লেসের ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা প্রয়োজন।

বর্তমানে রপ্তানিতে নগদ ভর্তুকির ওপর সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশের অধীনে পাঁচ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করা হচ্ছে। বর্তমানে নগদ সহায়তার বিপরীতে যে পাঁচ শতাংশ আয়কর কর্তনের বিধান রয়েছে তা রহিত করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু বাজেট প্রস্তাবনায় এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা না থাকায় পূর্বের হার ১০ শতাংশ বলবৎ থাকবে। করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী শিল্প খাতগুলো যাতে এ ধাক্কা সামলে উঠতে পারে তার জন্য চলমান রপ্তানি নগদ ভর্তুকি পাঁচ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন প্রস্তাবিত বাজেটে মওকুফ করতে সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়।

বিভিন্ন অগ্নি নিরাপত্তা উপকরণ যেমন ফায়ার ডোর, ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম ও পাম্প, ফায়ার ডিটেকশন সিস্টেম ইত্যাদি আমদানির ক্ষেত্রে রেয়াতি হারে শুল্ক সুবিধা পাওয়া গেলেও এর প্রয়োজনীয় খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে রেয়াতি সুবিধা না দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি শুল্ক ধার্য করা হচ্ছে। ফায়ার সেফটির সব ধরনের যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া উচিত বলে মনে করে ইএবি।

সংগঠনটি বলছে, মহামারি কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবে সমগ্র বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং জনজীবন বিপর্যস্ত, এমন চরম সংকটময় পরিস্থিতিতে আগামী এক বছরে বন্ধ হয়ে যাবে বহু শিল্পকারখানা, হারিয়ে যাবে অনেক উদ্যোক্তা। তাদের নিরাপদ প্রস্থানের দিকনির্দেশনা ও আগামী বাজেটে আলাদা বরাদ্দের দাবি করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

ইএবির দাবি রপ্তানিতে উৎসে কর কমানোর

আপডেট সময় : ১১:২৬:০৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুন ২০২০

প্রতিবেদক:

আগামী ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটের রপ্তানি মূল্যের ওপর উৎসে কর দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িয়ে দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। এটা কমানোর দাবি জানিয়েছে এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ইএবি)।

পাশাপাশি মহামারি করোনাভাইরাসের (কভিড-১৯) প্রাদুর্ভাবে বন্ধ হওয়া কারখানার ‘এক্সিট প্ল্যান’ ও আলাদা বরাদ্দ রাখার দাবি সংগঠনটির। প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর এক প্রতিক্রিয়ায় গতকাল এসব দাবি জানিয়েছে রপ্তানিকারকদের সংগঠনটি।

ইএবির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছর রপ্তানি শিল্পের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে উৎসে কর কমিয়ে দশমিক ২৫ শতাংশ হারে পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছিল। শিল্পের এ কঠিন সময়ে উৎসে কর দশমিক ২৫ শতাংশ হারে আরও পাঁচ বছর অব্যাহত রাখার দাবি জানাচ্ছি।

বর্তমানে রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প খাতসহ নিটওয়্যার ও ওভেন গার্মেন্টসের করপোরেট করহার গ্রিন কারখানার জন্য ১০ শতাংশ এবং গ্রিন কারখানা ছাড়া অন্যান্য কারখানার জন্য ১২ শতাংশ হারে বিদ্যমান রয়েছে। বাজেট প্রস্তাবনায় এ হার আগামী দুই বছরের জন্য অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এ খাতের সঙ্গে চামড়া ও চামড়াজাত রপ্তানি শিল্পকেও একই নীতিমালার সঙ্গে যুক্ত করার দাবি করেছে ইএবি।

রপ্তানির জন্য স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত বিভিন্ন আনুষঙ্গিক দ্রব্যাদির নগদে ক্রয়কৃত মূল্যের ওপর উৎসে কর বা ভ্যাট ধার্য করার বিধান থাকায় কারখানাগুলোর উৎপাদনে সময়ক্ষেপণ হয়ে থাকে, যা সময়মতো রপ্তানিতে বাধাপ্রাপ্ত হয়।

সংগঠনটির সভাপতি আবদুস সালাম মুর্শেদী আরও বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও রোবোটিকস ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ক্ষেত্রে সরকারের সহায়তা প্রদান অত্যন্ত সময়োপযোগী। বর্তমানে আমরা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের যুগে প্রবেশ করেছি। এ পর্যায়ে থ্রি ডি স্যাম্পলিং, ফটোকপিংয়ের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা জরুরি। ভার্চুয়াল মার্কেট প্লেসের ক্ষেত্রে বলিষ্ঠ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা প্রয়োজন।

বর্তমানে রপ্তানিতে নগদ ভর্তুকির ওপর সংশ্লিষ্ট অধ্যাদেশের অধীনে পাঁচ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন করা হচ্ছে। বর্তমানে নগদ সহায়তার বিপরীতে যে পাঁচ শতাংশ আয়কর কর্তনের বিধান রয়েছে তা রহিত করা হবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। কিন্তু বাজেট প্রস্তাবনায় এ ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা না থাকায় পূর্বের হার ১০ শতাংশ বলবৎ থাকবে। করোনা-পরবর্তী পরিস্থিতিতে রপ্তানিমুখী শিল্প খাতগুলো যাতে এ ধাক্কা সামলে উঠতে পারে তার জন্য চলমান রপ্তানি নগদ ভর্তুকি পাঁচ শতাংশ হারে উৎসে কর কর্তন প্রস্তাবিত বাজেটে মওকুফ করতে সরকারের কাছে অনুরোধ করা হয়।

বিভিন্ন অগ্নি নিরাপত্তা উপকরণ যেমন ফায়ার ডোর, ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম ও পাম্প, ফায়ার ডিটেকশন সিস্টেম ইত্যাদি আমদানির ক্ষেত্রে রেয়াতি হারে শুল্ক সুবিধা পাওয়া গেলেও এর প্রয়োজনীয় খুচরা যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে রেয়াতি সুবিধা না দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে এর চেয়ে বেশি শুল্ক ধার্য করা হচ্ছে। ফায়ার সেফটির সব ধরনের যন্ত্রাংশ আমদানির ক্ষেত্রে রেয়াতি সুবিধা দেওয়া উচিত বলে মনে করে ইএবি।

সংগঠনটি বলছে, মহামারি কভিড-১৯-এর প্রাদুর্ভাবে সমগ্র বিশ্বের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড এবং জনজীবন বিপর্যস্ত, এমন চরম সংকটময় পরিস্থিতিতে আগামী এক বছরে বন্ধ হয়ে যাবে বহু শিল্পকারখানা, হারিয়ে যাবে অনেক উদ্যোক্তা। তাদের নিরাপদ প্রস্থানের দিকনির্দেশনা ও আগামী বাজেটে আলাদা বরাদ্দের দাবি করছি।