নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় বিষাক্ত রেকটিফাইড স্পিরিট পান করে ডালিম রেজা (৩০) নামের এক প্রকৌশলীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় কবিরহাট পৌরসভার রোলার চালক রাশেদুল ইসলাম স্বপন (৩৩) নামের একজন অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা নেওয়ার পথে মারা যায় ওই প্রকৌশলী। মৃত ডালিম রেজা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তিতাস বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ী চাপাইনবাবগঞ্জ জেলায়।
জানা গেছে, নোয়াখালীর কবিরহাট পৌরসভার পানি বিশুদ্ধ করন প্রকল্পের আওতাধীন দুই কোটি টাকা ব্যয়ে পাম্প হাউজ নির্মাণ কাজ পায় তিতাস বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। ওই প্রকল্পের চলমান কাজ পর্যবেক্ষনে নিয়োজিত প্রকৌশলী ডালিম রেজা ও কবিরহাট পৌরসভার পরিবহন চালক রাশেদুল ইসলাম স্বপন বুধবার রাতে বিষাক্ত রেকটিফাইড স্পিরিট পান করে নেশা করেন। এক পর্যায়ে তারা দু’জন অসুস্থ্য হয়ে পড়েন।
কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. বিদ্যুৎ কুমার বিশ্বাস জানান, বুধবার মধ্যরাতে দুই ব্যক্তি বমি ও অসুস্থ্য হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে জানাযায় তারা দুজনেই রেকটিফাইড স্পিরিট পান করেছিলেন। এদের মধ্যে ডালিম রেজা নামের এক ব্যক্তি একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ও অপরজন কবিরহাট পৌরসভার পরিবহন চালক। ডালিম রেজার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়। ঢাকা নেওয়ার পথে দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়। অসুস্থ স্বপন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বুধবার দিবাগত রাতে তারা উপজেলার শাহাজিরহাট বাজারের একটি দোকানে এ বিষাক্ত রেকটিফাইড স্পিরিট সেবন করে অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তিতাস বানিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন জানান, রেকটিফাইড স্পিরিট পানে প্রকৌশলী মারা গেছে এমনটা কেউ তাদেরকে জানায় নি। তিনি স্ট্রোক করে মারা গেছেন বলে তাদের কাছে খবর এসেছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। স্বজনরা তার লাশ নিয়ে ঢাকা থেকে চাপাইনবাবগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে।
কবিরহাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ফজলুল কাদের বলেন, এ ব্যাপারে কেউ তাদেরকে অবহিত করেনি। তবে তিনি এ ব্যাপারে খোঁজ খবর নেবেন।