শিরোনাম:
হাসতাপালের কর্মচারি মারা গেল ডাক্তারের গাফিলতিতে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল, লজ্জায় কিশোরীর আত্মহত্যা ৯ কেন্দ্রের ভোট পুনরায় গণনার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন জেলা আ.লীগের সভাপতিকে হারিয়ে সুবর্ণচর উপজেলা চেয়ারম্যান হলেন এমপি পুত্র সাবাব চরজব্বার থানার ওসি প্রত্যাহার নেভেনি সুন্দরবনের আগুন, সূত্র খুঁজতে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি, সময় লাগবে ২-৩ দিন, হলফনামায় মামলার তথ্য গোপন, সেতুমন্ত্রীর ভাইসহ ৪প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল ট্রাক-সিএনজি মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৪ ভুল চিকিৎসায় মা’সহ নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ, হসপিটালে ভাংচুর চেয়ারম্যান-ভাইস চেয়ারম্যান পদে কোম্পানীগঞ্জে মনোনয়ন দাখিল করলো ১০ জন

অ্যাসাইনমেন্ট বাণিজ্য, শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের মানববন্ধন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : মঙ্গলবার, ১০ নভেম্বর, ২০২০

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে মূল্যায়ন পরীক্ষার নামে অ্যাসাইনমেন্ট জমা নেওয়ার সময় শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের কাছ থেকে বিভিন্ন ফি বাবদ অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। গুটি কয়েক মাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যতিত অধিকাংশ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ বিদ্যমান রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ওই সকল বিদ্যালয়ের ভুক্তভোগি শিক্ষার্থীরা ও অভিভাবকগণ। ঘটনায় বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন।

মঙ্গলবার সকালে উপজেলার মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রায় অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী-অভিভাবক বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যলয়ের সম্মুখে আসেন। পরে তারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জিয়াউল হক মীরের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়। তিনি অভিযোগটি গ্রহণ করে তাৎক্ষনিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে পাঠিয়ে দেন।

জানা গেছে, উপজেলার ৩৪টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের অধিকাংশ বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে মাসিক বেতন, পরীক্ষা ফি, বিদ্যুৎ ফি, আদার্স চার্জসহ যাবতীয় খাতের টাকা একসংঙ্গে পরিশোধের জন্য হাতে লেখা হাজার-হাজার টাকার স্লিপ-নোটিশ হাতে ধরিয়ে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবক ও ভুক্তভোগি শিক্ষার্থীরা। অ্যাসাইনমেন্ট ও বিভিন্ন ফি আদায়ের নামে কেন শিক্ষার্থী-অভিভাবকদের গলাকাটা হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।

অভিভাবক পারভিন আক্তার ও আবুল কালাম অভিযোগ করে বলেন, সিরাজপুর পিএল একাডেমি ও মুছাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বিভিন্ন ফি ছাড়াও বিদ্যুৎ বিলের নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুরো বছরের টাকা আদায় করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির সম্পাদক আমির হোসেন বিএসসি ও মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, অ্যাসাইনমেন্টের নামে কোন টাকা নেওয়া হচ্ছে না। করোনাকালিন সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষা অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী বেতন ও অন্যান্য ফি বাবদ সহনীয় পর্যায়ে অভিভাবক শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হচ্ছে।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শাহ কামাল পারভেজ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করার জন্য তিনি মানিকপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়েছেন। তদন্ত শেষে কোন অনিয়ম প্রমানিত হলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও যে সকল বিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১