লক্ষীপুর প্রতিনিধি:
লক্ষীপুরের রায়পুরে পপি সাহা নামের ৭ বছরের এক শিশুর কানে থাকা স্বর্ণের দুল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশী পরিবারের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে এমরান হোসেন ও রুমা আক্তার নামে দুইজনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
আটককৃতরা পরস্পর স্বামী-স্ত্রী। বৃহস্পতিবার দুপুরে স্থানীয় বামনী ইউনিয়নের সাগরদী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বিকেল ৫টায় ওই প্রতিবেশীর ঘর থেকে নিহত শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য লক্ষীপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে সকাল ১১ টায় নিজ বাড়ী থেকে বের হয়ে আর ফেরেনি ওই শিশুটি। নিহত শিশু একই এলাকার নির্মল সাহার মেয়ে ও সাগরদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম শ্রেনীর ছাত্রী।
নিহতের স্বজন ও পুলিশ জানায়, স্থানীয় নেফাল সাহা বাড়ীর পাশ^বর্তী আবুল কাশেমের ঘর ভাড়া নিয়ে এমরান ও রুমা আক্তার দম্পতি বসবাস করে আসছিলেন। পাশাপাশি হওয়ায় প্রায় ওই ঘরে যাতায়াত করত শিশু পপি।
সকাল ১১ টায় নিজ ঘর থেকে বের হয়ে আর বাড়ি ফেরা হয়নি তার। খোঁজাখুঁজির পর ওই দম্পতির ঘরের খাটের নিচে শিশুটির মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন স্বজনরা। এসময় ওই দম্পতিকে আটক করে বেঁধে রাখেন এলাকাবাসী। এসময় তারা (এমরান ও তার স্ত্রী) শিশুর স্বর্ণালংকার নিয়ে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করেন বলে জানান স্থানীয়রা। পরে তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
নিহত শিশুর মা ববিতা রানী সাহা জানান, তিন আনা ওজনের স্বর্ণের দুল কানে পরা ছিল পপির। সকালে খুলতে গেলে কানে ব্যাথা পাবে বলে চলে আসে। এরপর আর বাড়ী ফিরেনি সে।
এ দিকে এঘটনার বিচার দাবী করেন মা সহ স্বজন ও এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রায়পুর থানার ওসি আব্দুল জলিল জানান, শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে হত্যাকান্ডই মনে হচ্ছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদনের পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।