টানা চতুর্থবারের মতো অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছে ভারত। বুধবার অ্যান্টিগার কলিডজ ক্রিকেট গ্রাউন্ডে হওয়া ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে ৯৬ রানের বড় ব্যবধানে হারায় টিম ইন্ডিয়া।
২০১৬ সালে বাংলাদেশে আয়োজিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হেরে গিয়েছিল ভারত। তবে ২০১৮ যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় তারা। দুই বছর পর ২০২০ যুব বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় বাংলাদেশ।
টসে জিতে আগে ব্যাট করা ভারত ৫ উইকেটের বিনিময়ে ২৯০ রান তোলে। জবাবে অস্ট্রেলিয়া ৪৯ বল বাকি থাকতেই ১৯৪ রানে অলআউট হয়।
ভারতের ইনিংসের শুরুটা ছিল ধীরগতির। প্রথম ১০ ওভারে তারা স্কোরবোর্ডে তোলে ৩৪ রান, হারায় ৬ রান করা ওপেনার অংকৃষ রঘুবংশীর উইকেট। ১৩তম ওভারে আরেক ওপেনার হারনুর সিং ১৬ রান করে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন।
প্রথম ২৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রানের বেশি তুলতে পারেনি ভারত। তবে শেষের ২৫ ওভারে সেটি ঠিকই পুষিয়ে নিয়েছে, তুলে নেয় ২০৪ রান। শেষ ১০ ওভারে ১০৮ রান তুলে বড় স্কোর গড়ে।
তৃতীয় উইকেটে শাইক রশিদ ও অধিনায়ক ইয়াশ ধুল গড়ে তোলেন শক্ত জুটি। এই দুই ব্যাটার ২০৪ রান যোগ করে প্রতিপক্ষের বোলারদের নাজেহাল করে ছাড়েন। ৪৬তম ওভারের পঞ্চম ধুলের রান আউটে ভাঙে জুটি। ক্রিজ ছাড়ার আগে ১১০ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় ১১০ রানের সুন্দর ইনিংস খেলেন ধুল।
ঠিক পরের বলেই নিসবেটের বলে ক্যাচ দিয়ে অল্পের জন্য সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপে প্যাভিলিয়নে ফেরেন শাইক রাশিদ। ১০৮ বলে ৮ চার ও এক ছক্কায় তিনি করেন ৯৪ রান।
শেষ ওভারে ২৭ রান সংগ্রহ করে ভারত। হোয়াইটনির বলে নিশান্ত সিন্ধু ১টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। দীনেশ বানা ২টি ছয় ও ১টি চার মারেন। দীনেশ ২টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ৪ বলে ২০ রান করে অপরাজিত থাকেন। ১টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ১০ বলে ১২ রান করে নট-আউট থাকেন নিশান্ত সিন্ধু।
অস্ট্রেলিয়ার বোলার জ্যাক নিসবেট ও উইলিয়াম স্যালজমান দুটি করে উইকেট পান।
২৯১ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অজি যুবারা ৩ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায়। দ্বিতীয় উইকেটে ক্যাম্পবেল কেলাওয়ে ও কোরি মিলারের ৬৮ রানের জুটি তাদের স্বচ্ছন্দেই রেখেছিল।
এরপর নামে ব্যাটিং ধস। ১ উইকেটে ৭১ থেকে অস্ট্রেলিয়ার স্কোর হয়ে যায় ৭ উইকেটে ১২৫ রান। ওপেনার কেলাওয়ে ৩০ ও মিলার ৩৮ রানে সাজঘরে ফেরার পর চলতে থাকে ভারতীয় বোলারদের প্রাধান্য।
অষ্টম উইকেটে লাচলান শ ও জ্যান সিনফিল্ড ৪২ রানের জুটি গড়ে ভারতের জয়কে খানিকটা বিলম্ব ঘটায়। লাচলান শ ৫১, সিনফিল্ড করেন ২০ রান। দশ নম্বরে নামা টম হুইটনি ১৯ রান করে রান আউট হওয়া মাত্রই ফাইনালে যাওয়ার আনন্দে মাতে ভারত।
আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনালে মাঠে নামবে ভারত। এর আগে আজ সপ্তম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে সাউথ আফ্রিকার সঙ্গে খেলবে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ। পঞ্চম স্থান নির্ধারণী ম্যাচে শ্রীলঙ্কার মুখোমুখি পাকিস্তান। শুক্রবার তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে খেলবে অস্ট্রেলিয়া ও আফগানিস্তান।