নিজেস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের চর ফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশির হাটে দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যাকান্ডের দ্রুত বিচার দাবিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তার পরিবার।
রোববার (২০ ফেব্রুয়ারি) মুজাক্কির হত্যার এক বছর পূর্তি উপলক্ষে নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানায় তার পরিবার।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে মুজাক্কিরের বড় ভাই ইসলামী ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ নুরুদ্দিন মুহাদ্দিস বলেন, ছোট ভাই হারানোর বেদনা প্রধানমন্ত্রীও অনুভব করেন। তিনি ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের নির্মম বুলেটে শেখ রাসেলসহ পরিবারের সদস্যদের হারিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, গত বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের গোলাগুলির ছবি তুলতে গিয়ে গুলিবৃদ্ধ হন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির। পরদিন (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় তার।
পরে ২৩ ফেব্রুয়ারি কোম্পানীগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত নামাদের বিরুদ্ধে মামলা করি। সেদিনই নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনে (পিবিআই) মামলা হস্তান্তর করা হয়। কিন্তু এক বছর পেরিয়ে গেলেও এ মামলার কোনো অগ্রগতিই হয়নি। দেওয়া হয়নি মামলার চার্জশিটও। মামলার ভবিষ্যত কি তাও আমরা জানি না।
এসময় মুজাক্কিরের ভগ্নিপতি মাওলানা আবদুছ ছাত্তার বলেন, এক বছরেও আলোচিত এ মামলার অগ্রগতি না হওয়ায় নোয়াখালীর প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলের ব্যর্থতা। জেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগও এ দায় এড়াতে পারে না।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুজাক্কিরের বাবা মাওলানা নুরুল হুদা মো. নোয়াব আলী, মা মমতাজ বেগম, মেঝভাই মো. ফখরুদ্দিন, ভগ্নিপতি মাওলানা আবু সাঈদ, মাওলানা আবদুছ ছাত্তার, বড়বোন জান্নাতুল ফেরদাউস, নুরনাহার, গুলশান আরা, গুলনাহার প্রমুখ ।
জানতে চাইলে মুজাক্কির হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নোয়াখালী পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের পরিদর্শক মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, মামলায় এ পর্যন্ত ২৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরমধ্যে দুইজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে মামলার চার্জশিট দেওয়া হবে।