বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদের ফলাফল নিয়ে আইনি লড়াইয়ে জয় পেলেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। বুধবার (২ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এর পরেই এফডিসিতে ছুটে আসেন তিনি। এফডিসিতে যাচ্ছেন মুঠোফোনে সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকেও জানান। কিন্তু সমিতির অফিসে ঢুকতে গিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতির মুখে পড়েন জায়েদ খান। কেননা সমিতির গেটে তখন তালা ঝুলছিল।
এ ঘটনায় সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ‘আদালতের রায়ে জায়েদ খান তার পদ ফিরে পেয়েছেন। এখন তাকে সম্মানের সঙ্গে সেই পদ ও চেয়ার ফিরিয়ে দেওয়া আমাদের সকলের কর্তব্য। শিল্পী হয়ে আমরা যদি আদালতের রায় না মানি তাহলে দেশের মানুষ আমাদের দেখে কি ভাববে? সে কারণে আমার জায়গা থেকে আমি নিপুণকে ফোন দিয়েছি। কিন্তু তিনি ধরেননি। কেবল একটি টেক্সট দিয়ে জানিয়েছেন ৫ মিনিট পর ফোন ব্যাক করবেন, কিন্তু করেননি। এটা খুব অন্যায়।’
ক্ষুব্ধ এই অভিনেতা আরও বলেন ‘যদি জায়েদকে সমিতিতে না ঢুকতে দেয় তাহলে আমি নিজে তালা ভেঙে জায়েদকে তার চেয়ারে বসাবো। আদালতের রায়ে এই চেয়ার এখন ওর প্রাপ্য।’ পরে অবশ্য বুধবার রাতেই সমিতিতে প্রবেশ করেন জায়েদ খান।
বুধবার (২ মার্চ) বিকাল ৪টার দিকে এফডিসিতে আসেন জায়েদ খান। তিনি দীর্ঘক্ষণ শিল্পী সমিতির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘সত্যের জয় হয়েছে, হাইকোর্ট আমার পক্ষে রায় দিয়েছেন। আমি সবসময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম, তারই ফল পেলাম।’ এদিকে ইলিয়াস কাঞ্চনের এই হুঁশিয়ারির মাঝেই রাত আনুমানিক ৮টার দিকে তালা খুলে দেয়া হয়। এরপর জায়েদ খান সমিতির ভেতরে প্রবেশ করে তার চেয়ারে বসেন।