পুলিশের ফোনকল রিসিভ না করার অভিযোগ উঠেছে আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে। ধার নেওয়া টাকা ফেরত না দেওয়ায় হিরো আলমের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন গণমাধ্যমকর্মী আকাশ নিবির। গত ৪ মার্চ আনুমানিক রাত ১০ টার দিকে হাতিরঝিল থানায় এই জিডি করেন আকাশ। জিডি নম্বার ২২৩। এই ঘটনার পর থেকে হিরো আলমের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না বলে জানান পুলিশ। ওই অভিযোগে বলা হয়, বিবাদী ‘আশরাফুল আলম সাঈদ ওরফে হিরো আলম’ উনার পূর্ব পরিচিত হওয়ায় অভিনেতা ডিপজলের বাড়িতে শুটিং চলমান অবস্থায় ৭ দিনের জন্য ৫০ হাজার টাকা ধার হিসেবে চান। পরে তা ৭ দিন পার হয়ে ৪ মাসে এসে দাঁড়ালেও টাকা ফেরত দিচ্ছেন না হিরো আলম। উল্টো টাকা ফেরত চাইতে গেলে আকাশ নিবিরকে ফোনে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ ও বিভিন্ন হুমকি দেন হিরো আলম।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) দিবাগত রাত ১টা ২০ মিনিটে বিডি২৪লাইভ’র স্টাফ করেসপন্ডেন্ট আরেফিন সোহাগের সাথে কথা হয় এই জিডির তদন্তে থাকা এস আই এনামুলের সাথে। তিনি এই সময় বলেন, আমরা জিডি তদন্তের স্বার্থে হিরো আলামকে তার ব্যক্তিগত ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারে কয়েক বার কল করলে তিনি রিসিভ করছেন না। অন্য নাম্বার থেকে চেষ্টা করেও ব্যার্থ হচ্ছি। বিষয়টি ওসি স্যারকে জানানো হবে, তিনি যে সিদ্ধান্ত দিবেন সেই অনুযায়ি পদক্ষেপ নেয়া হবে।
এ বিষয়ে বিড২৪লাইভকে গণমাধ্যমকর্মী আকাশ নিবির বলেন, ‘টাকাটা মূলত আমার মায়ের। গ্রাম থেকে সুদের উপর নিয়ে দিয়েছেন। আপনারা জানেন বর্তমান সময়ে সুদের উপর টাকা নিলে কি বেহাল অবস্থা হয়। আমি আমার পাওনা টাকা চেয়ে এখন বিপদের মুখে পড়েছি। সঠিক সমাধান পেতে আইনের আশ্রয় নিয়েছি। আমি হিরো আলমকে বলবো, ভাই আমার মায়ের টাকাটা ফিরিয়ে দাও।’
এ বিষয়ে বিড২৪লাইভকে হিরো আলম বলেন, পুলিশ আমাকে কল করবে আমি রিসিভ করবো না এটা হতে পারে না। আমার ফোনে যতকল আসে আমি রিসিভ করি। আমার পিছনে একজন ব্যক্তি নিজের স্বার্থ উদ্ধারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এই প্রসঙ্গে ৫ মার্চ বিডি২৪লাইভকে দেয়া এক সাক্ষাতে হিরো আলম বলেছিলেন, ‘এই জিডি মিথ্যা। আকাশ নিবির ভাইরাল হওয়ার জন্য আমার নামে হয়রানিমূলক অভিযোগ দিয়েছে থানায়। মূল কারন হচ্ছে, আকাশ নিবির নামে ওই ব্যক্তি আমার ফেসবুক পেজের এডমিন ছিলেন, সে বিভিন্ন সময় আমার নামে অপ্রচার চালাতেন এবং ওই পেজ সঠিক ভাবে পরিচালনা করার জন্য আমার থেকে ৩০ হাজার টাকাও চেয়েছিল আকাশ। নিজেকে ভাইরাল করার জন্য এই পথ ধরেছে। এর আগেই দেশের একজন গুণী পরিচালকের নামেও মামলা করার কথা গণমাধ্যমে প্রকাশ হয়েছিল এবং সনামধন্য কয়েক জন অভিনেতা-অভিনেত্রীর বিরুদ্ধেও এই আকাশ নিবির বিভিন্ন সময় অভিযোগ তুলেন। আসলে আমার জানা নেই তিনি কোন পত্রিকার সাংবাদিক।
সত্যি তিনি যদি সাংবাদিক হয়ে থাকেন তাহলে আমি সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাদের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। আমি যদি একবার হুঙ্কার দিই, ওই আকাশ নিবির কি টিকতে পারবে? আমার জনপ্রিয়তা আমি তৈরি করেছি। আমি মিডিয়ার ভাই-বোনদের বলবো এই আকাশ নিবির নামের ব্যক্তি থেকে আপনারা দূরে থাকবেন।’