মহামারীর ধাক্কা সামলে দুই পর স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস শুরু হয়েছে স্কুল-কলেজে। আজ মঙ্গলবার থেকে প্রতিদিন সব বিষয়ে ক্লাস নেওয়া শুরু করেছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। সশরীর পূর্ণাঙ্গ শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরতে দুই বছরের অপেক্ষার অবসান হওয়ায় স্বস্তি ফিরেছে অভিভাবকদের মনেও।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণিতে স্বাভাবিক নিয়মে প্রতিদিন ক্লাস শুরু হয়েছিল ২ মার্চ থেকেই। তবে মাধ্যমিকে ক্লাস হচ্ছিল সীমিতভাবে; মঙ্গলবার তারাও পুরোদমে শ্রেণি কার্যক্রমে ফিরল।
আর প্রাক-প্রাথমিকের, অর্থাৎ নার্সারি-কেজির মতো ছোট শ্রেণির ক্লাসগুলো শুরু হলো দীর্ঘ দুই বছর পর। মহামারী পরিস্থিতিতে অনলাইনেই বিভিন্ন স্কুলগুলো তাদের ক্লাস নিয়ে আসছিল। অর্থাৎ এসব স্কুলের অনেক শিক্ষার্থী ভর্তি হওয়ার পর মঙ্গলবারই প্রথম ক্লাসে যাওয়ার সুযোগ পাচ্ছে।
এইচএসসি ও এসএসসি পরীক্ষার্থীরা এতদিন চারটি বিষয়ে এবং দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীরা তিনটি বিষয়ে প্রতিদিন ক্লাস করে আসছিল।
অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে সপ্তাহে দুই দিন তিন বিষয়ে এবং ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে একদিন তিন বিষয়ের ক্লাস হচ্ছিল।
মঙ্গলবার সকাল থেকে শিক্ষার্থীদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো। সব শ্রেণির ক্লাস এক সাথে শুরু হওয়ায় স্কুল এলাকাগুলোও ফিরে আসে চেনা চেহারায়।
২০২০ সালের মার্চে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরুর পর বাংলাদেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয় দুই দফায়। প্রথম দফায় প্রায় দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত বছরের ১২ সেপ্টেম্বর থেকে ধীরে ধীরে খুলতে শুরু করে শিক্ষাঙ্গনের দুয়ার।
করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে দ্বিতীয় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সশরীর ক্লাস বন্ধ করে দেয়া হয় গত ২১ জানুয়ারি। এ দফায় শিক্ষাঙ্গনে সশরীরে ক্লাস বন্ধ থাকে এক মাস।
২২ ফেব্রুয়ারি ষষ্ঠ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে ওঠে। আর ২ মার্চ থেকে আবারও শুরু হয় প্রাথমিকে সশরীর ক্লাস।
দেশে প্রথমে ২০১০ সালে স্বল্প পরিসরে প্রাক্-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়। এরপর ২০১৪ সালে সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা চালু হয়।
দেশের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে পাঁচ থেকে ছয় বছর বয়সী শিশুদের জন্য এক বছর মেয়াদি প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষাস্তর রয়েছে যা ‘শিশু শ্রেণি’ নামে পরিচিত।