শিরোপা জেতার জন্য লিভারপুলের সামনে একটাই সমীকরণ জিততে হবে। এই সমীকরণে নেমে মোহামেদ সালাহর জোড়া গোলে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে কোচ ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। তাতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে উঠে এলো দলটি।
ম্যাচের ৫ম মিনিটেই এগিয়ে যায় লিভারপুল। সাদিও মানের পাস থেকে ডান পাশে বিশাল ফাঁকা জায়গায় বল পেয়ে যান সালাহ। সেখান থেকে নিচু ক্রসে গোল করেন লুইস দিয়াজ। সেই যে লিভারপুল ম্যাচে আধিপত্য দেখানো শুরু করল, তা চলল ম্যাচের শেষতক।
২২তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। মানের পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ পায়ের প্লেসিং শটে গোলটি করেন সালাহ। বিরতির আগে আর গোলের দেখা পায়নি লিভারপুল। তাতে প্রথমার্ধেই ২ গোলে এগিয়ে থাকল দলটি।
দ্বিতীয়ার্ধে লিভারপুলের গতি কিছুটা কমে আসে। সেই সুযোগে আক্রমণে উঠতে থাকে সফরকারীরা। তবে তেমন কোনো সুবিধা করতে পারছিল না তারা। ৬৮তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে স্কোরলাইনে নাম লেখান লিভারপুল তারকা মানে। বাঁ দিক থেকে দিয়াসের পাস পেয়ে জোরাল শটে লক্ষ্যভেদ করেন সেনেগালের ফরোয়ার্ড। আসরে এটি তার ১৪তম গোল।
৮৫তম ব্যবধান আরও বাড়িয়ে নেন সালাহ। বক্সে থাকা অ্যারন ওয়ান বিসাকাকে বোকা বানিয়ে বাঁ পায়ের আলতো ছোঁয়ায় করেন দলের চতুর্থ গোল এবং নিজের দ্বিতীয়। যোগ করা সময়ে একটা সুযোগ নষ্ট করেন সালাহ, না হয় হ্যাটট্রিকটাও হয়ে যেত তার। আসরে সর্বোচ্চ গোলদাতার গোল বেড়ে হলো ২২টি। ইউনাইটেডের বিপক্ষে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে এই নিয়ে সবশেষ ৬ ম্যাচে ৯ গোল করলেন সালাহ।
মৌসুমে দুবারের দেখাতেই ইউনাইটেডের জালে গোল উৎসব করল লিভারপুল। গত অক্টোবরে আসরে প্রথম পর্বে সালাহর হ্যাটট্রিকে ৫-০ গোলে জিতেছিল অলরেডরা।
শীর্ষে ওঠা লিভারপুলের ৩২ ম্যাচে ২৩ জয় ও সাত ড্রয়ে পয়েন্ট হলো ৭৬। এক ম্যাচ কম খেলা সিটির পয়েন্ট ৭৪। ৩০ ম্যাচে ৬২ পয়েন্ট নিয়ে তিন নম্বরে চেলসি। ৩২ ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে টটেনহ্যাম। ৩১ ম্যাচ খেলা আর্সেনালের সমান ৫৪ পয়েন্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের। কিন্তু গোল ব্যবধানে পিছিয়ে ষষ্ঠ স্থানে নেমে গেছে ৩৩ ম্যাচ খেলা রালফ রাংনিকের দল।