ডেস্ক রিপোর্ট:
কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে গরুর হাল চাষ, নতুন করে শুরু হয়েছে গরুর বদলে ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ। বর্তমানে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গরুর বদলে ঘোড়া দিয়ে জমি চাষ করা হচ্ছে।
জমিতে ধান রোপনের আগে কয়েকবার চাষ ও শেষে মই দিয়ে সমতল করা হয়। তার পরেই শুরু হয় বোরো রোপন। জমি সমতল কাজে গরু দিয়ে মই দিয়ে থাকেন কৃষকরা। মই দেওয়া কাজে দুটি গরু ব্যবহার করা হত। কিন্তু ব্যতিক্রম কৃষক আলতাব ও সোহেল রানা। তারা গরুর বিপরীতে একটি ঘোড়া দিয়ে জমি সমতল বা মই দেওয়ার কাজ করে রীতিমত তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বরেন্দ্র অঞ্চল জুড়ে।
সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় মাধ্যম ফেসবুকে ঘোড়া দিয়ে জমির সমতলের ভিডিও প্রকাশ পায়। সাথে সাথে নেট দুনিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয় দৃশ্যটি। কৃষক আলতাবের বাড়ি রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়ন (ইউপির) কৃঞ্চপুর কচুয়া ও পরানপুর গ্রামে। সম্প্রতি এমন ভিডিও ফেসবুকে দেখা যায়। উপজেলার জনসাধারনের জীবিকার প্রধান উপায় কৃষি চাষাবাদ। যার কারনে চাষাবাদে নতুন নতুন কিছু না কিছু লক্ষ করা যায়। তবে ঘোড়া দিয়ে মই দেওয়ার ঘটনা খুবই কম।
জানা গেছে, উপজেলার আনাচে কানাচে বোরো রোপনে প্রচুর ব্যস্ত সময় পার করছেন বাংলার কৃষকরা। জমি চাষ ও সমতলের জন্য বিগত সময়ে ভরসা ছিল গরু দিয়ে হাল চাষ। জমিতে কয়েক বার চাষ দেওয়ার পর সমতল করার জন্য মই টানা হয়। এই মই টানতে দুটি গরুর প্রয়োজন। যে ভাবে হাল চাষ হয়, একই ভাবে দুটি গরুর মাধ্যমে মই টেনে সমান করা হয়। দুটি গরু ও একজন মানুষ সমান করে।
কালের বিবর্তনে এসব অতীতই বলায় চলে। তবে গরু দিয়ে বোরো মৌসুমে জমি চাষ ও সমান করা হয়। এর সংখ্যা কম। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে চাষের জন্য পাওয়ার টিলার ব্যবহার করা হয়। শুধু সমান করার জন্য মই টানা হয় গরু দিয়ে। কিন্তু কৃষক আলতাব একটি ঘোড়ায় মই টেনে জমি সমান করেছেন। যা রীতিমত সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। তিনি সখের বসে ঘোড়া কিনে জমি সমানের কাজে লাগিয়েছেন।
কৃষক আলতাব ও সোহেল রানা জানান, জমি চাষ করার পর সমান করার জন্য অনেকের কাছে ধরনা দিয়েছিলাম। জমি রোপনের ভরা মৌসুমে সবাই ব্যস্ত। নিজের ঘোড়া আছে, চিন্তা করে দেখলাম একাজে তো ঘোড়া দিয়ে সম্ভম। এমন ভাবনা চিন্তা থেকে ঘোড়ার সাহায্যে মই দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল্লাহ আহম্মেদ জানান, ঘোড়া দিয়ে মই টেনে জমি সমতল করার ঘটনা খুবই কম। অনেকে ফোন করে বলেছে, পরে দেখলাম মই টানতে দুটি গরু ও একজন মানুষ লাগে। সে ক্ষেত্রে কৃষক আলতাব একটি ঘোড়া দিয়ে মই টেনে জমি রোপনের জন্য সমতল করেছেন। এবারে বোরো চাষের লক্ষমাত্রা ১২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি। তবে উপজেলায় বর্তমানে দুভাবে বোরো চাষ হয়, যা এখন আর আলু উত্তোলনের পর।