এনকে বার্তা ডেস্ক::
পৃথিবীর সব ক্রিকেট ম্যাচই পাতানো। এসব নিয়ন্ত্রণ করে মাফিয়ারা, এমন দাবি শীর্ষ ক্রিকেট জুয়াড়ি সঞ্জীব চাওলার। ২০০০ সালে ম্যাচ পাতানোর ঘটনায় দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ক হানসি ক্রনিয়ের নাম বেড়িয়ে আসে। তখনই প্রথম জানা যায় জুয়াড়ি সঞ্জীব চাওলার কথা। এই জুয়াড়িই প্রোটিয়া ক্রিকেটার ক্রনিয়েকে অসাধু পথে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন। ম্যাচ পাতানোর কালো জগতে পা রাখা ক্রনিয়ে আর ফিরতে পারেননি। আর ক্রনিয়েকে সে পথে টানা চাওলাকে ২০ বছর পর দিল্লির পুলিশ অবশেষে হাতে পেয়েছে।
সঞ্জীবকে উদ্ধৃত করে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলেছে, ‘প্রতিটি ক্রিকেট ম্যাচ একটা বিশাল বড় সিন্ডিকেট বা আন্ডারওয়ার্ল্ড মাফিয়ার দ্বারা পরিচালিত হয়। যা পরিচালকদের দ্বারা পুরো সিনেমা পরিচালিত হওয়ার মতো ব্যাপার।’ অবশ্য এই বিবৃতিতে চাওলার কোনো সাক্ষর নেই। তবে তিনি এটা স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন যে, ম্যাচ-ফিক্সিংয়ে আন্ডারওয়ার্ল্ড মাফিয়া গ্রুপ জড়িয়ে থাকায় ক্রিকেটারদের সবসময় প্রাণের আশঙ্কা থেকে যায়।
যুক্তরাজ্যের নাগরিকত্ব নেয়ায় এত দিন চাওলাকে ফেরাতে পারেনি ভারত। ২০১৬ সালে ভারতের অনুরোধে সঞ্জীব চাওলাকে লন্ডনে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ভারতে ফেরাতে আরও বেশ কয়েক বছর অপেক্ষা করতে হয়েছে দিল্লি পুলিশকে। এত দিন পর ভারতে পা রেখেই বোমা ফাটিয়েছেন সঞ্জীব চাওলা। ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের ভাষ্য অনুযায়ী দিল্লি পুলিশের কাছে নাকি চাওলা বলেছেন, ‘কোনো ক্রিকেট ম্যাচই সৎভাবে খেলা হয় না এবং সব ক্রিকেট ম্যাচই পাতানো হবে এটা নিশ্চিত করার লোক থাকে।’
চাওলা বলেছেন, ‘অন্ধকার জগতের অনেক বড় সিন্ডিকেট, মাফিয়ারা সব ক্রিকেট খেলা নিয়ন্ত্রণ করে। ক্রিকেট ম্যাচগুলো সব চলচ্চিত্র, যা কারও না কারও দ্বারা পরিচালিত হয়।’ চাওলা এটাও বলেছেন, ম্যাচ পাতানো নিয়ে মাফিয়াদের সঙ্গে জড়িত হওয়ায় তার জীবন শঙ্কার মুখে।
চাওলা ম্যাচ পাতানোর সঙ্গে নিজের জড়িত থাকার ঘটনা স্বীকার করলেও বিস্তারিত বলতে রাজি হননি। কারণ, ‘অন্ধকার জগতের বিশাল এক সিন্ডিকেট এ ব্যাপারের সঙ্গে জড়িত এবং তারা সবাই ভয়ঙ্কর লোক। এর বেশি কিছু বললে তাকে মেরে ফেলবে তারা।’
এ ব্যাপারে নিয়োজিত কর্মকর্তা প্রবীণ রঞ্জন জানান, ‘যেহেতু এটা তদন্তাধীন বিষয়, আমরা বিস্তারিত কিছু জানাতে পারছি না।’